ইলমে নাহু حروف এর আলোচনা
তৃতীয় অধ্যায়: بَحْثُ الْحُرُوفٌ
حرف দুই ভাগে বিভক্ত: ১) عاملٌ ২) غير عاملٍ
عامل হচ্ছে যা আমলকারি, আর غير عامل হচ্ছে যার কোন প্রভাব নেই, যে গুলো কোন আমল করেনা অর্থাৎ আমল হীন ।
حروف عاملہ ৮ প্রকার : দুই ভাগে বিভক্ত । فی الاسم ও فی الفعل
فی الاسم মানি যে সকল হরফ ইছিম এর মধ্যে আমল করে । আর فی الفعل মানি যে সকল হরফ ফে’ল এর মধ্যে আমল করে ।
فی الاسم ছয় প্রকার আর فی الفعل দুই প্রকার । এই হলো মোট আট প্রকার ।
في الفِعلِ এর দুই প্রকার:
১) ناصب ২) جازم
حروف ناصب ৪টি যথা : أَنْ – لَنْ – کَیْ – إِذَنْ
এগুলো ফে’লে مضارع এর ৫ ছীগাহতে যবর দিবে, ৭ ছীগাহ থেকে নূনে এরাবীকে হযফ করবে বা পেলে দিবে ।
حروف جازم ৫টি :
لَمْ – لَمَّا – لام امر – لَا ءِ نھی – اِنِ شَرْطِیَّہ এগুলো ৫ ছীগাহতে জযম দিবে এবং ৭ ছীগাহ থেকে نون اعرابی হযফ করবে বা পেলে দিবে ।
حروف عاملہ فی الاسم ছয় প্রকার :
(১) حروف جارّہ (২) حروف مشبّہ بالفعل (৩) حروف ما و لا (৪) حروف ندا (৫) حروف اسنثناء (৬) لاَءِ نفی جنس
(১) حروف جارّہ ১৭ টি:
بَاء – تَاء – کَاف – لام – واو – مُنْذُ – مُذْ – خَلَا – رُبَّ – حَاشَا – مِنْ – عَدَا – فِیْ – عَنْ – عَلیٰ – حَتّٰی – اِلٰی –
حروف جارّہ এর আমল :
এই হরফগুলো ইছিম এর শুরুতে আসিয়া ইছিম এর শেষ অক্ষরে যের দিবে । যথা : بِزَیْدٍ – مِنَ اللّٰہ
(২) حروف مشبّہ بالفعل ৬টি :
اِنَّ – اَنَّ – کَاَنَّ – لَیْتَ – لٰکِنَّ – لَعَلَّ –
حروف مشبّہ بالفعل এর আমল :
এই হরফগুলো ইছিমকে যবর দিবে খবরকে পেশ দিবে । যেমন: اِنَّ زَیْدًا قَائِمٌ নিশ্চয় যায়েদ দাঁড়ানো আছে ।
(৩) ما و لا بمعنی لیس حروف ২টি ।
এই দুইটির আমল হচ্ছে ইছিমকে পেশ দিবে আর খবরকে যবর দিবে । যেমন: مَا زَیْدٌ قَائِمًا যায়েদ দাঁড়ানো নহে ।
(৪) حروف ندا ৫টি ।
یَا – اَیَا – ھَیا – اَیْ – ھمزۂ مفتوحہ
এই হরফগুলোর আমল হচ্ছে منادی مفرد কে পেশ দিবে । যেমন: یَا رَجُلُ – یَا غُلَامُ এবং منادی مضاف কে যবর দিবে যেমন: یَا غُلَامُ رَجُلٍ
اجراء نحو اسم کے اہم سوالات ،ইলমে নাহুর ইযারা
(৫) حروف استثناء ১১টি । এই হরফগুলো দুই ভাগে বিভক্ত ।
(১) যবর দাতা (২) যের দাতা
