তেত্রিশ (৩৩) আয়াতের ফযিলত ও আমল

 তেত্রিশ (৩৩) আয়াতের ফযিলত ও আমল

 

তেত্রিশ আয়াতের ফযিলত

 

৩৩ আয়াতের পাশা-পাশি সকাল বিকাল এই আমল গুলোও করেতে পারেন।

১. আয়াতুল কুরছি ৩ বার (এটি পড়ে দুই হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাছেহ করলে শরীর বন্ধ হয়ে যায়)

২. চার কুল বা সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক ও সূরা নাস
৩ বার করে (এটি পড়ে দুই হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাছেহ করলে যাদু টোনা কেটে যায়)
উপরের আমল দুটি সকাল বিকাল করলে কোন শয়তানি শক্তি কারো উপর প্রভাব ফেলতে পারবেনা।

বিঃদ্রঃ আর দিনে রাতে যে কোনো সময় যখনই খারাপ লাগবে আয়াতুল কুরছি ৩ বার পড়ে দুই হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাছেহ করে দিতে হবে। এটি শয়তানি শক্তির কাছে খুবই ভয়ঙ্কর আয়াত ।

তেত্রিশ আয়াতের রেফরেন্স:

প্রথমে বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। তারপর পড়তে হবে নিম্নলিখিত আয়াত

সমূহ:

বাকারা:১-৫

বাকারা(আয়াতুল কুরসি): ২৫৫-২৫৭

বাকারা:২৮৪-২৮৬

রাফ:৫৪-৫৬

বনি ইসরাইল: ১১০-১১

সাফফাত:১-১১

আর রহমান-৩৩-৩৫

হাশর:২১-২৪

তেত্রিশ আয়াতের ফযিলত:সম্মানিত বন্ধুগন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের এক একটি আয়াতের যে কত শক্তি বা পাওয়ার তা কুরআনের একনিষ্ঠ তিলাওয়াতকারী ছাড়া আর কেউ বুঝবেনা। কুরআনের আয়াত সবগুলোই সম্মানিত ও মহিমান্বিত তবে এই তেত্রিশ আয়াত অন্যতম, এর অনেক ফযিলত রয়েছে। কেউ যদি এই তেত্রিশ আয়াত নিয়মিত তিলাওয়াত করে তাহলে আল্লাহ তা’য়ালা তাহাকে যাবতীয় মসিবত থেকে রক্ষা করবেন। যেমন: জিন্নাতের অনিষ্ট থেকে, যাদু থেকে, ধ্বংশাত্বক জিব-জন্তুর অনিষ্ট থেকে, জটিল কঠিন রোগ থেকে এবং অন্যান্য দুনিয়াবী বিপদাপদ থেকে।

৩৩ আয়াত সংক্রান্ত কিছু আমলের বিবরণ:

১। আপনার পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয়, তাহলে অযু করে পবিত্র অবস্থায় একগ্লাস পানি সামনে রেখে ৩ বার দুরুদ শরীফ পড়ে এই ৩৩ আয়াত একনিষ্ঠ ভাবে তিলাওয়াত করা শুরু করুন। এবং পানিতে দম করুন ( অর্থাঃ ফুঁ দিন।)  আমার এখানে ভাগ ভাগ করা আছে এক ভাগ শেষ হলে একটি ফুঁ দিবেন। যেমন: সূরা ফাতিহা শেষ করে একটি ফুঁ দিবেন। এরকম ভাবে প্রত্যেক ভাগ শেষ করে একটি ফুঁ দিবেন।  অবশেষে পানিগুলো পান করে নিবেন। এভাবে ৭দিন করেন, ইনশা আল্লাহ, সুস্থাতা লাভ করবেন।

২। কারো যদি বিবাহ-শাদী না হয় তাহলে উপরোল্লেখিত নিয়মে আমল করবেন। পানি পান করবেন ও সর্বশেষে দুইহাত সামনে রেখে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীর মাসেহ করবেন।

তেত্রিশ আয়াত সংক্রান্ত একটি ঘটনা:

