ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহু দ্বিতীয় অধ্যায় فعل এর আলোচনা

ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহু দ্বিতীয় অধ্যায় فعل এর আলোচনা

فعل এর শাব্দিক অর্থ কাজ বা ক্রিয়া। এমন কোন فعل নাই যাহা আমল করে না। প্রত্যেক فعل তাহার فاعل কে পেশ দিবে। فعل অর্থগত হিসাবে দুইভাগে বিভক্ত:     ১। فعل لازم     ২। فعل متعدّی

فعل لازم  ঐ ফে;লকে বলে যে ফে’ল তাহার ফায়েল দ্বারাই সম্পূর্ণ হয়ে যায়। مفعول بہ এর প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ কর্তা তার কাজ সম্পাদন করতে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রয়োজন হয় না। যথা: ضَرَبَ زَیْدٌ بَکْرًا যায়েদ বকরকে প্রহার করিল। এখানে বকর না থাকলে যায়েদের প্রহার কর্ম সম্পাদন হইতো না। আরেকটি মেছাল যেমন: اَکَلَ زَیْدٌ طَعَامًا  যায়েদ খানা খাইল। এখানে খানা না থাকিলে যায়েদের খানা হইত না।

فعل متعدّی দুই প্রকার:

১। فعل معروف বাক্যের মধ্যে যে فعل  এর فاعل  উল্লেখিত হয় এবং সরাসরি ভাবে فعل  এর اسناد কে فاعل  এর দিকে করা হয় তাকে فعل معروف বলিবে । যথা : ضَرَبَ زَیدٌ যায়েদ প্রহার করিল।

২। فعل مجھول বাক্যের মধ্যে যে فعل  এর فاعل  উল্লেখ না থাকায় فعل  এর اسناد কে مفعول بہ  এর

দিকে করা হয় তাকে فعل مجھول বলিবে । যথা : ضُرِبَ زَیدٌ যায়েদ প্রহারীত হয়েছে।

فعل متعدّی ইহা مفعول হিসাবে চার প্রকার :

১। متعدی بیک مفعول :- কর্তা কর্ম সম্পাদন করতে একটি মাত্র مفعول  এর প্রয়োজন হলে

তাকে متعدی بیک مفعول বলিবে। যথা: اَکَلَ زَیْدٌ طَعَامًا – ضَرَبَ زَیْدٌ عَمًْرًوا

২। متعدی بدو مفعول اقتصارجائز কর্তা কর্ম সম্পাদন করতে দুইটি مفعول  এর  প্রয়োজন হইলেও একটিকে

উল্লেখ করলে চলে এমন ফে’লকে متعدی بدو مفعول اقتصارجائز বলে। যথা: اَعْطَیْتُ زَیْدًا دِرْھَمًا আমি যায়েদকে

একটি দেরহাম দিলাম। এখানে زَیْدًا বা دِرْھَمًا যে কোন একটি উল্লেখ করলেও চলে।

৩। متعدی بدو مفعول اقتصار ناجائز যাহা দুইটি مفعول  ছাড়া সম্পাদন হয়না । উভয় مفعول  কে উল্লেখ করতে হয়

একটির উপর সংক্ষিপ্ত করা অবৈধ। যথা: حَسِبْتُ زَیْدًا عَالِمًا  আমি যায়েদকে আলেম ধারনা করলাম।

এরকম ফে’ল ৭টি যে গুলোকে افعال قلوب  বলে। যথা: عََلِمتُ – وَجَدْتُ – زَعَمْتُ – رَایْتُ – حَسِبْتُ- ظَنَنتُ – خِلْتُ

৪। متعدی بسہ مفعول যাহা তিন مفعول  ছাড়া সম্পাদন হয়না। এপ্রকারের ফে’ল ৬টি। যথা:- اَعْلَمَ – اَخْبَرَ – اَرٰی – اَنْبَاَ – نبَّاَ – حَدَّثَ

যেমন:- اَعْلَمَ اللہُ زَیْدًا عَمْرًوا فَاجِلًا  আল্লাহ তা’য়ালা যায়েদকে জানায়ে দিলেন যে আমর পুন্ডত।

মনে রাখিতে হবে যে, افعال قلوب এর দ্বিতীয় مفعول এবং متعدی بسہ مفعول এর তৃতীয় مفعول কে এবং  مفعول لہ  ও مفعول معہ  কে نائب فاعل  বানানো যায় না।

متعدی بدو مفعول اقتصارجائز এর দুই مفعول এর যে কোন একটিকে نائب فاعل  বানানো যায় । কিন্তু প্রথম مفعول কে প্রথম مفعول কে نائب فاعل  বানানো উত্তম।

