ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহু

Table of Contents

ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহু

Kholasatun Nahoo

 

 

الصَّرفُ أُمُّ العُلُوْمِ وَالـنَّـحْـوُ
أَبُوْهَا – يَقْوٰى فِي
الدِّرَايَاتِ الدَّارُوْهَا و يَطْغٰى فِي
الرِّوَايَاتِ العَارُوْهَا

 ترجمہ: علم صرف تمام علوم کی ماں ہے اور علم نحو باپ ہے اور جو لوگ صرف و نحو کاعلم رکھتے ہیں ان کو علوم عقلیہ میں خوب قوت اور استعداد حاصل ہوتی ہے  – اور جو لوگ صرف ونحو سے عاری یعنی نا واقف
ہوتے ہیں وہ علوم نقلیہ میں گمراہ ہو جاتے ہیں اور منزل مقصود کو نہیں پہنچ سکتے۔

বাংলা অনুবাদ:
শব্দের পরিবর্তনশীল বিদ্যা (ইলমুছ ছরফ) হল জ্ঞানের জননী
, এবং ব্যাকরণ হল এর জনক। এবং যারা শব্দ পরিবর্তনশীলের জ্ঞান রাখে তাদের উলূমে আকলিয়্যাহতে প্রচুর শক্তি এবং ক্ষমতা রয়েছে – এবং যারা শব্দের পরিবর্তনশীল বিদ্যা (ইলমুছ ছরফ) সম্পর্কে অজ্ঞ তারা বিপথে চলে যায়। এবং তারা কুরআন হাদীসের মর্মার্থ বুঝতে গিয়ে নিজেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।

 

 

%25D8%25B1%25D8%25A8%25DB%258C%2B%25D8%25B2%25D8%25AF%25D9%2586%25DB%258C%2B%25D8%25B9%25D9%2584%25D9%2585%25D8%25A7

ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহুর ভুমিকা

যে কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে ঐ বিষয়ে বিচক্ষনতা অর্জন করার লক্ষে কয়েকটি জিনিস জানিয়া রাখা জরুরী অতএব কারণে নাহবেমীর শুরু করার পূর্বেও আমাদেরকে আটটি জিনিস জানিয়া রাখতে হবে।

1.لفظ نحو كا لغوى تحقيق

2.     علم نحو اصطلاحى تعرىف

3.     علم نحو موضوع

4.      علم نحو كا غرض و غايت

5.     علم نحو كى وجه تسميه

6.     علم نحو كے عظمت و شرافت

7.     علم نحو كى تدوين

8.     نحو مير كى مصنّف مختصر حالات 

বিশেষ ভাবে এলমে নাহু শুরু করার পূর্বে এই তিনটি জিনিষ জানিয়া রাখিবে

১। موضوع বা আলোচ্য বিষয় কি?  

২। غرض বা উদ্দেশ্য কি ?     

৩।    تعریفবা সংজ্ঞা কি ?

 

· موضوع বা আলোচ্য বিষয়ঃ کلمہ و کلام – অর্থাৎ শব্দ এবং বাক্য গঠন জানিবে।

· غرض বা উদ্দেশ্যঃ- আরবী ভাষা পড়িতে এবং লেখিতে ভুল থেকে বাছিবে।

·   تعریفবা সংজ্ঞাঃ- এমন কতগুলি পদ্ধতি ভিত্তিক শিক্ষাকে বলে। যাহা দ্বারা معرب এবং  مبنیহিসাবে   اسم – فعل – حرف      এর শেষ অক্ষরের حرکت সমন্ধে জ্ঞান লাভ করা যায় এবং আরবী বাক্যের সাংগঠনিক   বিধি বিধান জানা যায়, তাকে মে নাহু বলিবে।

 আবিস্কারকঃ-

প্রথম আবিষ্কারক হযরত আলী ইবনে আবী ত্বলিব (রাঃ)। দ্বিতীয় আবিষ্কারক বা বিশ্লেষক  আবুল আসওয়াদ দুয়ালী, তিনি হলেন একজন তাবেয়ী।  আবু বকর  মুহাম্মদ ইবনুল হাসান যায়দী (রাহঃ) বলেন । আরবীরা জাহেলী যোগ থেকে স্বভাবগত ভাবে (ফসিহ ও বলীগ)  সাহিত্যপূর্ণ  ভাষায় কথা বলতো । কিন্তু যখন দ্বিন ইসলামের বিজয় হল । ইসলাম দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তৃত হলো, মানুষ দলে দলে ইসলামের ছায়ায় আসতে লাগলো এমনি সময় অনারবীরা আরবী  বলা শুরু করলো । যেহেতু আরবী তাদের মাতৃভাষা নয় সেহেতু তারা আরবী বলতে ভুল করতো। যার ফলে আরবী ভাষায় সমস্যা দেখা দিল। তখন আরবী সাহিত্যকরা আরবী ক্বায়ায়েদ বা আরবী ব্যাকরণ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। আরবী ক্বায়দা-ক্বানূন তৈরি করার প্রতি মনোরযাগী হন।

