ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: পরিচিতি, গঠন ও আদর্শ ভিত্তিক বিশ্লেষণ

ChormonayAmir by tc computer
ChormonayAmir-by-tc-computer

 ✨ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: আদর্শ, গঠন ও আধুনিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

🕌 ১. পরিচিতি: ইসলাম আর প্রবল রাজনৈতিক আহ্বান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (IAB) একটি ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, যা ১৩ মার্চ ১৯৮৭ সালে চরমোনাই পীর সৈয়দ ফজলুল করীম (রহঃ) প্রতিষ্ঠা করেন ।
বর্তমান আমির:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম  ২০১৪ সাল থেকে দলের আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তবে তিনি এর আগেও দলীয় কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং তাঁর পিতা পীর সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আমীর। পিতার ইন্তেকালের পর ২০১৪ সালে সৈয়দ রেজাউল করীম আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

দলের মূল লক্ষ্য:

  • ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা,
  • শরীয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন,
  • দুর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ,
  • সামাজিক ন্যায় ও নৈতিকতা নিশ্চিত করা।

এর স্লোগান: “True system of liberation, Islamic governance”

লক্ষ ও উদ্দেশ‌্য

লক্ষ্য

প্রচলিত জাহেলী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খেলাফতে রাশেদার নমুনায় বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা।

উদ্দেশ্য

দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তির লাভের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।

মৌলনীতি

ক. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তসম্মত শুরায়ী নেযামের মাধ্যমে (পরামর্শের ভিত্তিতে) পরিচালিত হবে।

খ. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সর্বসম্মত আক্বীদাই এ সংগঠনের আক্বীদা অর্থাৎ আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের রব, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশেষ্ঠ নবী। ক্বিয়ামত ধ্রুব সত্য। কুরআন আল্লাহ্ তায়ালার নাযিলকৃত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ। সাহাবায়ে কেরাম রাযি. সত্যের মাপকাঠি, সকল প্রকার সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তাঁদেরকে সমালোচনার পাত্রে পরিণত করা স্পষ্ট গোমরাহী।

 

🏛️ ২. রাজনৈতিক ইতিহাস ও বিবর্তন

  • মৌলিক ভিত্তি: ১৯৮৭ সালে “ইসলামী শাসনন্ত্র আন্দোলন” নামে প্রতিষ্ঠা, পরবর্তি নাম পরিবর্তন ।
  • ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচনী যাত্রা,
  • ২০১৩ সালে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি,
  • ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন, মূলত ভাষা ও সরকারের নিরপেক্ষতায় সন্দেহ থাকায়।
  • ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৃতীয় বৃহত্তম ভোট, শতাংশে ১.৪৭% (প্রায় 25 মিলিয়ন) ।

এই নম্বরগুলো প্রকাশ করে যে, যুগোপযোগী হলেও আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্রমবর্ধমান

কর্মসূচি

১. দাওয়াতঃ একটি সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য জনসাধারণকে সচেতন করা এবং সর্বস্তরে ‘আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার’ তথা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা চালাতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করা।
২. সংগঠনঃ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে প্রতি আগ্রহী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, দল ও ব্যক্তিদেরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কাফেলায় সংঘবদ্ধ করা।