যবর দাতা ৫টি । اِلّا – مَا خَلَا – مَا عَدَا – لَیسَ – لَا یَکون যেমন: جَاءَ الْقَوْمُ الّا زَیْدًا
যের দাতা ৬টি । غَیْر – سِوا – سَوَا – حَاشَا – خَالَا – عَدَا যেমন : جَاءَ الْقَومُ غیر زید অধিকাংশ নাহবীদদের মতে خَالَا – عَدَا এর مستثنی তে যবর হবে ।
(৬) لَاۓ نفی جنس ইহা ইছিমকে যবর দিবে خبر কে পেশ দিবে । اِنَّ اَنَّ এর মতন ইহার ইছিম অধিকাংশ সময় مضاف হইবে ।
যেমন: لَا غُلَامَ رَجُلٍ ظَرِیفٌ فِی الدّار ২য় ইছমে নাকিরাহকে ইহার উপর عطف করিলে اسم نکرہ তে لَا কে تکرار করিতে হইবে । তখন এরাব চার প্রকারে জায়েজ হইবে । যেমন: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللہِ
حروف عاملہ ناصبہ এর তফছীল
اَنْ শব্দটি فعل مضارع এর পূর্বে যুক্ত হইয়া ফে’লে মাযারে কে مصدر এর অর্থে পরিণত করবে । তখন উহাকে اَن مصدریّہ বলিবে ।
যেমন: اُرِیْدُ اَنْ تَقُوْمَ এর অর্থ হবে اُرِیْدُ قِیَامَکَ অর্থ আমার ইচ্ছা তোমার দাড়ানো । আরো সহজ করে বলি “ আমি চাই যে, তুমি দাড়াও। ”
لَنْ শব্দটি فعل مضارع কে مستقبل এর অর্থে পরিনত করিবে । এবং مثبت কে نفی تاکید এ পরিনত করিবে । যেমন: لَنْ یَّخْرُجَ زَیْدٌ যায়েদ কখনো বাহির হবে না ।
کَیْ শব্দটি فعل مضارع এর পূর্বে আসিয়া কোন কাজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ বুঝাইবে । যেমন: اَسْلَمْتُ کَیْ اَدْخُلَ الْجَنَّۃَ আমি ইসলাম গ্রহণ করিলাম, যাতে করে বেহেস্তে যাইতে পারি ।
اِذَنْ শব্দটি কোন বাক্যের প্রতি উত্তরে ব্যবহৃত হয় । যেমন কোন ব্যাক্তি বলিল اَنَا اٰتِیْکَ غَدًا আমি আগামী কাল তোমার নিকট আসিবো । তার প্রতি উত্তরে বলিবে । اِذَنْ اُکْرِمَکَ তখন আমি তোমাকে সম্মান করিব ।
اَنْ ছয়টি শব্দের পরে লুকায়িত থাকিয়া فعل مضارع কে যবর দিবে ।
(১) حَتّٰی এর পরে যেমন : مَرَرْتُ حَتّٰی اَدْخُلَ الْبَلَد অর্থ : আমি শহরে প্রবেশ করা পর্যন্ত ব্রমন করলাম ।
(২) لَامِ کَیْ এর পরে যেমন : اَسْلَمْتُ لِاَدْخُلَ الْجَنّۃَ আমি ইসলাম গ্রহণ করলাম, যাতে করে বেহেস্তে যাইতে পারি ।
(৩) لَامِ جُحُد এর পরে যেমন: مَا کَانَ اللہُ لِیُعَذِّبَھُمْ আল্লাহ এমন নয় যে, তাদেরকে শাস্তি দিবেন ।
(৪) واو صرف এর পরে যেমন: لَاتَاکُلِ السَّمَکَ وَ تَشْرَبَ اللّبَنَ তুমি দুধ খাওয়া অবস্থায় মাছ খেওনা ।