যেন অনারবীরাও ক্বাওয়ায়িদ অনুযায়ী  আরবী ভাষায় শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারে।  বর্ণিত আছে হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী (রাহ্ঃ) বলেন আমি একদা হযরত আলী (রাঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হলাম। তখন আমি তার হাতে একটি কাগজের টুকরা দেখতে পাই। আমি জিজ্ঞাসা করলাম হযরত এই কাগজ কিসের? তিনি আমাকে উত্তর দিলেন । আবুল আসওয়াদ! আমি লক্ষ করলাম যে, অনারবী লোকদের ভাষা মিশ্রনের কারণে আরবী ভাষায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্য সমাধানের লক্ষে আমি কিছু উসূল বা ক্বাওয়ায়িদ তৈরি করেছি যাহা অনুকরণ করে আরবী বললে সমস্যা দূরিভুত হয়ে যাবে।
আবুল আসওয়াদ দুয়ালী বলেন অতঃপর তিনি কাগজটি আমার হাতে দিয়ে বলেন, তুমি  এই সূত্রের উপর গভির চিন্তা ও গভেষনা করে তোমার স্বরণে যা আসে এরকম  আরো উপকারী ক্বায়দা-ক্বানূন লেখ।
আবুল আসওয়াদ দুয়ালী (রাহ্ঃ) ঐকাগজটি খোলে দেখেন যে ঐখানে  লেখা  اَلْکَلَامُ ثَلَاثَۃٌ – اِسمٌ وَ فِعْلٌ وَ حَرْفٌ হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী বলেন আমি আলী রাঃ এর নির্দেশ মোতাবেক তাহার উসূল কে অনুস্বরণ করে আরো অনেক ক্বায়দা-ক্বানূন লিপিবদ্ধ করি। যেমন:-
عطف – باب عطف – استفھام – تعجب – اِنَّ اور اسکے اخوات
এক্বায়দাগুলো লেখে হযরতকে দেখাই । হযরত দেখে বললেন لٰکنَّ  কেও  এখানে শামিল কর। অতঃপর আমি   لٰکنَّ কে শামিল করে দেখাইলে তিনি খুশি হয়ে বলেন :- مَا اَحْسَنَ ھٰذَا النَّحْوَ قَدْ نَحَوْتَ
কতইনা সুন্দর এরাদা যাহা আপনি করেছেন? এঘটনা দ্বারা ইহাই জানা গেল যে, ইলমে নাহুর সর্ব প্রথম আবিষ্কারক হযরত আলী রাঃ আর ইহার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন আবুল আসওয়াদ দুয়ালী রা:।
অনুসৃত বিই :-   نشآۃ النّحو و تاریخ اشھر النّحاۃ للشیخ الطنطاوی اور تذکیر اردو شرح نحو میر
ٖঅন্য একটি বর্ণনায় এসেছে যে, এক রাতে আবুল আসওয়াদ দুয়ালী তার মেয়ের পাশে বসে ছিল। এমনি সময় তার মেয়ে বলল مَا اَحْسَنَ السَّمَائَ আসমানকে কোন জিনিসে সুন্দর বানিয়ে রাখছে। তার বাবা দুয়ালী বললেন نُجُوْمُھَا  তারকায় সুন্দর বানিয়ে রাখছে। মেয়ে বলল আব্বাজান আমার উদ্দেশ্য প্রশ্ন করা ছিলনা। বরং আমার উদ্দেশ্য ছিল اظھار تعجّب আশ্চর্যতা প্রকাশ করা, আসমান কতইনা সুন্দর। বাবা (দুয়ালী) বললেন হে আমার আদরের মেয়ে যদি তোমার উদ্দেশ্য اظھار تعجّب  হয় তাহলে তো এভাবে বলতে হবে। مَا اَحْسَنَ السَّمَائُ হামযাহ্ কে পেশ দিয়ে । অতঃপর আবুল আসওয়াদ দুয়ালী নিজের থেকে ইলমে নাহু শিক্ষার গুরুত্ব অনূভব করতে পারেন । এবং নিজের থেকে ইলমে নাহুর ক্বাওয়ায়েদ আরো বিস্তারিত ভাবে লেখা শুরু করেন।
আরো একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, হযরত উমর রাঃ এর খিলাফত কালে এক আরবী লোক কুরআন মাজীদ শিখার জন্য হযরতের কাছে এসছেন। উমর (রাঃ) তাকে অনারবী একজন ক্বারীর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। পড়তে পড়াইতে  পড়াইতে যখন اِنَّ اللہَ بَرِیئٗ مِّنَ  الْمُشْرِکِیْنَ وَ رَسُوْلُہٗ এখানে পৌছেন رَسُوْلُہٗ এর স্থলে رَسُوْلِہٗ  রাসূলিহী  পড়াইল । যার অর্থ হয় আল্লাহ জাল্লাহ্  জালালুহু মুশরিকদের উপর এবং রাসূলের উপর। (নাউযু বিল্লাহ্) তখন ঐ আরবী ব্যাক্তি বলল যখন আল্লাহ নিজ রাসূলের উপর বেজার তখন আমরা কেন ঐ রাসূলের উপর ঈমান আনবো কুরআন পড়ার ই বা প্রয়োজন কী ? এসমস্ত কথাবার্তায় নিয়ে উভয় (উস্তাদ শাগরেদ) ঝগড়া হয়ে গেল। অবশেষে ফযসালার জন্য উমর রাঃ এর স্বরনাপন্ন হল । উমর রাঃ ক্বারী সাহেবকে বিষয়টা বুঝিয়ে দিলেন যে, রাসূলিহী নয়, রাসূলুহু হবে । এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে হযরত উমর রাঃ ইলমে নাহুর গুরুত্ব বুঝলেন এবং দুয়ালীকে ইলমে নাহুর উপর আরো বেশি মেহনত করার জন্য নির্দেশ দিলেন।

নাহু অর্থ সাতটিঃ-

1. قصد  কস্দ বাংলা অর্থঃ- ইচ্ছা ।
2. مقدار মিক্বদারবাংলা অর্থঃ- পরিমাণ ।
3.  قبیلہকবীলাবাংলা অর্থঃ- গোত্র ।
4.  شرحশরহুবাংলা অর্থঃ- ব্যাখ্যা ।
5.نوع নৌড়বাংলা অর্থঃ- প্রকার ।
6.  مثالমেছালবাংলা অর্থঃ- দৃষ্টান্ত ।
7.طرف তরফ, বাংলা অর্থঃ- দিকে ।

এই সাতটি অর্থ নিম্ন লিখিত শে’র এর মধ্যে পাওয়া যায়।

نَحَوْنَا نَحْوَ نَحْوِكَ يَا حَبِيْبِى – نَحَوْنَا نَحْوَ اَلْفٍ مِّنْ رَقِيْبِىْ

وَجَدْنَاهُمْ مَرِيْضًا نَحَوَ قَلْبِيْ – تَمَنَّوْا مِنْكَ نَحْوَ مِنْ زَبِيْبِيْ

علم نحو كى وجه تسميه :- আবুল আসওয়াদ দুয়ালী (রাহ্ঃ) যখন ইলমে নাহুর ক্বাওয়ায়িদ গুলো লিখে হযরত আল (রাঃ) কে দেখালেন। তখন তিনি খুশি হয়ে বললেন  مَااَحْسَنَ هَذَا
النَّحْو قَدْ نَحَوْتُ بِه
ইহা কতইনা ভালো উদ্যোগ যাহার ইচ্ছা আমি করেছি। এই বাক্যের মধ্যে আলী (রাঃ) نَّحْو শব্দ করেছেন ঐ মুনাছাবাতে দুয়ালী (রাহ্ঃ) ক্বাওয়ায়েদগুলোর নাম রেখে দিলেন علم نحو করে।

علم نحو كے عظمت و شرافت

علم نحو كے عظمت و شرافت :-হযরত উমর (রাঃ) বলেন تَعَلّمُوْا  النَّحْو كَمَا تَعَلَّمُوْنَ السُّنَنَ وَالْفَرَائِضَ তোমরা যেমন গুরুত্ব দিয়ে ফরয এবং সুন্নাত শিখ তেমন গুরুত্ব দিয়ে ইলমে নাহুও শিখ। কেননা ইলমে নাহুর জ্ঞান ব্যতিত কুরআন হাদীস সঠিক ভাবে বুঝা অনেক কঠিন। এই জন্য উলামায়ে কেরাম বলেছেন ইলমে নাহু শিখা ফরযে কেফায়া । এক বর্ণনায় আছে যে, কিয়ামতে দিন আল্লাহ্ তা’য়ালা ফিরেশতাদেরকে বলবেন

يَامَلَائكِيْ اِنْحَوْهُمْ عَنِ النَّارِ كَمَا نحَوْ كَلَامِيْ عَنِ الْخَطَاءِ আজকের দিনে আমি নাহুবিধদের কে দোযখ থেকে রক্ষা করবো যেমনি ভাবে তারা দুনিয়াতে আমার কালামকে ভুলকে রক্ষা করেছেন।  একটি মাকূলা কিতাবে উল্লেখ আছে اَلنَّحْوُ فِى الْعِلْمِ كَالْمِلْحِ فِى الطَّعَامِ এলমে নাহু ইলেমের জগতে এমন খানার জগতে লবন যেমন।