ইবনে সীরীন রাহঃ কোন এক সফরে একটি কাফেলার সাথে রাওয়ানা দিলেন। সফর করতে করতে রাত্রী হয়ে গেল কিন্তু গন্তব্যে এখনো পৌছতে পারেনী। তাই সকলে পরামর্শ করে বলল যে এখানে তাবু স্থাপন করা যাবে না। কারণ এই জায়গার লোকগুলো ভালো না, এখানে কেউ অবস্থান করলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ডাকাত দলের আক্রমনের শিকার হয়। কিন্তু ইবনে সীরীন রাহঃ   এ স্থানেই
(অর্থাৎ যে খানে রাত্রি হয়েগেল।) তাবু স্থাপন করলো। বাকী সাথীরা আরো দূরে চলে গেল।

যথারিতী নিয়ম অনুযায়ী ইবনে সীরীন রাহঃ ইশার নামায শেষ করে ৩৩ আয়াতের উপর আমল করে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমের
মধ্যে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে অনেক লোক তাকে হামলা করতে আসে কিন্তু হামলা করতে পারেনা। বিশাল একটি দেয়াল মাঝখানে এসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ঐলোকগুলো পৌছতে না পারার কারেণে হামলা ও করতে পারলো না। সকাল বেলা ইবনে সীরীন রাহঃ যাওয়ার সময় ঐডাকাত দলের সরদার এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলো আপনি মানুষ নাকি জিন? তিনি বললেন কেন? ঐডাকাত দলের সরদার বললেন, আমরা রাত্রে যখন আক্রমণ করতে আসলাম তখন বিশাল একটি দেয়াল মাঝখানে এসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো। যার কারণে আমরা আপনার প্রতি হামলা করতে পারলাম না। সেজন্য জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে এটা ৩৩ আয়াতেরই বরকত। 

 (তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত)

 

  اَعُوذُ بِاللّہِ مِنَ الشَّییطٰن الرجیم 0

سورۃ الفاتحۃ مَکِّیَّۃٌ

بِسۡمِ اللَّهِ الرَّحۡمَٰنِ الرَّحِيمِ

 الۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ الۡعَٰلَمِينَ ﴿٢﴾

 الرَّحۡمَٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾

 مَٰلِكِ يَوۡمِ الدِّينِ ﴿٤﴾

 إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ﴿٥﴾

 اهۡدِنَا الصِّرَٰطَ الۡمُسۡتَقِيمَ ﴿٦﴾

 صِرَٰطَ الَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ
غَيۡرِ الۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا الضَّآلِّينَ ﴿٧﴾

سورۃ البقرۃ

الٓمٓ ﴿١﴾ ذٰلِكَ الۡكِتٰبُ لَا رَيۡبَ فِيهِ هُدًى
لِّلۡمُتَّقِينَ ﴿٢﴾ الَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِالۡغَيۡبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلوٰةَ
وَمِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ يُنفِقُونَ ﴿٣﴾ وَلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ
إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ وَبِالۡأٓخِرَةِ هُمۡ يُوقِنُونَ ﴿٤﴾ أُوْلٰئِكَ
عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمۡۖ وَأُوْلٰئِكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُونَ ﴿٥﴾

سورۃ البقرۃ

اللّٰہ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الۡحَيُّ الۡقَيُّومُ
لَا تَأۡخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوۡمٌ – لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰت وَمَا فِي الۡأَرۡضِۗ
مَن ذَا الَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهٗ إِلَّا بِإِذۡنِهٖ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ
أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۦٓ إِلَّا
بِمَا شَآءَ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ لسَّمَٰوَٰتِ وَالۡأَرۡضَۖ وَلَا يَـُٔودُهٗ
حِفۡظُهُمَا وَهُوَ الۡعَلِيُّ الۡعَظِيمُ ﴿٢٥٥﴾

لَآ إِكۡرَاهَ فِي الدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشۡدُ
مِنَ الۡغَيِّۚ فَمَن يَكۡفُرۡ بِالطَّٰغُوتِ وَيُؤۡمِنۢ بِاللَّهِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَكَ
بِالۡعُرۡوَةِ الۡوُثۡقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَاۗ وَاللّٰہ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ﴿٢٥٦﴾ اللّٰہ
وَلِيُّ الَّذِينَ ءَامَنُواْ يُخۡرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَٰتِ إِلَى النُّورِۖ وَالَّذِينَ
كَفَرُواْ أَوۡلِيَآؤُهُمُ الطّٰغُوتُ يُخۡرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَٰتِۗ
أوْلٰئِكَ أَصۡحٰبُ النَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خٰلِدُونَ ﴿٢٥٧﴾

