হৃদরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

 

হৃদরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

 

হৃদরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

হৃদরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি:রোগের কারণ

নানা কারণে এই রোগ হইয়া থাকে অতিরিক্ত চা, কফি, মদ, ধুমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ,  অত্যন্ত মানসিক উত্তেজনা, ক্রুদ্ধ, ভয়, শোক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, অজীর্ণ, রক্ত শূন্যতা প্রভৃতি কারণে এই পীড়া হইতে পারে।

হৃদরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি (পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থাঃ –)

প্রত্যহ শীতল জলে স্নান , অল্প ব্যায়াম, খোলামেলা স্থানে বেড়ানো হিতকর, কোন প্রকার উত্তেজক দ্রব্যাদি আহার , যেমন- চা, কফি, তামাক, মদ, ঘৃত, ধুমপান, অধিক মসলাযুক্ত খাদ্য, অধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য নিষেধ। পুষ্টিকর খাদ্য
সামগ্রী আহার করিবে। কোন প্রকার উত্তেজনায় কিংবা গোলমালে যাওয়া উচিৎ নয়। 
ক্রোধ হওয়া নিষিদ্ধ।

হৃদরোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি: এই রোগটি কোন বয়সে হতে পারে।
এর কোন বয়স নেই যে কোন বয়সেই হতে পারে। সাধারনত ৬৫ উর্দ বয়ষ্ক লোকদের ৮২ শতাংশ এই হৃদরোগে রোগে মারা যায়  চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যিনি রোগের নামের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়েছেন তাঁর নাম হ্যানিম্যান। এই কৃতিত্বের দাবীদার একমাত্র তিনি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগের যত কঠিন কঠিন নামই দেন না কেন, তাতে একজন হোমিও ডাক্তারের ভয় পাওয়ার বা দুঃশ্চিন্তা করার কিছু নাই। যত চিন্তা তাঁদের(এ্যলোপ্যাথ) কারণ তাঁদের হার্টের ঔষধগুলো ইতর প্রাণীর উপর পরিক্ষীত। রোগের লক্ষণ এবং রোগীর শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ দিতে থাকুন। রোগের নাম যাই হোক না কেন, তা সারতে বাধ্য। হ্যানিম্যান এটাই শত-সহস্রবার প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। রোগীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পযর্ন্ত সমস্ত লক্ষণ সংগ্রহ করুন এবং তার মনে গহীনে অন্তরের অলিতে-গলিতে যত ঘটনা-দুর্ঘটনা জমা আছে, তার সংবাদ জেনে নিন। তারপর সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে খাওয়াতে থাকুন। হৃদরোগ বাপ বাপ ডাকতে ডাকতে ছেড়ে পালাবে ইনশা আল্লাহ। রোগের নাম নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই। হোমিও চিকিৎসায় যদি আপনার হৃদরোগ নির্মূল না হয় (অথবা কোন উন্নতি না হয়), তবে হোমিওপ্যাথির ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। কেননা এটি সেই হোমিও ডাক্তারের ব্যর্থতা বা তার দক্ষতার অভাব মনে করতে হবে।  যদিও সমগ্র লক্ষণ অনুসারে নির্বাচিত যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে-কোন হৃদরোগ নিরাময় হয়ে যায়, তথাপিও এমন কিছু হোমিও ঔষধ আছে যারা হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের চিকিৎসায় বেশী বেশী ব্যবহৃত হয়।

হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের কিছু ঔষধ:

তাদের মধ্যে আছে Adonis vernalis, Amylenum nitrosum, Arnica montana, Cactus grandiflorus, Convallaria majalis, Crataegus oxyacantha, Digitalis purpurea, Iberis amara, Kalmia Latifolia, Lachesis mutus, Latrodectus mactans, Laurocerasus, Lilium tig, Lycopus virginicus, Naja tripudians, Natrum muriaticum, Aurum metallicum, vanadium, Spigelia anthelmintica ইত্যাদি।

কাজেই হৃদরোগ চিকিৎসায়ও আমাদের সকলেরই উচিৎ প্রথমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অবলম্বন করা। কেননা অন্যান্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের তুলনায় কমপক্ষে একশ ভাগ কম খরচে হোমিও চিকিৎসায় হৃদরোগ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। অপরদিকে এ্যলোপ্যাথি জাতীয় ঔষধ এবং অপারেশন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হৃদরোগীর মৃত্যুকে দ্রুত ডেকে আনে। হৃদরোগ চিকিৎসায় ভালো নামডাকওয়ালা বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। কেননা সাধারণ হোমিও ডাক্তারদের দ্বারা হৃদরোগের চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম ; বরং হোমিওপ্যাথিতে প্রচণ্ড দক্ষতা আছে এমন চিকিৎসক প্রয়োজন।