নাহবেমীর এর লেখকের সংক্ষিপ্ত জিবনী:-

নাম- আলী ইবনে মুহাম্মদ আলী, উপনাম – আবুল হাসান, জুরজান নামক এলাকার সম্ভ্রান্ত এক বংশে তার শুভ জন্ম হয়। এজন্য তিনি ছায়্যিদ শরীফ ও ছায়্যিদুছ ছনদ নামে প্রশিদ্ধ ।

জন্মসাল:- ২২শে সা’বান ৭৪০ হিজরী, জুরজান নামক এলাকার ত্ব-গু নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।  এজন্য তাকে জুরজানী বলা হয়।

মৃত্যুসাল:- ৬ এ রবিউল আওয়াল ৮১৬ হিজরী রোজ বুধবার শিরাজ নামক অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেন। সিরাজের ফসীলের সাথে মাদফুন হয়। نَوَّرَاللهُ مَرْقَدَه

بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله رب العلمين – الرحمن الرحيم – والصلوة والسلام على رسوله
الكريم  – وعلى اله واصحابه اجمعين –

==

%25D8%25A7%25D9%2584%25D9%2586%25D8%25AD%25D9%2588%2B%25D9%2581%25DB%258C%2B%25D8%25A7%25D9%2584%25D8%25B9%25D9%2584%25D9%2585

 

ইলমে নাহু বাক্যের জন্য এমন-  খানার জন্য লবন যেমন।
لفظ  অর্থ শব্দ

 لفظদুই প্রকার:   ১।          مفرد২। مرکب

مفرد একক একটি শব্দ যাহা একটি অর্থ বুঝায়।  مفردএর অপর নাম کلمہ

کلمہ তিন প্রকার ১। اسم ইছেম ২। فعل ফে’ল ৩। حرفহরফ

اسم বা নাম বাচক ব্দঃ- নাম বাচক বা বিশেষ্য শব্দকে ইছেম বলে যাহা একটি অর্থ বুঝায়। যথা- رَجلؑ একজন পুরুষ।

-: فعل কাজ বা ক্রিয়া বাচক শব্দ, যথা- فَعَل সে একজন পুরুষ করিল। 

-:حرف অব্যয় বাচক শব্দ। যথা- لِ – بِ – علی – فی – عن –
من –
 হইতে, থেকে,মধ্যে, উপরে ইত্যাদি।। এই তিন প্রকারকে তিনটি  بابবা অধ্যায়ে বর্ণনা করা হবে। انشاء اللہ

প্রথম অধ্যায় اسم এর বর্ণনায়।

اسم এর চিহ্ন বা নিশানা ১১টি। মূল চিহ্ন চারটি। 

)( শব্দের শুরুতে ال যোগ হওয়া । যথা- الحمد – الرّحمٰن

(২) শব্দের শুরুতে حرف
جر
যোগ হওয়া। যথা- من اللہ – بزید

(৩) শব্দের শেষে তাবীন যোগ হওয়া। যথা-قمرؑ – رجلؑ

(৪) শব্দের শেষে গোলতা হওয়া যথা   ضاربۃ – شجرۃ

ইছেম এর ইযারা

اقسام الاسم ইছেম  বা বিশেষ্যের প্রকার:- 

اسم বচন গত হিসাবে তিন প্রকার :(1) واحد(2)     تثنیہ(3) جمع

(1) ـ:واحد একবচন যাহা একটি ব্যক্তি বা বস্তু বুঝায়। যথা->-  رجلؑ – قلمؑএকটি পুরুষ, একটি কলম ।

(2)  -: تثنیہদ্বিবচন যাহা দুইটি ব্যক্তি বা বস্তু বুঝায়।
যথা-
 رجلان – قلمان দুইজন পুরুষ, দুইটি কলম

تثنیہ দুই প্রকারে গঠন হয়

حالت رفعی তে لام کلمہ , এর সঙ্গে الف مدہ বাড়াইয়া نون مکسورہ লাগাইবে । যথা-قلم থেকে قلمان দুইটি কলম।

حالت نصبی এবংجری  তে ,لام کلمہ এর বামে  یاء ساکنہবাড়াইয়াنون مکسور  লাগাইবে।

 যথা- رجلین – قلمین

 ـ:جمعএমন একটি শব্দ, যাহা তিন বা তোধিক ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায়।

থাঃ رجالٌ অনেকগুলি পুরুষ।

-:اقسام الجمع
বহুবচনের শ্রেণী বিভাগ

* শব্দগত হিসাবেجمع  তিন প্রকার । 

১।لفظی      ২। تقدیری৩।جمع
من غیر لفظی

-:جمع من غیر لفظیযাহার  جمعভিন্ন শব্দ দিয়ে হয়। যথা- امراۃ এরجمع  হয় نساء – نسوۃ দিয়ে।

-:جمع تقدیری
যাহা আকৃতিতে এক হবে, অর্থ তে ভিন্ন হবে। যথা- قفلؑ  এর মিলে فلکؑ (ওয়াহেদ)   اُسْدٌ এর মিলে فلکٌ (মা)

-:جمع لفظی দুই প্রকার:- 

১। جمع تکسیر       ২।  جمع تصحیح

১। -:جمع تَکسِیر যাহার
মধ্যে
واحد এর ওযন বা ভিত্তি ঠিক থাকেনা যথাঃ رجل এর জমা رجالٌ

جمع
تصحیح
:-  যাহার মধ্যেواحد এর ওযন বা ভিত্তি
ঠিক থাকিবে। যথাঃ
مسلم এর জমা হয়

مسلمون – مسلمین

جمع تصحیح:- দুই প্রকার :- 

(1) জমা মুযাক্কারে সালিম جمع مذکر
سالم
      (2) জমা  মুয়ান্নাসে সালিম  جمع مؤنّث سالم