فعل مجھول উহা فاعل  এর স্থলে مفعول بہ কে পেশ দিয়ে نائب فاعل বানাবে।বাকী অবশিষ্ট مفعول যবর দিবে।

যথা: ضُرِبَ زَیْدٌ یَوْمَ الْجُمٌعَۃِ اَمَامَ الْبَیْتِ ضَرْبًا شَدِیْدًا فِی صِحْنِ تَادِیْبًا وَالخَشَبَۃَ  যায়েদ শুক্রবার দিনে ঘরের সামনে উঠানের মাঝে আদবের জন্য লাঠি দিয়ে কঠোরভাবে  প্রহারীত হয়েছে। فعل   উহা لازم হোক বা   متعدّی হোক فاعل কে পেশ দিবে এবং ছয় اسم কে যবর দিবে।

فعل  ছয় اسم কে যবর দিবে।

১। مفعول مطلق যথা: قَامَ زَیْدٌ قِیَامًا – ضَرَبْتُہٗ ضَرْبًا

২। مفعول فیہ যথা: قُمْتُ عِنْدَ الْمَسْجِدِ – ضَرَبْتُہٗ یَوْمَ الْجُمْعَۃِ

৩। مفعول لہ যথা: قُمْتُ اِکْرَامًا لَہٗ – ضَرَبْتُہٗ تَادِیْبًا

৪। مفعول معہ যথা: جَاءَ الْبَرْدُ وَ الْجُبَّۃِ – ضَرَبْتُہٗ وَالْخَشْبَۃَ

৫। حال যথা: جَاءَ زَیْدٌ رَاکِبًا – ضَرَبْتُہٗرَاکِبًا

৬। تمیز যথা: طَابَ زَییْدٌ نَفْسًا

فعل  متعدّی  ইহা ছাড়া مفعول بہ  কে ও যবর দিবে। যথা: ضَرَبَ زَیْدٌ خَالِدًا

বিস্তারিতঃ

১। مفعول مطلق উহাকে বলে, যাহা উল্লেখিত فعل  এর مصدر  সহজ কথায় উল্লেখিত فعل  এর مصدر  কে

মাফউলে মাত্বলক্ব বলে।  مفعول مطلق তিন প্রকারে আসে। (১)  بَیَانِ نُوْعْ (২) بَیَانِ عَدد (৩) بَیَانِ تَاکِیْد

(১)  بَیَانِ نُوْعْ যথা: جَلَسْتُ جِلْسَۃَ الْقَارِی  আমি ক্বারীর মত বসলাম।

(২) بَیَانِ عَدد যথা: جَلَسْتُ جِلْسَۃً আমি একবার বসলাম।

(৩) بَیَانِ تَاکِیْد  যথা: جَلَسْتُ جُلُوْسًا আমি বসার মত বসলাম।

২। مفعول فیہ কর্তার কাজ যে স্থানে বা কালে হবে তাকে مفعول فیہ বলিবে। যথা: جَلَسْتُ اَمَامَ الْبَیْتِ – جَرَبْتُہٌ یَوْمَ السّبْتِ  মা্ফউলে ফিহী ২ প্রকার (১) ظَرْف زمان (২) ظَرْف مکان

৩। مفعول لہ কর্তার কাজ যে কারণে হইবে ঐ কারণ কেই مفعول لہ বলে। যথা: قُمْتُ اِکْرَامًا لَہٗ – ضَرَبْتُہٗ تَادِیْبًا

৪। مفعول معہ উহাকে বলে যাহা فاعل  এর পরে যে واو টি مَعْ অর্থ রাখে সে واو এর পরে আসে। অথবা فاعل  এর সঙ্গে যাহা نسبت ছাড়া আসিবে তাহাকে مفعول معہ বলিবে। যথা: جَاءَ الْبَرْدُ وَ الْجُبَّۃِ –  শীত জুব্বা সহ আসিল।  جَاءَ الْمُعَلِّمُ وَالتِّلْمِیْذَ  শিক্ষক ছাত্রসহ আসিলেন।

৫। حال উহাকে বলে, যাহা কখনো فاعل  কখনো مفعول এর অবস্থা বর্ণনা করে। আবার কখনো فاعل  এবং مفعول  দুইটার অবস্থা একসথে বর্ণনা করে। যথা:

لَقِیْتُہٗ رَاکِبَیْنِ – ضَرَبْتُ زَیْدًا مَشْدُوْدًا – جَاءَ زَیْدٌ رَاکِبًا

حال কখনো جملہ হয় । যথা: جَاءَ زَیْدٌ وَھُوَ رَاکِبٌ

ذُوالْحال যখন نکرہ হয় তখন حال কে ذُوالْحال  এর উপর مقدّم  করা হয়। যথা: جَاءَنِی رَاکِبًا رَجّلٌ আমার নিকট ছাওয়ার হয়ে এক ব্যক্তি আসিল। কেননা حَالت نصبی  তে صفت  এর সঙ্গে মিলিয়ে যাওয়ার আসংখ্যা থাকে।

৬। تمیز :  যখন فعل  এর নিসবত্ তাহার فاعل  এর দিকে করা হয়, তখন কোনো কোনো فعل  এর নিসবত্ এর মধ্যে অস্পষ্টতা থেকে যায়। ঐ অস্পষ্টতা দূর করার জন্য যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহাকে تمیز বলে। যথা: طَابَ زَیْدٌ نَفْسًا যায়েদ মনের দিক দিয়ে খুশী।

مفعول بہ কর্তা কর্ম করিতে যাহা ছাড়া কর্তার কর্ম সম্পাদন হয় না। তাহাকে مفعول بہ বলেবে। যথা:

اَکَلَ زَیْدٌ طَعَامًا যায়েদ খানা খাইল।

اَلْاَفْعَالُ الْعَامِلَۃُ السِّمَاعِیَّۃُ  

শ্রভনীত আমলকারী فعل  সমূহ চার প্রকার । যথা: (১) اَفْعَال نَاقِصہ (২) اَفْعَال مُقَارِبَہ  (৩) افْعَال مُدَح و ذم  (৪) اَفْعَال قُلُوب

(১) اَفْعَال نَاقِصہ যে ফে’ল গুলো সুধু  فاعل  দ্বারা সম্পূর্ণ হয়না। বরং তাদের জন্য خبر  এর প্রয়োজন হয়। ঐ ফে’ল গুলোকে اَفْعَال نَاقِصہ বলে।  اَفْعَال نَاقِصہ  ১৩টি । যাহা নিচে উল্লেখ করা হল।

کَانَ – صَارَ – ظَلَّ – بَاتَ – اَصْبَحَ – اَضْحٰی – اَمْسٰی – مَابَدِحَ – مَا فَتٰی – مَازَالَ – مَادَامَ – مَااَنْفَکَّ – لَیسَ

اَفْعَال نَاقِصہ  এর আমল : এগুলো اسم কে পেশ দিবে এবং خبر কে যবর দিবে। যথা: کَانَ زَیْدٌ قَائمًا

کَانَ তিন প্রকার :  (১) کَانَ এ نَاقِصہ (২) کَانَ এ تَامَّہ যথা: کَانَ مَطَرٌ (৩) کَانَ এ زَئدہ  যথা: کَیْفَ نُکَلِّمُ مَنْ کَنَ فِی الْمَھْدِ صَبِیًّا

اَفْعَال نَاقِصہ  এর অর্থ

کَانَ  এবং صَارَ  এর অর্থ :- হইয়া গেল।

ظَلَّ  অর্থ :- দিনের বেলা হইয়া গেল।

بَاتَ  অর্থ:- রাত্রির বেলা হইয়া গেল।

اَصْبَحَ  অর্থ:- সকাল বেলা হইয়া গেল।

اَضْحٰی  অর্থ:- দুপুর বেলা হইয়া গেল।

اَمْسٰی  অর্থ:- সন্ধ্যা বেলা হইয়া গেল।

لَیسَ  অর্থ:- না বা নহে।

مَادَامَ  অর্থ:- যতক্ষণ থাকিবে

বাকী চারটির অর্থ : সবসময় রহিল।

اَفْعَال مُقَارِبَہ চারটি:

عَسٰی – کَادَ – کَرُبَ – اَوْشَکَ এই ফে’ল গুলো اسم কে পেশ দিবে এবং خبر কে যবর দিবে। خبر কিন্তু فعل مضارع এর ছিগাহ হবে। কখনো  اَنْ দিয়া আবার কখনো اَنْ  ছাড়া।  যেমন:-

عَسٰی زَیْدٌ اَنْ یَّخْرُجَ যায়েদের বের হওয়া দেরী নহে। অর্থাৎ যায়েদের বের হওয়া অতি নিকটে। اَنْ  ছাড়া যেমন :  عَسٰی زَیْدٌ یَّخْرُجَ যায়েদ অতিসত্বর বাহির হিইতেছে। اَنْ  যুক্ত فعل مضارع টি যখন عَسٰی এর فاعل  হয় তখন তাহার خبر এর প্রয়োজন হয় না। যথা:-  عَسٰی اَنْ یَّخْرُجَ زَیْدٌ