৩. জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণঃ নৈতিকতাসমৃদ্ধ আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান প্রসারের পাশাপাশি প্রচলিত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, কর্মমূখি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনগণকে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও আদর্শিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সংঘবদ্ধ লোকদের আদর্শিক আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংগঠনিক দিক থেকে ইসলামী সমাজ গঠনের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা।
৪. ঐক্যঃ ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে গণমানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সংহতি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো।
৫. শিক্ষা সংস্কারঃ জাতীয়ভাবে সর্বজনীন কল্যাণকে সামনে রেখে প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষাকে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে কর্মমূখি শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্টা চালানো।
৬. খেদমতে খালকঃ খেদমতে খালক বা সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষের সেবা, জালিমের প্রতিরোধ এবং খেটে খাওয়া মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
৭. সমাজ সংস্কার ও অর্থনৈতিক মুক্তিঃ সর্বস্তরে সুদ, ঘুষ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি ইত্যকার সামাজিক ব্যাধি উচ্ছেদ করে গণবিপ্লবের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ গঠন করা। অপরদিকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে সম্পদের সর্বোত্ত ও সঠিক ব্যবহার, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং কৃষি বিপ্লবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি দুসভিত্তিক সমাজব্যবস্থা উৎখাত করে ইসলামের যাকাত ও হালাল ব্যবসার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা।
৮. অপশক্তি-অপসংস্কৃতি প্রতিরোধঃ জাহেলী অপশক্তি ও অপসংস্কৃতির সয়লাব রোধ করে সুস্থ্য ধারার সৃজনশীল ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর সক্রিয় প্রয়াস চালানো।
৯. অমুসলিম বা সংখ্যালঘুদের অধিকারঃ অমুসলিম বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান-মাল, ইজ্জত-আবরুর নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান।
১০. গণআন্দোলনঃ সমাজ ও রাষ্ট্রের অকল্যাণকামী ভোগবাদী ও খোদাদ্রোহী নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে খোদাভীরু দেশপ্রেমিক যোগ্য লোকের নেতৃত্বে ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা।

ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজতন্ত্র: একটি বিশ্লেষণ

সাংগঠনিক স্তর

আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত লোকদের সাংগঠনিক মানে উন্নীত করার জন্য তিনটি স্তর রয়েছে- (ক) সদস্য (খ) কর্মী (গ) মুবাল্লিগ।

ক. সদস্য
যিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাতে একমত হয়ে সদস্য ফরম পূরণ এবং সাপ্তাহিক বৈঠকসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন তিনি আন্দোলনের একজন সদস্য বলে গণ্য হবেন।

খ. কর্মী
যে সদস্য নিম্মলিখিত ৫টি কাজ নিয়মিত আঞ্জাম দিবেন তিনি আন্দোলনের কর্মী বলে গণ্য হবেন।
১. নিয়িমিত সাপ্তাহিক, মাসিক বৈঠক ও সভা-সমাবেশে যোগদান।
২. নির্ধারিত হারে নিয়মিত মাসিক এনায়ত (চাঁদা) প্রদান।
৩. নিয়মিত কুরআন-হাদীস, বুজুর্গানেদীনের কিতাব, ইসলামী সাহিত্য ও সাংগঠনিক সিলেবাসভুক্ত বই অধ্যয়ন করা।
৪. নির্ধারিত ফরমে ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ।
৫. তিন ছবকের বাস্তবায়ন-
(ক. দীন কায়েমের নিয়তে প্রতিদিন দু’রাকাত নামাজ আদায় করা।
খ. সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর রাস্তায় দান করা।
গ. মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াতের মাধ্যমে আন্দোলনের সদস্য করা।)

রাজতন্ত্র: শাসনব্যবস্থা, ধরণ এবং উদাহরণসহ বিস্তারিত বিশ্লেষণ

গ. মুবাল্লিগ
উপরোক্ত ৫টি কাজ অব্যাহত রেখে যে কর্মী নিম্ন লিখিত পাঁচটি গুণ অর্জন করবেন তিনি আন্দোলনের সর্বোচ্চ স্তরের অধিকারী অর্থাৎ মুবাল্লিগ হবেন।
১. ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার কাজকে জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানানো অর্থাৎ সকল কাজের উপর আন্দোলনের কাজকে প্রাধান্য দান।
২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উন্নতির-জন্য সার্বক্ষণিক চিন্তা-ফিকির করবেন।
৩. উত্তরোত্তর ইলম-আমল, জান-মাল ও সময়ের কুরবানী বৃদ্ধির চেষ্টা চালাবেন।
৪. সকল প্রকার প্রলোভন ও ভয়কে পরিহার করে আন্দোলেনর জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন।
৫. দশটি মৌলিক দোষ: যথা- কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, মিথ্যা, কীনা, গীবত, কৃপনতা, রিয়া ও বড়াই বর্জন করা এবং দশটি মৌলিক গুণাবলী: যথা- ছবর, শোকর, ভক্তি, একীন, ইলম, তওবা, খুলুছ, ভয়, তাওয়াক্কুল ও মহব্বত অর্জন করা।