جمع مذکر سالم দুই প্রকারে গঠন হয় , حالت رفعی তে واومدّہ نون مفتوحবাড়াইয়া ।

যথা-مسلمون

حالت نصبی এবং جری তে ی
দিয়া
তার পূর্বে যের শেষে نون مفتوح  যথা- مُسْلِمینَ

جمعঅর্থগত হিসাবে দুই প্রকার:-

(1)  جمع قلّت(2) جمع کثرت

(1)جمع قلّت যাহা তিন থেকে
১০ পর্যন্ত বুঝায়।

جمع قلّت
এর ওযন চারটি।

(1)
اَفعُلٌ যথা اَکلُبٌ

(2) اَفعِلۃٌ যথা  اَعوِنَۃٌ

(3) اَفعالٌ যথা اَقوَالٌ

(4) فِعلۃٌ যথা غِلمۃٌ

جمع تصحیح এর সঙ্গে الف لام না থাকিলে جمع قلّت যথা
مُسلمونَ আর الف لام থাকিলে 

کثرت যথাঃ ‍المُسلِمُوْنَ 

اسم লিঙ্গ হিসাবে দুই প্রকারঃ

(1)مذکر        (2)مؤنّث

مذکر দুই প্রকারঃ 

(1) حقیقی যথা رجلٌ

(2) سماعی যথা قَمَرٌ

مؤنّث চার প্রকার 

(1) حقیقی     (2) لفظی     (3) معنوی    (4)سماعی

حقیقی যথা أمرأۃ- ناقۃ

لفظی যথা قوّۃ – ظلمۃ

معنوی যথা زینب – ھند

سماعی যথা عین – ارض

مؤنّثএর নিশানা বা চিহ্ন চারটি।

(1)শব্দের শেষে ۃ গোলতা যোগ হওয়া যথাঃ  طلحۃ

(2)শব্দের শেষে الف مقصورہ যোগ হওয়া। যথা حبلی

(3)শব্দের শেষে الف ممدودہ  যোগ হওয়া। যথা حمراء

(4)শব্দের শেষে تاے مقدّرہ যোগ হওয়া। যথা ارض

ارض আসলে ارضۃ ছিল কেননা তাহার তাছগীর হয় اُریضۃ


اسم পরিচিতি হিসাবে ২ প্রকারঃ

(1) نکرہ      (2) معرفہ

نکرہ অনির্দিষ্ট যথাঃ ۃأمرأرجل – 

معرفہ নির্দিষ্ট যথাঃ خالدٌ – زیدٌ


معرفہ
সাত প্রকারঃ

(1)مضمرات যথাঃ ‍انا – نَحنُ ইত্যাদি।

(2)اعلام  যথাঃ خالدٌ – زیدٌ ইত্যাদি।

(3)اسماء اشارات
যথাঃ
ھذا – ھذہ ইত্যাদি।

(4)اسماء موصولات যথাঃ الّذی – الّتی ইত্যাদি।

(5)نکرہ  কে ندا দিয়ে معرفہ যথাঃ یا رجلُ ইত্যাদি।

(6)نکرہ  কে الف لام দিয়ে যথাঃ ‍الرّجلُ ইত্যাদি।

(7)نکرہ  কে اضافت  করিয়া যথাঃ کتابہ – کتاب زیدٍ ইত্যাদি।

নিচের ভিডিও টি দেখলে আরো স্পষ্ট হতে পাবেন।

অথবা আমার চ্যানেলে গিয়ে গুরে আসতে পারেন, এবং সাব্সক্রাইব করে

 রাখুন নতুন আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।

اسمতানভীনগত বা منع صرف হিসাবে দুই প্রকারঃ- 

منصرف 1

2   غیر منصرف

যে  اسم এর মধ্যে اسباب منع صرف  এর নয় ছবব থেকে দুই ছবব অথবা 

এমন একটি ছবব যাহা দুই ছববের ক্বায়েমুক্বাম পাওয়া যাবে তাকে 

غیر منصرف বলিবে। যথাঃ- احمد – مساجد 

اسباب منع صرف নয়টি । যথাক্রমে- নিছে দেওয়া হল।

عدل- وصف – تانیث- معرفہ- عجمہ-جمع- وزن فعل – ترکیب – الف نون زائدتان –

উদাহরণ যেমনঃ 

عمر- اسود- طلحۃ – زینب- ابراھیم – مساجد – احمد – بعلبکّ – عثمان – 

যে  اسم এর মধ্যে اسباب منع صرف  এর নয় ছবব থেকে দুই ছবব অথবা 

এমন একটি ছবব যাহা দুই ছববের ক্বায়েমুক্বাম পাওয়া যাবেনা তাকে 

منصرف বলিবে। যথাঃ- رشیدٌ – زیدٌ 

اسم এরাব ( اعراب ) গত হিসাবে দুই প্রকারঃ-

1. اسم متمکّن

2. اسم غیر متمکّن

اسم غیر متمکّن – আট প্রাকার

1. مضمرات

2. اسماء اشارات

3. اسماء موصولات

4. اسماء کنایات

5. اسماء ظروف

6. اسماء اصوات

7. اسماء افعال

8. مرکّب بنائی

 اسم متمکّن

اسم متمکن এরাবের প্রকার ভেদে (১৬) ষোল প্রকার:

اعراب এরাব প্রথমত দুই প্রকার : 

            1. এরাব বিল হরূফ اعراب بالحروف অর্থাৎ হরফ দিয়ে এরাব।
            2. এরাব বিল হরকাত اعراب بالحرکاۃ অর্থাৎ হরকত দিয়ে এরাব।
                       এগুলো হয়তো লফযান হবে নয়তো তক্বদীরান হবে।

  * এরাব বিল হরকাত اعراب بالحرکاۃ অর্থাৎ হরকত দিয়ে এরাব আট প্রকার এছেমে হয়।

        1. مفرد منصرف صحیح যথাঃ  زَیْدٌ
           2. مفرد منصرف جاری مجاری صحیح যথাঃ دَلْوٌ
           3. جمع مکسّر منصرف যথাঃ  رِجَالٌ
            এই তিন প্রকার এছেমে اعراب হবে حرکت দিয়া প্রকাশ্যে।
            পেশের জায়গায় পেশ হবে যথা:- جَاءَ زَیْدٌ – وَدَلْوٌ – وَ رِجَالٌ
            যবরের যায়গায় যবর হবে যথা:- رَاَیْتُ زَیْدًا – وَدَلْوًا – وَرِجَالًا 
             যের এর জায়গায় যের হবে যথা:- مَرَرْتُ بِزَیْدٍ وَدَلْوٍ – وَرِجَالٍ
           4. جمع مؤنّث سالم যথাঃ مُسلِمَاتٌ
                ইহার এরাব হবে হরকত দিয়া প্রকাশ্যেপেশের যায়গায় পেশ হবে যথাঃ ھُنَّ مُسْلِمَاتٌ 
                যবর ও যের এর স্থানে যের হবে যথাঃ رَایتُ مُسْلِمَاتٍ – مَرَرْتُ بِمُسْلِمَاتٍ
            5. اسم غیر منصرف ইহার এরাব হবে প্রকাশ্যে اعراب  بالحرکاۃঅর্থাৎ হরকত দিয়ে।
পেশের যায়গায় এক পেশ হবে যথাঃ جَاءَ عُمَرُ  
      যবর ও যের এর স্থানে যবর হবে যথাঃ رَآیتُ عُمَرَ – مَرَرْتُ بِعُمَرَ
   6. اسم مَقْصور যথাঃ مُوْسی وَ عِیْسٰی
          7. اسم مَنقوص যথাঃ قَاضِی
          8. غیر جمع مذکر سالم مضاف بیاۓ متکلم যথাঃ غُلَامِی 
                  6, 7, 8 এই তিন প্রকারের এছেমে এরাব হবে حرکت দিয়ে তক্বদীরী বা গোপনে।
                  পেশের যায়গায় পেশ যথাঃ  جَاءَ مُوْسٰی – وَ قَاضِی – وَغُلَامِی
                  যবর এর যায়গায় যবর যথাঃ  رَآیتُ مُوْسٰی – وَ قَاضِی – وَغُلَامِی
                  যের এর স্থানে যের যথাঃ       مَرَرْتُ بِمُوْسٰی – وَ بِقَاضِی – وَبِغُلَامِی
                   আকৃতিতে দেখতে তিনো যায়গায় এক দেখাবে মুহল্লান গোপনে এরাব হবে।