اَففْعَال مَدح و ذَم প্রসংশা এবং নিন্দাবাচক কাজ বা ক্রিয়াঃ

اَففْعَال مَدح و ذَم দুইটি করে চারটি।  نَعْمَ – حَبَّذَا  প্রসংশার জন্য। بِئْسَ – سَاءَ  নিন্দার জন্য । এই ফে’ল গুলি ফা’য়েলকে পেশ দিবে । এবং مَخْصُوْصٌ بِالْمَدْحِ ও مَخْصُوْصٌ بِالذَّم কে পেশ দিবে । اَفْعَال مَدح و ذَم এর ফা’য়েল এর জন্য তিনটি শর্তের যে কোন একটি শর্ত অবশ্যই থাকিবে । فاعل  এর জন্য শর্ত  حَبَّذَا এর মধ্যে حَبَّ টি ফে’ল এবং ذَا তার ফায়েল হবে । 

১। فاعل  কখনো الف لام দিয়া معرفہ  হবে । যেমন : نِعْمَ الرَّجُلُ زَیْدٌ – بِئْسَ الرّجُلُ زَیْدٌ

২। فاعل  কখনো الف لام ওয়ালার দিকে اِضافت হবে । যেমন : نِعْمَ صَاحِبُ الْقَوْمِ خَالِدٌ – سَاءَ صَاحِبُ الْقَوْمِ رَشِیْدٌ

৩। فاعل  কখনো ضمیر مستَتر  হবে, যাহার تمیز  হবে যবর বিশিষ্ট যেমন: نِعْمَ رَجُلًا بَکْرٗ এখানে ھُوَ তাহার فاعل  হিসেবে লুকায়িত বা مُسْتَتر আছে । যাহার تمیز  হল رَجُلًا এছমে নাকেরাহ্, “ اَفْعَال مَدح و ذَم এর মধ্যে ফে’ল ফায়েল মিলিয়া خبر مقدّم এবং مخصوص مَدْح و ذم উহা مبتداء مؤخّر । 

افعال قلوب

افعال قلوب ৭টি (১) عَلِمْتُ (২) رَآیْتُ (৩) وَجَدْتُ (৪) حَسِبْتُ (৫) ظَنَنْتُ (৬) خِلْتُ (৭) زَعَمْتُ এগুলো فاعل কে পেশ দিবে এবং দুই এছেমকে مفعول بہ  হিসাবে যবর দিবে । যেমন : عَلِمْتُ رَشِیْدًا عَالِمًا আমি রশিদকে আলেম জেনেছি ।

فاعل  এর আলোচনা

فاعل এমন একটি اسم কে বলে, যাহার পূর্বে একটি فعل معروف তাকিবে এবং ফে’ল এর নিসবত বা সম্পর্ক اسم এর দিকে نسبت ثبوتی থাকিবে । অর্থাৎ যেন ফে’লটি সে اسم এর দ্বারা সংঘটিত হয়েছে । যথা: قَامَ زَیْدٗ যায়েদ দাড়াইল । ضَرَبَ زَیْدٗ যায়েদ প্রহার করলো । এখানে قِیَام এবং ضَرْبٗ যায়েদ দ্বারা সংঘটিত হয়েছে । যাহার দ্বারা ক্রিয়া পদটি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহাকে فاعل বলে ।

نائب فاعل  এর আলোচনা

نائب فاعل এমন একটি اسم কে বলে যাহার পূর্বে একটি فعل مجھول তাকিবে এবং ফে’ল এর নিসবত বা সম্পর্ক اسم এর দিকে نسبت ثبوتی  না হয়ে نسبت وقوعی থাকিবে । যথা: ضُرِبَ زَیْدٗ যায়েদ প্রহরীত হইল । এখানে যায়েদের পূর্বে ضُرِبَ  ফে’লে মাজহুল রয়েছে । তাহার نسبت যায়েদের দিকে نسبت وقوعی হয়েছে । অর্থাৎ যায়েদ প্রহার করে নাই বরং প্রহারিত হয়েছে । যেটাকে আমাদের উরফে বলে “ সে মার দেয় নাই বরং সে মার খেয়েছে ।

অসমাপ্ত চলবে

প্রথম অধ্যায় اسم এর আলোচনা বিস্তারিত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top