(৫) اَو শব্দ এর পর : যে اَو শব্দটি اِلٰی اَنْ অথবা اِلَّا اَنْ এর অর্থ রাখে । যেমন: لَاَلْزِمَنَّکَ اَوْ تُعْطِیَنِیْ حَقِّیْ আমার হক্ব বা দাবী আদায় না করা পর্যন্ত আমি তোমাকে ছাড়িবো না ।
(৬) فاء শব্দ এর পরে, যে فاء ছয় জিনিসের جواب এ আসে ।
ছয় জিনিষ হল – امر – نھی – نفی – استفھام – تمنّی – عرض – নিচে এই ছয় জিনিসের উদাহরণ উল্লেখ করা হল, যা দেখলে সহজে বুঝে আসবে ।
امر যথা زُرْنِی فَاَکْرِمُکَ অর্থ আমার সাথে সাক্ষাৎ করিও, তাহলে তাহলে তোমাকে সম্মান করিব ।
نھی যথা لَا تَشْتَمْنِی فَاَکرِمَکَ আমাকে গালি দিওনা, তবেই তোমাকে সম্মান করবো ।
نفی যথা مَاتَاتِیْنَا فَتُحَدِّثُنَا তুমি আমাদের নিকট আসনা যে, তোমার সাথে আলোচনা করিবো ।
استفھام যথা اَیْنَ بَیْتُکَ فَاَزُوْرَکَ তোমার ঘর কোথায় ? তাহলে তোমার সাথে সাক্ষাৎ করিবো ।
تمنّی যথা لَیْتَ لِیْ مَالًا فَاُنْفِکَ مِنْہُ আফসুস যদি আমার মাল থাকত, তবেই তো আমি তাহা হইতে খরচ করতাম ।
عرض যথা اَلَا تَنْزِلُ بِنَا فَتُصِیْبَ خّیْرًا তুমি আমাদের নিকট আসনা কেন ? তাহলেই তো তোমার ভালো হইতো ।
حروف جازم এর তফসীল
যে সমস্ত حروف গুলি فعل مضارع এর পূর্বে আসিয়া পাঁচ ছীগাহতে জযম দেয় حرف علّت না থাকিলে । আর যদি حرف علّت থাকে তাহলে হরফে ইল্লাতকে পেলে দিবে । এবং সাত ছীগাহ থেকে نون اعرابی কে পেলে দেয় । حروف جازم মোট পাঁচটি ।
لَمْ শব্দটি فعل مضارع এর অর্থ কে مَاضی منفی এর অর্থে পরিণত করে ।
لَمَّا শব্দটি অতীতের পূর্ণ সময়ের অর্থকে منفی করার জন্য আসে ।
لَام امر ইহা امر حاضر مجھول এবং امر غائب معروف এবং مجھول এর মধ্যে আসে ।
لَاے نھی ইহা فعل مضارع এর উপর আসিয়া পাঁচ ছীগাহতে لَمْ এর মত عمل করিবে ।
اِن شرطیّہ ইহা فعل ماضی এর উপর আসিয়া مستقبل এর অর্থ করিয়া দেয় । ইহা দুইটি فعل এর উপর আসিয়া শেষে জযম দেয় । প্রথমটিকে شرط বলে দ্বিতীয়টিকে جزا বলে ।
اِن شرطیّہ এর جزا যদি جملۂ اسمیّہ অথবা امر অথবা دعا হয় । তখন جزا তে فا আনা واجب হবে । যথা :
১। اِنْ تَاتِنِی فَاَنْتَ مُکْرَمٌ যদি তুমি আমার নিকট আস, তবে তুমি সম্মানিত হবে ।
২। اِنْ رَایْتُ زَیْدًا فَاُکْرِمَہٗ যদি তুমি যায়েদকে দেখ, তখন তাকে সম্মান কর ।