এরাব বিল হরূফ اعراب بالحروف অর্থাৎ হরফ দিয়ে এরাব আট প্রকার এছেমে হয়।

১।  اسماۓ ستّہ مکبرہ যখন ی  ছাড়া যে কোন যমীর বা এছেম এর দিকে এযাফত হইবে তখন ইহার এরাব হবে হরফ দিয়ে প্রকাশ্যে। পেশের যায়গায় ওয়াও দিয়া যথাঃ جَاءَ اَبُوْکَ যবরের যায়গায় আলিফ দিয়া যথাঃ رَآیتُ ابَاکَ  যের েএর যায়গায় ইয়া দিয়া যথাঃ  مَرَرْتُ بِاَبِیْکَ
    ২। تَثْنِیہ বা مُثَنّی
    ৩। اِثْنَانِ وَ اِثْنَتَانِ
    ৪।  کِلا وَ کِلْتَا مضاف بمضمر
            এই তিন প্রকার এছেমে এরাব হবে হরফ দিয়া প্রকাশ্যে পেশের যায়গায় আলিফ দিয়া শেষে নূনে মাকসূর হবে যথাঃ
            جَاءَ رَجُلَانِ وَاثْنَانِ وَکِلَاھُمَا 
            যবর ও যের এর জাগায় ইয়া দিয়া শেষে নূনে মাকসূর যথাঃ
            رَاَیْتُ رَجُلَیْنِ وَ اِثْنَیْنِ وَ کِلَیْھِمَا – مَرَرْتُ بِرَجُلَیْنِ وَبِاِثْنَیْنِ وَ بِکِلَیْھِمَا 
৫। جمع مذکّر سالم 
৬। اُوْلُو
৭। عِشْرُوْنَ وَ ثَلَاثُوْنَ
এই তিন প্রকার এছেমে এরাব হবে হরফ দিয়া প্রকাশ্যে যথাঃ পেশের জাগায় واو مدّہ نون مفتوح যথাঃ جَاءَ مُسْلِموْنَ  وَ اُولُوْ وَ عِشرُونَ  যবর ও যের এর জাগায় یاے مدّہ نونِ مَفْتوح  যথাঃ 
 رَاَیْتُ مُسْلِمِیْنَ ؤَ اُوْلِی وَ عِشْرِیْنَ – وَ مَرَرْتُ بِمُسْلِمِیْنَ وَ بِاُوْلِی وَ بِعِشْرِیْنَ 
৮। جمع مذکّر سالم مضاف بیائے متکلّم ইহার এরাব হবে হরফ দিয়া তকদীরী বা গোপনে। 
পেশের যায়গায় واو مدّہ نون مفتوح যথাঃ جَاءَ مُسلِمِیَّ 
যবর ও যের এর জাগায় یائے مدّہ نون مفتوح যথাঃ
 رَاَیْتُ مُسلِمِیَّ وَ مَرَرْتُ بِمُسْلِمِیَّ 
আকৃতিতে তিনো জাগায় এক দেখাবে। 
مُسْلِمیَّ ইহা হালতে রফঈ তে আসলে مُسْلِمُوْنَ یَ ছিল। یاء এর দিকে ইযাফতের কারণে نون কে পেলে দিল।
অতপর و এবং ی এক জাগায় একত্রিত হওয়ার কারণে و কে یاء দ্বারা পরিবর্তন করিয়া یاء কে  یاء এর মধ্যে উদগাম করিল। এবং یاء এর খাতিরে মীম এর পেশকে যের দিয়ে مُسْلِمیَّ করিল।

 

الْمُضْمَرَات সর্বনাম সমুহ

কোন اسم বাক্যের মধ্যে বারং বার উল্লেখিত হইলে ভাষার মধ্যে শ্রুতি কটুতা সৃষ্টি হয়। ইহা হইতে রক্ষা পাইবার জন্যمتکلّم – حاضر – غائب  এর পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় উহাকে ضمیر বলে। ضمیر  মোট সত্তরটি।

ضمیر  পাঁচ প্রকারঃ

১। مرفوع
متصل 

২। مرفوع
منفصل

৩। منصوب
متصل

৪। منصوب
منفصل

৫। مجرور متّصل

১। مرفوع متصلضمیر فعل এর সঙ্গে
মিলিত ছিগার চিহ্নগুলিকে
ضمیر مرفوع متَّصلবলিবে । আবার এভাবেও বলতে পারি , যেضمیرফে’ল এর সাথে মিলে আসে এবংসবসময় ফায়েল  হয় তাকে ضمیر مرفوع متّصل  বলে।  যথা:-

ضرب، ضربا، ضربوا ، ضربت، ضربتا،
ضربن، ضربتَ  ،  ضرتما، ضربتم، ضربتِ، ضربتما،ضربتُنَّ، ضربتُ –
ربنا.

২। مرفوع منفصل ضمیر :- ঐ সমস্ত ضمیر কে বলে, যা ফে’ল থেকে পৃথক হয়ে আসে। এবং তারকীবে মুবতাদা অথবা খবর অথবা ফা’য়েল হয়। যেমন নিচে উল্লেখ করা হল। 

ھو ، هما، هم، هى، هما، ھنّ، انتَ،
انتما، ائتم، انتِ، انتما، ائتُنَّ ، انا، نحن

উপরোল্লেখিত ১৪টি যমীরকে مرفوع منفصلضمیرবলিবে। উক্ত যমীরগুলিকে জুমলাহ্ এর মধ্যে মুবতাদা বলিবে। কখনো

مرفوع ضمیرএর তাকিদ হিসাবেও আসিবে যথা:-– ضَرَبْتُ اَنَا

  • নিম্নে উল্লেখিত ১৪টি যমীর তিনটি নামে ভূষীত।

 – یَ – نَا – کَ – کُمَا – کُمْ – کِ – کُمَا – کُنَّ – ہٗ – ھُمَا – ھُمْ – ھَا – ھُمَا – ھُنَّ –

১। উক্ত যমীরগুলি ফে’ল এর পরে আসলে منصوب متصل বলিবে। 

যথা:ضَرَبَنِیْ –
ضَرَبَنَا

২। উক্ত যমীরগুলি ফে’ল এর পূর্বে  حرف تخصیص  যোগ হইয়া আসিলে منصوب منفصلবলিবে।

যথা: اِیَّایَ ضَرَبَ – اِیَّانَا ضَرَبَ

৩। উক্ত যমীর গুলি حرف جر অথবা اسم এর পরে আসিলে ضمیر مجرور متَّصل বলিবে। যথা:-

لِی – لَنَا – کِتَابِی –
کِتَابُنَا – اِسْمُہٗ –

ضمیر مرفوع متَّصل দুই প্রকারঃ

১। ضمیر بارز

২। ضمیر مستتر

فعل ماضی এর দুইটি ছিগা واحد مذکّر غائب – واحد
مؤنّث غائب
এর মধ্যে ضمیر مسستر  মেনে নিবে।

অর্থাৎ واحد مذکّر  এর জন্য ھُوَ  এবং واحد مؤنّث এর জন্য ھِیَ কে فاعل মেনে নিবে। যখন তাহার فاعل প্রকাশ্য না থাকে এই শর্তে। বাকী ছিগাহ্ গুলির
চিহ্নকে
ضمیر بارز مرفوع متّصل  জানিবে।