ChormonayAmir by tc computer 1
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পরিচিতি, গঠন ও আদর্শ ভিত্তিক বিশ্লেষণ

🤝 ৩. রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও কার্যকলাপ

  • ব্ল্যাফেমি আইন: ধর্মীয় অবমাননা রোধে কঠোর আইনের পক্ষে লবিং করে ।
  • ভোট ও নির্বাচনী সংস্কার:
    • ভ্রাম্যমাণ নির্বাচনের ন্যায় প্রকল্প,
    • কেয়ারটেকার সরকারের দাবিদার,
    • নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্র অভ্যাসে বিশ্বাস করে ।
  • সমাজসংক্রান্ত বিল:
    • নারীর খেলাধুলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,
    • রোহিঙ্গা সংকটে প্রতিবাদ-সমাবেশ,
    • বইমেলায় কাজী নজরুল ও তসলিমা নাসরিনের বই নিয়েও প্রতিবাদ করেছে ।

এই কার্যক্রমগুলো দলের শক্ত অবস্থানকে তুলে ধরে।

🧭 ৪. সাংগঠনিক কাঠামো: নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল

৪.১ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

  • আমির: সৈয়দ রেজাউল করীম, যিনি পীরি অব শাফিয়্যাহ ধারার বিধান পাস করেছেন ।
  • সাধারণ সম্পাদক: ইউনুস আহমদ (জন্ম: ১৬ জুলাই ১৯৫৭), প্রাক্তন হাফেজিয়া শিক্ষক ও তরুণ দাওয়াহ নেতারূপে পরিচিত ।
  • সিনিয়র ভাইস-আমির: সৈয়দ ফাইজুল করিম, চরমোনাই পীরের সন্তান ও হাদীস বিশেষজ্ঞ ।
  • উপদেষ্টা/শিক্ষা বিষয়ক: ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন, ২০২১ সাল থেকে শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ও ২০২৪’এর অস্থায়ী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ।

সাংগঠনিক কাঠামো

ইসলামী আন্দোলন বাংলাশে-এর কেন্দ্রীয় কাঠামোতে রয়েছে:
ক. একজন আমীর
খ. মজলিসে সাদারাত (প্রেসিডিয়াম)
গ. মজলিসে শুরা (পরামর্শ পরিষদ)
ঘ. মজলিসে আমেলা (কার্যনির্বাহী পরিষদ)

৪.২ ফ্রন্টলাইন ও স্থানীয় শাখা

  • আদর্শগত কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও, চরমোনাই ইউনিয়ন (চরমোনাই) কেন্দ্র, যেখানে পীর পরিবার ও স্থানীয় কাঠামোতে শক্ত পজিশন রয়েছে ।
  • অঙ্গসংগঠনগুলো রয়েছে:
    • Islami Chhatra Andolan (ছাত্র),
    • Islami Jubo Andolan (যুবক),
    • Islami Sramik Andolan (শ্রমিক),
    • ইসলামী ওলামা মজলিস,
    • মহিলা আন্দোলন—যার কাজ ভিন্ন ভিন্ন স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছানো।

এই কাঠামো দলকে সময়োপযোগী ও পরিচালনাযোগ্য করে তোলে।

🧘‍♂️ ৫. আদর্শিক ভিত্তি ও গঠনতন্ত্র

  1. তাওহীদ ও রিসালাহ – ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠা।
  2. শরীয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র – আইন-শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্র পরিচালনার ফ্রেম হিসেবে।
  3. দুর্নীতিবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক ইসলামী সমাজ – যেখানে সমতা ও ন্যায় বজায় থাকে।
  4. সামাজিক ও দাওয়াহ কর্মসূচি – দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে কাজ ও ইসলামী শিক্ষা ছড়ানো ।

গঠনতন্ত্রে উচ্চ নৈতিক মান ও কঠোর শৃঙ্খলার ওপর জোর দিয়ে দল ধর্ম ও রাজনীতিকে সমন্বয় করে।