سورۃ البقرۃ

لِلّٰہِ مَا فِي السَّمٰوٰت وَمَا فِي الۡأَرۡضِۗ
وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ اللّٰہۖ
فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَاللّٰہ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٍ
قَدِيرٌ ﴿٢٨٤﴾ ءَامَنَ الرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهٖۦ وَالۡمُؤۡمِنُونَۚ
كُلٌّ ءَامَنَ بِاللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهٖۦ وَكُتُبِهٖۦ وَرُسُلِهٖۦ لَا نُفَرِّقُ
بَيۡنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ
رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ الۡمَصِيرُ ﴿٢٨٥﴾ لَا يُكَلِّفُ اللّٰہ نَفۡسًا إِلَّا
وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا اكۡتَسَبَتۡ رَبَّنَا لَا
تُؤَاخِذۡنَا إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَا رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ
إِصۡرًا كَمَا حَمَلۡتَهٗ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبۡلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا
مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَاعۡفُ عَنَّا وَاغۡفِرۡ لَنَا وَارۡحَمۡنَآۚ
أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَانصُرۡنَا عَلَى الۡقَوۡمِ الۡكَٰفِرِينَ  ﴿٢٨٦﴾

سورۃ الاعراف

إِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰہ الَّذِي خَلَقَ السَّمٰوٰت وَالۡأَرۡضَ
فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوَىٰ عَلَى الۡعَرۡشِۖ يُغۡشِي الَّيۡلَ النَّهَارَ
يَطۡلُبُهٗ حَثِيثًا وَالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرٰتٍ بِأَمۡرِهٖۦٓۗ
أَلَا لَهُ الۡخَلۡقُ وَالۡأَمۡرُ تَبَارَكَ اللّٰہ رَبُّ الۡعٰلَمِينَ ﴿٥٤﴾ ادۡعُواْ
رَبَّكُمۡ تَضَرُّعًا وَخُفۡيَةًۚ إِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الۡمُعۡتَدِينَ ﴿٥٥﴾ وَلَا
تُفۡسِدُواْ فِي الۡأَرۡضِ بَعۡدَ إِصۡلٰحِهَا وَادۡعُوهُ خَوۡفًا وَطَمَعًا –
إِنَّ رَحۡمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِينَ ﴿٥٦﴾

سورۃ بنی اسرائیل

قُلِ ادۡعُواْ اللّٰهَ أَوِ ادۡعُواْ الرَّحۡمَٰنَ
أَيَّا مَّا تَدۡعُواْ فَلَهُ الۡأَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى وَلَا تَجۡهَرۡ
بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتۡ بِهَا وَابۡتَغِ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلٗا ﴿١١٠﴾
وَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمۡ يَتَّخِذۡ وَلَدًا وَلَمۡ يَكُن لَّهٗ
شَرِيكٌ فِي الۡمُلۡكِ وَلَمۡ يَكُن لَّهٗ  وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَكَبِّرۡهُ تَكۡبِيرًا
﴿١١١﴾

سورۃ الصافات

وَالصَّٰٓفّٰتِ صَفًّا ﴿١﴾ فَالزَّٰجِرٰتِ زَجۡرًا
﴿٢﴾ فَالتَّٰلِيَٰتِ ذِكۡرًا ﴿٣﴾ إِنَّ إِلٰهَكُمۡ لَوٰحِدٌ ﴿٤﴾ رَّبُّ السَّمٰوٰت
وَالۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَرَبُّ الۡمَشَرِقِ ﴿٥﴾ إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ
الدُّنۡيَا بِزِينَةٍ الۡكَوَاكِبِ ﴿٦﴾ وَحِفۡظًا مِّن كُلِّ شَيۡطَٰنٍ مَّارِدٍ
﴿٧﴾ لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الۡمَلَإِ الۡأَعۡلَىٰ وَيُقۡذَفُونَ مِن كُلِّ
جَانِبٍ ﴿٨﴾ دُحُورًا وَلَهُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ﴿٩﴾ إِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَةَ
فَأَتۡبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ ﴿١٠﴾ فَاسۡتَفۡتِهِمۡ أَهُمۡ أَشَدُّ خَلۡقًا أَم
مَّنۡ خَلَقۡنَا إِنَّا خَلَقۡنَٰهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ ﴿١١﴾