ضمیر مرفوع এর অর্থ হবে এই ভাবে:

غائب এর জন্য, সে অথবা তাহারা
حاضر এর জন্য, তুমি
অথবা তোমরা
متکلّم  এর জন্য, আমি অথবা আমরা

ضمیر منصوب এর অর্থ হবে এইভাবে:

غائب এর জন্য,তাহাকে অথবা তাহাদেরকেحاضر এর জন্য, তোমাকে অথবা তোমাদেরকে।

متکلّم  এর জন্য, আমাকে অথবা
আমাদেরকে

ضمیر مجرور متّصل এর অর্থ হবে এইভাবে:

غائب এর জন্য,তাহার অথবা তাহাদের।  حاضر এর জন্য, তোমার অথবা তোমাদের।

متکلّم  এর জন্য, আমার অথবা
আমাদের

ضمیر منصوب বা مجرور গুলি حرف مشبّہ এর পরে আসিলে । ضمیر مرفوع منفصل এর অর্থ দিবে।

যথা: اِنَّہٗ زَیْدْ নিশ্চয় সে যায়েদ। ترکیب এর মধ্যে ইহাকে مسند الیہ ধরিয়ে مبتدا বলিবে।

اسماءُ الاشارات – ইঙ্গিত সূচক সর্বনাম সমুহ।

اسم اشارہ : যে اسم দ্বারা কোন ব্যাক্তি বা বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয় তাহাকে اسم اشارہ বলে। যাহার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়
তাহাকে
مشار الیہ বলে।

مشار الیہ নিকটতম এবং দূরবর্তি হওয়ার কারণে اسماء الاشارات কে দুই ভাগে
বিভক্ত করা হয়েছে।

اَسمائے
اشارہ قریب
– ৮টি।

اَسمائے
اشارہ بعید
– ৮টি।

ھٰذا  এটা ব্যবহার হবে واحد مذکّر এর জন্য।

ھٰذانِ – ھٰذینِ এইদুটি ব্যবহার হবেتثنیہ مذکّر اسماء الاشارات قریب এর জন।

ھٰؤُلَاء এটা ব্যবহার হবে جمع مذکّر এরজন্য।

ھٰذِہ এটা ব্যবহার হবে واحد مؤنّث এর জন্য।

ھَاتَانِ – ھَاتینِ এদুটি ব্যবহার হবে تثنیہ مؤنّث এর জন্য।

ھٰؤُلَاءِ এটা ব্যবহার হবে جمع مؤنّث এরজন্য।

حَالت رفعی তে বাংলা অর্থ হবে, ইহা বা ইহারা।

حَالت نصبِی তে বাংলা অর্থ হবে, ইহাকে বা ইহাদেরকে।

حَالت جرّی তে বাংলা অর্থ হবে, ইহার বা ইহাদের।

ذٰلِکَ এটা ব্যবহার হবে, واحد مذکّر এর জন্য।

ذانِکَ – ذَیْنِکَ  এদুটি ব্যবহার হবে, تثنیہ مذکّر এর জন্য।

اُولٰئِکَ এটা ব্যবহার হবে, جمع مذکّر এর জন্য।

تِلْکَ এটা ব্যবহার হবে, واحد مؤنّث এর জন্য।

تَانِکَ – تَیْنِکَ এদুটি ব্যবহার হবে, تثنیہ مؤنّث এর জন্য।

اُوْلٰئِکَ এটি ব্যবহার হবে, جمع مؤنّث এর জন্য।

حالت رفعی তে বাংলা অর্থ হবে, উহা অথবা উহারা।

حالت نصبی তে বাংলা অর্থ হবে, উহাকে অথবা উহাদেরকে।

حالت جرّی তে বাংলা অর্থ হবে, উহার অথবা উহাদের।

اَسْمَاءُ
الْمَوْصُوْلَاتِ
: সম্বন্ধ বাচক
সর্বনাম সমুহ

اسم موصول : যে সর্বনাম দ্বারা বাক্যের অন্তর্গত অন্য কোন একটি পদের সহিত
সম্বন্ধ স্থাপন করা হয় তাহাকে
اسم موصول বলে। اسم موصول লিঙ্গ এবং বচনের ভেদে বিভিন্নরূপ হয়ে থাকে। যাহার বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হল। যাহার সংখ্যা ১৫টি।

اسم موصول

اسم موصول

اَلَّذِیْ এটা ব্যবহার হবে  وَاحد مذکّرএর জন্য।

اَلَّذَانِ – الّذَیْنِ এদুটি ব্যবহার হবে تثنیہ مذکّر এরজন্য।

اَلَّذِیْنَ এটা ব্যবহার হবে, جمع مذکّر এর জন্য।

اَلَّتِیْ এটা ব্যবহার হবে, واحد مؤنّث এর জন্য।

اَلَّتَانِ –
اَلَّتَیْنِ
এদুটি
ব্যবহার হবে,
تثنیہ مؤنّث এর জন্য।

اَلَّاتِیْ –
اَلَّوَاتِیْ
এদুটি
ব্যবহার হবে,
جمع مؤنّث এর জন্য।

حالت رفعی তে বাংলা অর্থ হবে, যে অথবা যাহারা।

حالت نصبی তে বাংলা অর্থ হবে, যাকে অথবা যাদেরকে।

حالت جرّی তে বাংলা অর্থ হবে, যাহার অথবা যাহাদের।

مَا বস্তুর জন্য ব্যবহার হবে।

 مَنّ ব্যক্তির জন্য ব্যবহার হবে।

اَیٌّ পুংলিঙ্গ এর জন্য ব্যবহার হবে।

اَیَّۃٌ স্ত্রীলিঙ্গ এর জন্য ব্যবহার হবে।

ذُوْ যাহা اَلَّذِیْ এর অর্থ রাখে,

اسم فاعل এবং اسم مفعول এর اَلِفْ لَام

اَسْمَاءُ الْاَفْعَال : ক্রিয়া সূচক সর্বনাম সমুহ

যে সমস্ত اسم
দ্বারা
فعل এর অর্থ প্রকাশ হয়। কিন্তু فعل এর মত রূপান্তরীত হয় না, এই রূপ শব্দগুলিকে اَسْمَاۓ اَفْعالবলে। اَسْمَاۓ اَفْعال ৯টি। তন্মধ্যে فعل مَاضِی এর অর্থ রাখে এমন শব্দ তিনটি। যথা:-

ھَیْھَاتَ মানি بَعُدَ এর অর্থ হলো, দূর হয়ে গেল। اسم
কে পেশ দিবে
فاعل হিসাবে। যথা:-

ھَیْھَاتَ زَیْدٌ যায়েদ দূর হয়ে গেল।

شَتَّانَ মানি اِفْتَرَقَ এর অর্থ হলো, পৃথক হয়ে গেল।

سَرْعَانَ মানি سَرَعَ এর অর্থ হলো। জলদি করিল।

امر حاضر এর অর্থ রাখে এমন শব্দ ৬টি। যথা:-

رُوَیْدَ – بَلْہَ –
حَیَّھَلْ – عَلَیْکَ – دُوْنَکَ – ھَا –

رُوَیْدَ মানি اَمْھِلْ এর অর্থ হলো, সময় দাও। এটা اسم
কে যবর দিবে
مفعول بہ হিসাবে। যথা:-