৩। اِنْ اَتَاکَ عُمَرُو فَلَا تُھِنْہُ যদি তোমার নিকট ওমর আসে, তবে তাকে অপমান করিওনা ।
৪। وَاِنْ اَکْرَمْتَنِی فَجَزَاکَ اللّہ خَیْرًا এবং যদি তুমি আমাকে সম্মান কর, আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিবে ।
حروف عاملہ جارّہ এর তফসীল
ب অর্থ নিকটে, সঙ্গে বা সহিত, দ্বারা বা দিয়া যথা : کَتَبْتُ بِالْقَلَمِ
ت এবং و এই দুইটি কসম বা শপতের জন্য আসে । যথা: وَاللہِ – تَاللہِ
ک অর্থ “ মত ” বা “ন্যায়” যেমন: زَیْدٌ کَالْاسَدِ যায়েদ সিংহের মত ।
لَام অর্থ জন্য । যথা : الْمَالُ لِزَیْدٍ মাল যায়েদের জন্য ।
مُذْ এবং مُنْذُ এই দুইটি শব্দের অর্থ – “হইতে এবং থেকে” সময়ের শুরু বুঝাইবার জন্য আসে । যেমন: مَا رَاَیْتُہٗ مُنْذُ یَوْمَینِ আমি তাকে দুই দিন থেকে দেখি নাই ।
حَاشَا – خَلَا – عَدَ এই তিনটি শব্দ “ছাড়া এবং ব্যতিত” অর্থে ব্যবহৃত হয় । যথা: حَاشَا زَیْدٍ যায়েদ ছাড়া ।
رُبَّ শব্দটি কোন সময় “অল্প” অর্থ বুঝায় । আবার কোন সময় “অনেক” অর্থে ব্যবহৃত হয় । যথা : رُبَّ رَجُلٍ لَقِیْتُہٗ
فِیْ অর্থ মধ্যে বা ভিতরে কোন সময় উপরের অর্থ ও বুঝায় ।
مِنْ অর্থ হইতে যথা مِنَ الْکُوْفَۃِ কূফা হইতে । ইহা স্থান বা কালের শুরু বুঝাইতে আসে ।
عَلٰی অর্থ উপর যেমন: الْکِتَابُ عَلَی الطَّاوِلَۃِ কিতাবটি টেবিলের উপর ।
عَنْ অর্থ থেকে বা হইতে যথা: رُوِیَ عَنْ فُلَانٍ অমুক থেকে বর্ণিত । عَنْ কোন কোন সময় সম্পর্কের অর্থে ব্যবহৃত হয় ।
حَتّٰی অর্থ: পর্যন্ত বা সহ । যেমন: اَکَلْتُ السَّمَکَ حَتّٰی رَاسِھا আমি মাছের মাথা সহ খেয়েছি ।
اِلٰی অর্থ: পর্যন্ত বা সহ । যেমন: سِرْتُ مِنَ الْبَصرَۃِ اِلَی الْکُوْفَۃِ আমি বছরা হইতে কুফা পর্যন্ত ভ্রমন করেছি ।
حَتّٰی এবং اِلٰی এর মধ্যে পার্থক্য এই যে, حَتّٰی ইহা শুধুমাত্র اسم এর উপর আসে । কিন্তু اِلٰی ইহা اسم এবং ضمیر দুইওটার উপর আসে । যেমন: اِلَی الْکُوْفَۃِ – اِلَیْہِ
حَتّٰی এবং اِلٰی এর مَا بَعْد যদি مَاقبل এর جنس থেকে হয় তখন مَا بَعْد উহার مَاقبل এর মধ্যে সামিল থাকিবে ।
যথা : فَاغْسِلُوْا وُجُوْھَکُمْ اِلَی الْمَرَافِق – اَکَلْتُ السَّمَکَ حَتّٰی رَاسِھا