লক্ষণ অনুসারে ঔষধের বিবরণ:-

বি.দ্র: নিম্নে উল্লেখিত কোন ঔষধ যদি কারো রোগ লক্ষণ ও মানুষিক লক্ষনের সাথে মিলিয়ে যায় তাহলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন। আপনার পছন্দ মতে ঔষধ ক্রয় করে সেবন করার চেষ্টা করবেন না। কারণ সঠিক ঔষধ নির্বাচন, ডোজ নির্বাচন, পাওয়ার নির্বাচন প্রয়োগ নির্বাচন এগুলোর জ্ঞান আপনার নেই। তাই
বিচক্ষণ ডাক্তারের স্বরানাপন্ন হতে হবে। 

Arjuna (অর্জুনা) :- ইহা আমাদের বাংলাদেশীয় ঔষধ। নানা প্রকার হৃদরোগে ইহা ব্যবহার হইতেছে। হৃদস্পন্দন, হৃৎপিন্ডের বেদনা, বুক ধড়পড় করা, দুর্বলতায় ইহা একটি উৎকৃষ্টঔষধ।  সেবন বিধি – শক্তি Q ৮/১০ ফোটা সামান্য জলসহ দিনে তিন চারবার। 

Phaseolus (ফ্যাসিওলাস) :- অত্যন্ত বুক ধড়পড় নাড়িরগতি দ্রুত হৃৎপিন্ডের চারিধারে বেদনা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। এসমস্ত লক্ষনে ইহা উপকারী ।  সেবন বিধি: শক্তি Q ৪/৫ ফোটা সামান্য জলসহ দিনে চারবার। 

Crataegus oxyacantha : হোমিওপ্যাথিতে প্রচলিত হৃদরোগের ঔষধগুলোর মধ্যে ক্রেটিগাস ঔষধটি হলো হার্টের জন্য ভিটামিন / টনিকের মতো যার তেমন কোন সাইড-ইফেক্ট নাই। এটি একাই শতকরা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। আজ থেকে একশ বছর পূর্বে আয়ারল্যান্ডের ডাঃ গ্রীন নামক একজন হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী এটি আবিষ্কার করেন। তিনি শুধু এই একটি ঔষধ দিয়ে এত এত হৃদরোগী আরোগ্য করেছিলেন যে, সারা পৃথিবীতে হৃদরোগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছিল এবং দুনিয়ার সকল প্রান্ত থেকে হৃদরোগীরা পঙপালের ন্যায় আয়ারল্যান্ডে ছুঁটে যেতো।তিনি নিম্নশক্তিতে
পাঁচ ফোটা করে রোজ ৪ বার করে খাইয়ে অধিকাংশ হৃদরোগীকে রোগমুক্ত করতে সক্ষম হতেন।

Aurum metallicum : ব্রিটিশ হোমিও চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ বানের্ট অগণিত জটিল হৃদরোগীকে আরোগ্য করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত এই হোমিও ঔষধটি হৃদরোগের একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সেরা ঔষধ। অরাম মেটের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো দুই-তিন সেকেন্ডের জন্য মনে হয় হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে, তারপর আবার খুব জোরে চলতে শুরু করেছে, বুক ধড়ফড়ানি, নাড়ির গতি দ্রুত-ক্ষীন এবং অনিয়মিত, হৃৎপিন্ডের আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়া (Hypertrophy), হার্টের ভালবের বা পেশীর বিকৃতি (Valvular lesions of arterio-sclerotic nature),রক্তনালীর প্রাচীর মোটা হওয়া (Arterio-sclerosis), চাপ (increased blood pressure), হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (Ascites), হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক ভল্টেজ কমে যাওয়া (pacemaker),বিষন্নতা  বা দুঃখবোধ (depression), হতাশা, আত্মহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি ইত্যাদি। সাধারণত রোগীর বা তাহার পিতা-মাতা-স্বামীর অতীতে সিফিলিস রোগ হয়ে থাকলে অরাম মেট দারুন ফল দেবে। মোটামুটি বলা যায়, অরাম মেট একাই এ যুগের বহুল প্রচলিত হৃদরোগসমূহের শতকরা ৯৫% ভাগ হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে।