رُوَیْدَ زَیْدًا যায়েদকে সময় দাও।  

بَلْہَ  মানি دَعْ এর অর্থ হলো
ছাড়।

حَیَّھَلْ মানি اِیْتِ এর অর্থ হলো আস।

عَلَیْکَ মানি اَلْزِمْ এর অর্থ হলো আঁকিয়েধর।

دُوْنَکَ মানি خُذْ এর অর্থ হলো ধর।

ھَا
মানিও خُذْ এর অর্থ হলো ধর।

الْاَصْوَاتِاَسْمَاءُধ্বনি
সূচক সর্বনাম সমূহ

 যে শব্দ মানুষ বা কোন প্রাণীর আওয়াজ বুঝায়
উহাকে
اسماء الاصوات বলে ।

اُحْاُحْকাশির আওয়াজ। اُفْ
ব্যথার আওয়াজ।
غَاقَ কাকের আওয়াজ। –بَحْ بَحْ সন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য।

الظّرُوفاَسْمَاءُ: স্থান বা কাল বাচক সর্বনামসমূহ

 যে শব্দ, কাজ বা ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান বা
কাল বুঝায় উহাকে
ظرف اسم বলে ।

ظرف
দুই প্রকার ১।
زمان ظرف ২। مکان ظرف 

ظرف زمان যথাاِذْاِذَامَتٰیایَّانَ
اَلْاٰنَاَمْسِغَدوَسَطُ
قَطُّعَوْضقَبْلُبَعْدُوغَیْرہ

ظرف مکان যথাتَحْتَفَوْقَاَمَامَخَلْفَوَرَاءَحَیْثُقُدَّامعِنْدَلَدَایثُمَّھُنَا وَغَیْرہ ۔

قَبْلبَعْد  এদুইটি ظروف اسماء এর মধ্যে প্রসিদ্ধ শব্দ। ইহাদের الیہ مضاف উল্লেখ  থাকিলে ইহাদিগকে معرب
পড়িবে।
مضاف الیہ. উল্লেখ না থাকিলে অন্তরে
বিদ্যমান থাকিলে পেশের উপর
مبنی
পড়িবে । অন্তরে বিদ্যমান না থাকিলে অর্থাৎ একে বারেই উল্লেখ না হইলে
معرب পড়িবে।

একটি
কথা জানিয়ে রাখিবে
قَبْلبَعْدএবং ظروف مکان গুলি . یاء متکلّمছাড়া যে কোন اسم বা কোন ضمیر এর দিকে اضافت করিলে এইগুলি معمول না হওয়া শর্তে অর্থাৎ বাক্যের শুরুতে
আসিলে উক্ত
اسم গুলিকে  فتحএর উপর মানী (مَبْنی) পড়িবে । নতুবা معرب পড়িবে । যথা:-

اَمَامَ الْبَيْتِ
صِحْنٌ – خَلْفَ الدَّارِ حَدِیْقَۃٌ – عِنْدَکَ – عِنْدَ الْمَسْجِدِ –

اَسْمَاءُ الْکِنَایَاتِ ইঙ্গিত সূচক সর্বনাম সমূহ

 যে اسم
কোন অনিশ্চিত ও সংশয়িত অর্থ প্রকাশ করে উহাকে
اسماء الکنایات
বলে ।
উহা
দুই প্রকার।

 ১। সংখ্যা সম্বন্ধে যথা- کَمْ
কত
, کَذَا
এত । কথা সম্বন্ধে যথা-
کَیْتَএমন, ذَیْتَ অমন কথা ।

অপরিবর্তনীয় যৌগিক বাক্য :-  الْمُرَکّبُ البِنَائی

 

যে দুইটি সংখ্যা বচক  اسم কে  সংযুক্ত করা হইয়াছে , কিন্তু ২য় اسم  টিতে কোন একটি 

حرف অন্তর্ভুক্ত আছে । যথা:-  احد عشر থেকে تسعۃ عشر  পর্যন্ত। 

 احد عشر মূলে  احد و عشر  ছিল। واو  কে বিলুপ্ত করিয়া দুই اسم কে এক করিল।

مرکّب : সংঘঠনিক শব্দ

مرکّب দুই বা ততোধিক শব্দ দ্বারা গঠিত সমষ্টিকে  বলে।

مرکّب দুই প্রকার: 

১। مرکّب مفید    ২।  مرکّب غیر مفید

১। مرکّب مفید : পূর্ণ অর্থ বোধক বাক্যকে বলে? অর্থাৎ যে বাক্য হইতে শ্রোতা সংবাদ বা

অনুভূতি লঅভ করিতে পারে। مفید অপর নাম جملہ বা کلام । 

جملہ  দুই প্রকার:- 

১। جملہ خبریّہ   ২। جملہ انشائیّہ

جملہ خبریّہ দুই প্রকার:-   اسمیّہ  ও  فعلیّہ

مبتدا خبر মিলিয়া جملہ اسمیّہ এবং فاعل- فعل মিলিয়া جملہ فعلیّہ  হয়। 

جملہ  এর শুরুতে اسم  থাকিলে جملہ اسمیّہ বলিবে। যথা:-  زَیْدٌ قَائمٌ 

جملہ  এর শুরুতে فعل থাকিলে جملہ فعلیّہ বলিবে। যথা:- قَامَ زَیدٌ

جملہ انشائیّہ :- যে বাক্যের বক্তব্যকারীকে (বা قائل  কে ) সত্যবাদী

অথবা মিথ্যাবাদী বলা যায় না তাকে جملہ انشائیّہ বলে। 

جملہ انشائیّہ দশ প্রকার ।

১। امر আদেশ যথা:- اِضْرِبْ অর্থ তুমি প্রহার কর। 

২। نھی নিষেধাজ্ঞা যথা:- لَاتَضْرِبْ অর্থ তুমি প্রহার করো না। 

৩। استفھام জিজ্ঞাসা যথা:- ھَلْ ضَرَبَ زَیْدٌ 

    অর্থ যায়েদ কি প্রহার করেছে? 

৪। تمنّی আকাঙ্খা যথা:- لَیْتَ زَیْدًا حَاضِرٌ অর্থ যায়েদ 

৫। ترجّی সম্ভাবনা যথা:- لَعَلَّ زَیْدًا غَائبٌ 

৬। عُقُود অঙ্গীকার যথা:- بِعْتُ – اشْتَرَیْتُ 

৭। ندا আহ্বান যথা:- یَا اللہ

৮। عرض অনুরোধ যথা:- اَلَا تَنْزِلُ بِنَا فَتُصِیْبَ خَیْرًا 

৯। قسم শপথ যথা:- وَاللہِ لَاَضْرِبَنَّکَ

১০। تَعجّب বিস্ময়, আশ্চর্য যথা:- مَا احْسَنَہٗ

جملہ خبریہ

جملہ خبریّہ :- যে বাক্যের (فاعل) কে বা বক্তব্যকারীকে সত্যবাদী

বা মিথ্যাবাদী বলা যাইতে পারে তাকে جملہ خبریّہ বলে? 