حَتّٰی এবং اِلٰی এর مَا بَعْد যদি مَاقبل এর جنس থেকে না হয় তখন مَا بَعْد উহার مَاقبل এর মধ্যে সামিল থাকিবে না ।
যথা : اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی اللّیلِ
حروف مشبّہ এর তফছীল
১ ও ২ । اِنَّ – اَنَّ কে حروف تحقیق বলে । এই হরফগুলো কোন কাজের বা ব্যক্তির নিশচ্য়তা দিবার জন্য আসে । যথা: اِنَّ زَیْدًا قَائِمٌ নিশ্চয় যায়েদ দাড়ানো ।
৩। کَاَنَّ এই হরফটি উপমা দেওয়ার জন্য আসে । যথা: کَاَنَّ زَیْدًا اَسَدٌ যায়েদ যেমন একটি সিংহ । এইভাবেও বলতে পারি, যায়েদ সিংহের মত ।
৪। لٰکِنَّ ইহা সন্দেহকে দূর করার জন্য আসে এবং ইহা দুইটি جملہ এর মাঝখানে আসে । যথা: جَاءَ خَالِدٌ لٰکِنَّ عَمْرًوا غَائِبٌ খালিদ আসিল কিন্তু ওমর অনুপস্থিত রহিল ।
৫। لَیْتَ ইহা আকাঙ্খা প্রকাশ করার জন্য আসে । যথা: لَیْتَ الشّبَابَ یَعُوْدُ যৌবন যদি ফিরিয়া আসিত ।
৬। لَعَلَّ ইহা সম্ভাবনা প্রকাশ করার জন্য আসে । যথা: لَعَلَّ خَالِدًا غَائِبٌ সম্ভবত খালিদ অনুপস্থিত ।
حَرْفِ مَا وَ لَا যাহা لَیْسَ এর সাথে সাদৃশ্য রাখে এবং لَیْسَ এর মত আমল করিবে । যথা: مَا زَیْدٌ قَائِمًا যায়েদ দাড়ানো নয় ।
حَرْفِ لَا لِنَفْیِ الْجِنْسِ ইহার ইছিম অধিকাংশ সময় مضاف হয় । ইছিমকে যবর এবং খবরকে পেশ দিবে ।
যথা: لَا غُلَامَ رَجُلٍ ظَرِیْفٌ فَی الدّارِ ঘরের মধ্যে কোন ব্যক্তির গোলাম চতুর নাই ।
নূরানী সিলেবাস-শিশু শ্রেণি-ফিকরী প্রকাশনী
جَواب قسم
قسم এর জন্য جَواب قسم জরুরী ।
جَواب قسم দুই ভাগে বিভক্ত (১) جَواب قسم اسمیّہ (২) جَواب قسم فعلیۃ
جواب قسم اسمیّہ দুই প্রকার (১) مُثْبتہ (২) مُنْفِیّہ অর্থাৎ হাঁ বাচক এবং না বাচক ।
(১) جَواب قسم উহা مُثْبتہ হইলে جَواب এর শুরুতে لَامِ مَفْتُوْحہ থাকিবে । যথা: وَاللّٰہِ لَزَیْدٌ قَائمٌ অথবা اِنَّ থাকিবে ।
যথা: وَاللّٰہِ اِنَّ زَیْدًا قَائمٌ
(২) جَواب قسم উহা مُنْفِیّہ হইলে جَواب এর শুরুতে لَا – مَا – ان থাকিবে । যথা: وَاللّٰہ مَا زَیْدٌ قَائِمًا
جواب قسم فعلیہ উহা দুই প্রকার । (১) مُثْبتہ (২) مُنْفِیّہ অর্থাৎ হাঁ বাচক এবং না বাচক ।
১। جواب قسم فعلیہ উহা مُثْبتہ হয়ে مَاضی হউক বা مضارع হউক , جَواب এর শুরুতে لَامِ থাকিবে । ৎ