🌱 ৬. সামাজিক কার্যক্রম: দাওয়াহ, শিক্ষা ও কল্যাণ

  • দাওয়াহ প্রচার: জনসভা, শিক্ষা সেমিনার, তালীম কেন্দ্র—এইগুলো জনগণের সাথে সম্পর্ক গঠনে কার্যকর।
  • ২০৩০ সাল প্রত্যাশা: যুব ও ছাত্র অঙ্গসংগঠন আরও শক্তিশালী হয়ে দাওয়াহে জোর দেবে ।
  • শিক্ষা ক্ষেত্র: ইসলামি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও কওমী-মাধ্যমিক শিক্ষার মিডিয়েশন।
  • সামাজিক সেবা: বিত্তশালী ও দারিদ্র্যসীমার মানুষের মধ্যে কল্যাণমূলক প্রকল্প চালিত হচ্ছে।

এই সমাজভিত্তিক কর্মকাণ্ড দলকে সংহত ও জনপ্রিয় করে তুলে।

🧩 ৭. নির্বাচনী বিশ্লেষণ ও ফলাফল

নির্বাচন অংশগ্রহণ ভোট শতাংশ অবস্থান
২০০৮ অংশগ্রহণ ~0.94% ৫ম বৃহত্তর
২০১৪ বর্জন
২০১৮ অংশগ্রহণ 1.47% 3য় বৃহত্তর
২০২৪ বর্জন

২০১৮ নির্বাচনে তারা ৩য় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে—এটি এক তরুণ-বিশ্বাসী শক্তির চিত্র দেয়।
তাদের হাতপাখা চিহ্ন বহুল পরিচিত এবং তৃতীয় শক্তি হিসেবে নগর নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে ।

🧠৮ সমসাময়িক রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যত

  • ২০২২–২৩ নির্বাচনে নগর ও ইউপিতে ভালো ফলাফল, যা তরুণ ভোটারদের নজরে আসে ।
  • দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায্য নির্বাচনের দাবিতে তারা রাজনৈতিক খেলার বাইরে দাঁড়িয়েছেন ।
  • তাদের সামাজিক দাওয়াহ কার্যক্রম ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা ভবিষ্যতে শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রভাব বয়ে আনতে পারে।

✍️ ৯. উপসংহার: ইসলামী আদর্শ, ভাবমূর্তি ও অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেবল রাজনৈতিক দল নয়, এক “নৈতিক বিপ্লবের আহ্বান”:

  • নেতৃত্বের পীরি ঐতিহ্য ও আধুনিক রাজনীতি—যা দুই জগত সমন্বয় করছে।
  • নির্বাচন ও প্রতিবাদ—দায়িত্বশীল নাগরিকত্বের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান।
  • দাওয়াহ, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা—সলজে ইসলামিক সমাজের কাঠামো গড়ে তোলে।

বর্তমানে দলটি দুর্নীতিমুক্তিতে অবিচল, সমাজে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়, এবং তরুণ-ভিত্তিক কর্মসূচিতে মনোনিবেশ করছে। এগুলোই একদিকে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে, আর অন্যদিকে সমালোচকরা সমালোচনাও সৃষ্টি করছে।

📚 তথ্যসূত্র / References

  1. অফিসিয়াল সাইট থেকে সদস্য নিবন্ধন অ্যাপের তথ্য ।
  2. উইকিপিডিয়া – প্রতিষ্ঠা ও অভ্যন্তরীন কাঠামো
  3. সামাজিক কাজ ও দাওয়াহের কৌশল – রিসার্চগেট
  4. নারীর খেলাধুলা ও বইমেলার বিতর্ক – European Conservative
  5. নেতা ও সংগঠক– শিক্ষাবিষয়ক ও প্রশাসনিক তথ্য ।
    ইসলামী রাজনীতি এবং গণতন্ত্র: একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ

✍️ আপনার মতামত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ!

আপনি এই পোস্টটি পড়ে কী মনে করলেন? ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়ে আপনার চিন্তা, অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আপনার মতামত আমাদের লেখাকে আরও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।

🗨️ মতামত দিন, আলোচনা গড়ে তুলুন।
👇 নিচে মন্তব্য করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top