Digitalis purpurea : জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন হৃদরোগীর নাড়ির গতি যদি মিনিটে ৫০ বার অথবা তারও কম হয়, তবে তাকে নিশ্চিতভাবেই ডিজিটালিস খাওয়াতে হবে। কেননা ইহা ডিজিটালিসের একেবারে স্প্যাসিফিক লক্ষণ । তার হৃদরোগের নাম যা-ই হোক না কেন, সেটি অবশ্যই সেরে যাবে। অবশ্য হৃদরোগ না হয়ে যদি লিভার, কিডনী, মস্তিষ্ক, পাকস্থলী বা চর্মরোগ যাই হোক না কেন, নিরাময় হতে বাধ্য । ডিজিটালিসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে নাড়িরগতি দুর্বল, অনিয়মিত, বিরতিযুক্ত, খুবই ধীরগতি সম্পন্ন, শরীরের বাইরের এবং ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি নামা / শোথ (dropsy), মায়োকার্ডিয়ামের বৃদ্ধি (dilatation of the myocardium), অরিকুলার ফ্লুটার এন্ড ফিব্রিলেশান (auricular flutter and ‍fibrillation), হার্ট ব্লক (Heart block),মাইট্রাল ডিজিজ (mitral disease), অত্যন্ত দুর্বলতা, অল্পতে বেহুঁশ হওয়া, চামড়া ঠান্ডা, শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত, জন্ডিস, মুখমন্ডল নীলচে, সামান্য নড়াচড়াতেই ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি, নড়লেই মনে হয় হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাবে, পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis),ইত্যাদি ইত্যাদি।

Lachesis mutus : কারো হৃদরোগের কষ্টগুলো যদি ঘুমালে বেড়ে যায়, অর্থাৎ নিদ্রা গেলে বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে ল্যাকেসিস খাওয়াতে হবে। তার হৃদরোগের নাম যা-ই হোক না কেন, তার নিশ্চিত রোগমুক্তি আশা করতে পারেন। Adonis vernalis : সাধারণত বাতের আক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ব্রাইটস ডিজিজের পরে হৃদরোগ দেখা দিলে তাতে এডোনিজ প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো হৃদপেশীর ফ্যাটি ডিজেনারেশান (fatty degeneration), হৃদরোগের কারণে শরীরে পানি নামা (cardiac dropsy), দুর্বল হার্ট এবং দুর্বল নাড়ি, মাইট্রাল এবং এওরটিক রিগারজিটেশান (Mitral and aortic regurgitation), এওরটার পুরাতন প্রদাহ (Chronic aortitis),ফ্যাটিহার্ট পেরিকার্ডাইটিস (Fatty heart pericarditis), বাতজনিত এন্ডোকার্ডাইটিস (Rheumatic Endocarditis), হৃৎপিন্ডে ব্যথা(Preæcordial pain),বুক ধড়ফড়ানি (palpitation), শ্বাসকষ্ট (dyspnœa), হৃদরোগজনিত হাঁপানি(Cardiac asthma), মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis) ইত্যাদি।হার্টের ভাল্বের সমস্যায় ইহা ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

Arnica montana : আর্নিকা হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ। যাদের ঘনঘন বুকে ব্যথা উঠে অথবা যাদের একবার হার্ট এটাক (স্ট্রোক) হয়েছে, তাদের সব সময় আর্নিকা ঔষধটি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। এটি আপনাকে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে। Latrodectus mactans : হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস (Latrodectus mactans) বিশেষত
ব্যথা যখন বাম হাতের দিকে ছড়াতে থাকে। মনে হয় কেউ যেন শক্ত হাতে গলা চেপে ধরেছে
; দম বন্ধ হয়ে এখনই মারা যাবে।

Amylenum nitrosum : এটি হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে কমন ঔষধ। এটি হৃৎপিন্ড এবং শরীরের ওপরের অংশের রক্তনালীকে প্রসারিত করার মাধ্যমে বুকের ব্যথা নিরাময় করে।

Glonoine : গ্লোনইন হলো হৃৎপিন্ডের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই দেওয়া যায়। পাশাপাশি এটি হাই ব্লাড প্রেসারেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

Speigeliya স্পাইজেলিয়া :- নতুন বা পুরাতন উভয় প্রকার হৃৎপিন্ডের পীড়ায় এই ঔষধ উপকারী। অত্যন্ত জোরে জোরে বুক ধড়পড় করে। হৃৎপিন্ডে সুঁচ ফোঁটানো ব্যাথা বাম দিকে চাপিয়ে শুইলে বুক ধড়ফড়ানী বাড়ে । সেবন বিধি: শক্তি Q ৩/৪ ফোঁটা সামান্য জলের সহিত দিনে চার পাঁচ বার।

Cactus grandiflorus : ইহাও হৃৎপিন্ডের রোগের একটি উল্লেখযোগ্য ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো মনে হবে হৃৎপিন্ডকে কেউ তার লোহার হাত দিয়ে এমনভাবে চেপে ধরেছে যে, সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।