مَاضی যথা: وَاللّٰہِ لَقَدْ قَامَ زَیْدٌ এবং مضارع যথা: وَاللّٰہِ لَاَفْعَلَنَّ کَذَا
২। جواب قسم فعلیہ উহা مُنْفِیّہ হয়ে مَاضی হইলে جَواب এর শুরুতে مَا শব্দ থাকিবে । যথা: وَاللّٰہِ مَا قَامَ زَیْدٌ উহা مُنْفِیّہ হয়ে مضارع হইলে جواب এর শুরুতে لَا – مَا – ان থাকিবে ।
যথা: وَاللّٰہِ لَنْ اَفْعَلَ کَذَا – وَاللّٰہِ لَا اَفْعَلَنَّ کَذَا – وَاللّٰہِ مَا افْعَلَ
عاملہ আমল বিহীন অব্যয় ১৬টি ।
১ । حروف تنبیہ তিনটি যথা: اَلَا – اَمَا – ھَا
২ । حروف ایجاب ছযটি যথা: نَعَم – بَلٰی – اَیْ – اَجَلْ – جَیْر – اَنْ
৩ । حرف تفسیر দুইটি যথা: اَیْ – اَنْ
৪ । حروف مصدریہ তিনটি যথা: مَا – اَنْ – اِنْ
৫ । حروف تخصیص চারটি যথা: اَلّا – ھَلّا – لَوْمَا – لَوْمَا
৬ । حَرْف تَوَ قُّع একটি যথা: قَدْ
৭ । حَرْف رَدَعْ একটি যথা: کَلَّا
৮। حَرُوْف اِسْتِفْھَام তিনটি যথা: مَا – ھَلْ – ہمزۂ مفتوحہ
৯ । حَرُوْف زِیَادت আটটি যথা: اَنْ – اِنْ – مَا – لَا – لَ – بَ – کَ – مِنْ
১০ । حَرُوْف عَطْف দশটি যথা: وَ – فَ – ثُمَّ – حَتّٰی – اَوْ – اَمْ – اِمَّا – لٰکِنَّ – بَلْ – لَا
১১ । نون تاکید দুইটি যথা: نُونِ ثَقِیْلَہ – نُوْنِ خَفِیْفَہ
১২ । حَرْف شَرْط দুইটি যথা: اَمَّا – لَوْ
اَمَّا এটা ব্যাখ্যার দেওয়ার জন্য আসে । যাহার উত্তরে ف থাকে যথা: فَاَمَّا الَّذِیْ سَعِدُوْا فَفِی الْجَنَّۃِ
لَوْ ইহা প্রথমটি না হওয়া এবং ২য় টি হই নাই বুঝাইতে আসে । যথা: لَوْ کَانَ فِیْھِمَا اٰلِھَۃٌ اِلَّا اللّٰہ لَفَسَدَتَا
১৩ । حَرْف لَوْلَا একটি, ইহা প্রথমটি হওয়ার কারণে ২য় টি হয় নাই বুঝাইতে আসে । যথা: لَوْلَا عَلِیّٗ لَھَلَکَ عُمَرُ
১৪ । لَام تَاکِیْد যথা: لَزَیْدٌ اَفْضَلُ مِنْ عَمْرٍو
১৫ । مَا بمعنی مَادَامَ ইহা مَادَامَ এর অর্থে ব্যবহৃত হয় । যথা: اَقْوَمُ مَا جَلَسَ الْاَمِیْرُ
১৬ । تَنْوِین ইহা পাঁচ প্রকার ।
(১) تمکّن (২) تنکیر (৩) عِوَض (৪) مُقَابَلہ (৫) تَرَنُّم
تَنْوِین تَرَنُّم ইহা اسم – فعل – حرف সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় । কিন্তু বাকী চার প্রকার اسم এর জন্য خاص যেমন:
اَقُلِی اللَومَ عَاذِل وَالْعِتَابَنْ – وَقُوْلِیْ اِنْ اَصَبَتْ لَقَدْ اَصَابَنْ