سورۃ الرّحمٰن

يَٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ وَالۡإِنسِ إِنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ
أَن تَنفُذُواْ مِنۡ أَقۡطَارِ السَّمٰوٰت وَالۡأَرۡضِ فَانفُذُواْۚ لَا
تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلۡطَٰنٍ ﴿٣٣﴾ فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
﴿٣٤﴾ يُرۡسَلُ عَلَيۡكُمَا شُوَاظٌ مِّن نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنتَصِرَانِ ﴿٣٥﴾

سورۃ الحشر

لَوۡ أَنزَلۡنَا هَٰذَا الۡقُرۡءَانَ عَلَىٰ جَبَلٍ
لَّرَأَيۡتَهٗ خٰشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡيَةِ اللّٰهِۚ وَتِلۡكَ الۡأَمۡثٰلُ
نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُونَ ﴿٢١﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِي لَآ
إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهٰدَةِۖ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيمُ
﴿٢٢﴾ هُوَ اللّٰہُ الَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الۡمَلِكُ الۡقُدُّوسُ السَّلٰمُ
الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيزُ الۡجَبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُۚ سُبۡحَٰنَ اللّٰهِ
عَمَّا يُشۡرِكُونَ ﴿٢٣﴾ هُوَ اللّٰہُ الۡخٰلِقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُۖ لَهُ الۡأَسۡمَآءُ
الۡحُسۡنَىٰ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالۡأَرۡضِۖ وَهُوَ الۡعَزِيزُ الۡحَكِيمُ
﴿٢٤﴾

سورۃ الجن

قُلۡ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسۡتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ
الۡجِنِّ فَقَالُوٓاْ إِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡءَانًا عَجَبًا ﴿١﴾ يَهۡدِيٓ إِلَى الرُّشۡدِ
فَـَٔامَنَّا بِهٖۦۖ وَلَن نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَآ أَحَدًا ﴿٢﴾ وَأَنَّهٗ تَعٰلٰى
جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَٰحِبَةً وَّلَا وَلَدًا ﴿٣﴾ وَأَنَّهٗ كَانَ
يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللّٰهِ شَطَطًا ﴿٤﴾

 سورۃ الکافرون

۳-  قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا الۡكَٰفِرُونَ ۱-  لَآ أَعۡبُدُ مَاتَعۡبُدُونَ ۲-  وَلَآ أَنتُمۡ عَٰبِدُونَ مَآ أَعۡبُدُ 

 -وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمۡ ۴-  وَلَآ أَنتُمۡ عَٰبِدُونَ مَآ أَعۡبُدُ ۶- 

لَكُمۡ دِينُكُمۡ وَلِيَ دِينِ

سورۃ الاخلاص

قُلۡ هُوَ اللّٰہ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللّٰہ الصَّمَدُ ﴿٢﴾
لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ ﴿٣﴾ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدُۢ ﴿٤﴾

سورۃ الفلق

قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا
خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ 

﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّٰثَٰتِ فِي الۡعُقَدِ
﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾

سورۃا لناس

قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾
إِلَٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ الۡخَنَّاسِ 

﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسۡوِسُ
فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الۡجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾

اٰلِ عمران

وَلِلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌ ١٨٩ إِنَّ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَٱخْتِلَـٰفِ ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ لَـَٔايَـٰتٍۢ لِّأُو۟لِى ٱلْأَلْبَـٰبِ ١٩٠ ٱلَّذِينَ يَذْكُرُونَ ٱللَّهَ قِيَـٰمًۭا وَقُعُودًۭا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَـٰذَا بَـٰطِلًۭا سُبْحَـٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ١٩١ رَبَّنَآ إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ ٱلنَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُۥ ۖ وَمَا لِلظَّـٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍۢ ١٩٢ رَّبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًۭا يُنَادِى لِلْإِيمَـٰنِ أَنْ ءَامِنُوا۟ بِرَبِّكُمْ فَـَٔامَنَّا ۚ رَبَّنَا فَٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّـَٔاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ ٱلْأَبْرَارِ ١٩٣ رَبَّنَا وَءَاتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ ٱلْمِيعَادَ

Thank you for reading the post.

1 thought on “তেত্রিশ (৩৩) আয়াতের ফযিলত ও আমল”

  1. Pingback: কুরআনী চিকিৎসা - Educational Tips & Tricks.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top