Convallaria majalis : কনভেলেরিয়া রেগুলার অথবা ইরেগুলার হার্ট বিট বিশিষ্ট দুর্বল হৃদপিন্ডের জন্য একটি মূল্যবান ঔষধ, সাথে ভাল্বের সমস্যা থাকুক অথবা নাই থাকুক। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো রোগী শুইতে পারে না (অর্থাৎ শুইলে রোগ মাত্রা বেড়ে যায়)।

Vanadium : সাধারণত বয়স চল্লিশের দিকে আসলে মানুষ নানা রকমের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এজন্য এই বয়স থেকে প্রত্যকেরই (নিম্নশক্তিতে বছরে অন্তত একমাস) ভ্যানাডিয়াম খাওয়া উচিত। তাহলে হৃদরোগ ধারেকাছে আসতে পারবে না।

Caladium ক্যালেডিয়াম:- ধুমপান জনিত কারণে বুকধড়ফড়ানীতে ইহা অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ । শুনিয়াছি এই ঔষধ কিছু অধিক দিন সেবন করিলে ধুমপানের আকাংখা দূর হয়। সেবন
বিধি:
শক্তি Q ৩/৪ ফোঁটা সামান্য জলের সঙ্গে দিনে চার বার।

আপনি লক্ষন অনুযায়ী হোমিও ঔষধ সেবন করুন হার্টের জটিল রোগ নিরাময় হবে ইনশাআল্লাহ্!

বাইওকেমিক চিকিৎসা

Calcerea Phos  ক্যালকেরিয়া ফস :- রক্ত শূন্য দূরর্বল রোগীদের হৃৎপিন্ডের নানা প্রকার পীড়া । বুক ধড়ফড়ানী হৃৎপিন্ডে বেদনা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদিতে ইহা উপযোগী। সেবন বিধি:- শক্তি 6x বা 12X এক মাত্রা (বয়স অনুপাতে) দিনে তিনবার।

Kali Phos ক্যালি ফস:- স্নায়ুবিক দুর্বল রোগীদের হৃৎস্পন্দন থামিয়ে থামিয়ে হয়। অল্পতেই উত্তেজিত । সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিতে বুক ধড়ফড় করে। শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায়। সেবন বিধি:- শক্তি 6x বা 12X এক মাত্রা (বয়স অনুপাতে) দিনে তিনবার।

combination Medicine

1.
Dr. Reckeweg R3

 ডা. রেকওয়েজ এর – R3

 প্রধান উপাদানগুলির কর্মের পদ্ধতি:   নিম্নোক্ত গোষ্ঠীর কারণে হৃৎপিণ্ডের পেশী শক্তি বৃদ্ধি করে।

 

Cactus ক্যাকটাস :–  এনজাইনা পেক্টোরিসের উপসর্গ সহ নিপীড়ন। শক্তিশালী নাড়ি, শ্বাসরোধ।

Crataegus  ক্র্যাটেগাস :-  কার্ডিয়াক দুর্বলতা সহ মায়োডিজেনারেটিও কর্ডিস; সংক্রামক রোগের সময় হৃদয়ের দুর্বলতা। বেদনাদায়ক খিঁচুনি; হাইপোটেনশন; ক্ষতির প্রতি প্রবণতা; কার্যকরী অনিয়ম।

Digitalis ডিজিটালিস: কার্ডিয়াক প্রসারণের সাথে হার্ট ফেইলিওর। Kalium carbonicum  ক্যালিয়াম কার্বোনিকাম:এন্ডো-মায়োকার্ডাইটিসে হার্ট এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের দুর্বলতা। হৃদয়ে তীব্র ব্যথা।

Kalmia কালমিয়া:বাম হাতের নিচে প্রসারিত ব্যথা। শ্বাসকষ্ট সহ দীর্ঘস্থায়ী হার্টের দুর্বলতা। তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী এন্ডোকার্ডাইটিস, গাউট এবং রিউম্যাটিজমের পরে।

Phosphorus ফসফরাস:হৃদস্পন্দন প্রধানত বাম দিকে বিশ্রামের সময়, বুকে রক্ত ​​​​প্রবাহ এবং শ্বাসরোধ, যন্ত্রণা। সাধারণ স্নায়বিক ক্লান্তি এবং অতি সংবেদনশীলতা।

Scilla সিলা: ডিসরিথমিয়া সহ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের অপর্যাপ্ততা। পচনশীল ঘটনা।

Spigelia স্পিগেলিয়া: শক্তিশালী এবং অস্বাভাবিক ধড়ফড়, কম পালস, এন্ডো-মায়োকার্ডাইটিস।

Strophanthus: দ্রুত অভিনয় হার্ট টনিক

Thank you for reading the post.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top