 

جملہ خبریّہ এর জন্য দুইটি জিনিস শর্ত । 

১। مسند

২। مسند الیہ

جملہ خبریّہ এর জন্য مسند এবং مسند الیہ আবশ্যক। 

 

এছেম مسند এবং مسند الیہ উভয়টা হতে পারে। 

ফে’ল مسند  হতে পারে কিন্তু مسند الیہ হতে পারে না। 

হফর কোনটাই হতে পারে না । 

 

অতএব বুঝা গেল যে,  ‍দু’টি اسم  মিলিয়া جملہ হতে পারে।

যেমন: زَیْدٌ قَائمٌ যায়েদ দাড়ানো আছে।

অথবা একটি فعل ও একটি اسم  মিলিয়া جملہ  হতে পারে। 

যেমন:- قَامَ زَیْدٌ যায়েদ দাড়ায়াছে।

যদি বাক্যের শুরুতে اسم  হয় পরে فعل হয় তখন ঐ বাক্যকে

جملہ اسمیّہ বলিবে। যেমন:- زَیْدٌ قَامَ এখানে زَیْدٌ হল اسم  এবং قَامَ হল

فعل তাহার ضمیر হল فاعل ফে’ল ও ফায়েল মিলে جملہ فعلیّہ হয়ে

زَیْدٌ এর خبر আর زَیْدٌ মুবতাদা । মুবতাদা ও খবর মিলে জুমলায়ে ইছমিয়্যায়ে খবরিয়্যাহ্। 

 

বাক্য বা جملہ গঠন করিবার জন্য কমপক্ষে দুটি কালিমাহ্ এর 

প্রয়োজন। দুটি কালিমাহ্ কখনো لفظًا হয়। 

যেমন:- زَیْدٌ قَائِمٌ – ضَرَبَ زَیْدٌ 

আবার কখনো تقدیرا অপ্রকাশ্য হয়। যেমন:- اِضْرِبْ তুমি প্রহার কর। এখানে দুটি কালিমার অস্তিত্ব স্বীকৃত কেননা তাহার মধ্যে 

ضمیر انت লুকাইত আছে। 

 

مرکّب غیر مفید :- অপূর্ণ অর্থবোধক বাক্য

যে مرکّب হইতে শ্রোতার ( خبر বা طلب ) সংবাদ বা অনুসূচনা কিছুই

অবগত হয়না। উহাকে مرکّب غیر مفید বলিবে। 

مرکّب غیر مفید চার প্রকার:

১। اضافی :- মুযাফ ও মুযাফ ইলাইহি মিলিয়া ترکیب اضافی হয়।

   যেমন:- کِتَابُ زَیْدٍ  যায়েদের কিতাব। 

২। تَوصِیفِی :- সিফাত ও মাওসূফ মিলিয়া ترکیب توصیفی হয়। 

    যেমন:- ثَوْبٌ جَمِیْلٌ সুন্দর কাপড়। 

৩। اِمتزاجی:-দুই اسم কে এক করিয়া নাম রাখিলে مرکّب امتزاجی হয়

     যেমন:- بَعْلَبَکُّ – حَضْرَ مَوْتْ

 

৪। بِنَائی :- ১১ হইতে ১৯ পর্যন্ত আরবী শব্দগুলোকে مرکّب بنائی বলে যেমন:- اَحَدَ عَشَرَ  হইতে تِسْعَۃَ عَشَرَ পর্যন্ত। 

معرب و مبنی

کلمات عرب  আরবী শব্দগুলোঃ-

আরবী ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের শেষ অক্ষরে পরিবর্তন সাধিত 

হওয়া-না হওয়া অনুপাতে দুই ভাগে বিভক্ত। 

১। معرب 

২। مبنی 

 

  • যে کلمہ অন্য کلمہ কে حرکت প্রদান করে তাকে عامل বলে।
  • এবং যে کلمہ কে حرکت প্রদান করা হল তাকে معمول বলে।

 

معرب এমন একটি শব্দ যাহার عامل পরিবর্তনের কারণে তাহার শেষ অক্ষরের পরিবর্তন ঘটে যেমন:-

جَاءَ زَیْدٌ – رَاَیْتُ زَیْدًا – مَرَرْتُ بِزَیْدٍ 

এখানে عامل হইল جَاءَ – رَاَیْتُ-  এবং ب হরফে যারটি। এই তিনটি 

عامل তিন প্রকার হওয়াতে زَیْدٌ মা’মূল এর হরকত ও তিন রকম হয়েছে।

مبنی এমন একটি শব্দ যাহার عامل পরিবর্তনের কারণে তাহার শেষ অক্ষরে কোন পরিবর্তন ঘটে না যেমন:-

جَاءَ ھٰؤُلَاءِ- رَاَیْتُ ھٰؤُلَاءِ – مَرَرْتُ بِھٰؤُلَاءِ

এই তিনটি স্থানে عامل এর পরিবর্তনে ھٰؤُلَاءِ মা’মূল এর শেষ অক্ষরে কোন পরিবর্তন আসে নাই ।

 

مبنی দুই প্রকারঃ   ১। مبنی اصل  ২। مشبّہ مبنی 


مبنی اصل তিন প্রকার:-

            ১। فعل ماضی  ২। امر حاضر معروف   

            ৩। جُملہ حروف  (অর্থাৎ সমস্ত হরফ।) 

 

مشبّہ مبنی আট প্রকার:- 

 

اسم غیر متمکن এর  আট প্রকারই হলো مشبّہ مبنی

 

معرب দুই প্রকার :-

১। اسم معرب অর্থাৎ اسم متمکن 

২। فعل معرب যথা نون جمع ও نون تاکید ছাড়া فعل مضارع এর সমস্ত ছিগাহ্। 

 

اَلْاَسْمَاءُ الْعَامِلَۃُ السِّمَاعِیَّۃُ

ইহা তিন ভাগে বিভক্ত। 

১। اَسْمَاءُ شَرْطِیَّۃ

২। اَسْمَاءُ اَفْعَال

৩। اَسْمَاءُ النَّکِرَات

اَسْمَاءُ شَرْطِیَّۃ ৯টি। 

مَھْمَا ) – مَنْ – مَا – اَیْنَ – مَتٰی – اَیٌّ – انّٰی – اِذمَا – حَیْثُمَا –  যাহা اِنْ এর অর্থে

 ব্যবহৃত হয়। 

جملہ شرطیّہ:- হরফে শর্ত দুইটি ফে’ল এর পূর্বে আসিয়া শেষে জযম প্রদান করে। 

প্রথমটিকে شرط বলে দ্বিতীয়টিকে جزا বলে।  شرط এবং جزا মিলে

جملہ شرطیّہ হয়। যেমন:- 

مَنْ تَضْرِبْ اَضْرِبُ  অর্থ তুমি যাকে মারিবে, আমি তাকে মারিব। 

বাকী হরফগুলোর দৃষ্টান্ত:-

২। مَا – تَفْعَلْ اَفْعَلْ তুমি যাহা করিবে আমিও তাহা করিব। 

৩। اَیْنَ تَجْلِسْ اَجْلِسْ তুমি যেখানে বসিবে আমিও সেখানে বসিবো। 

৪। مَتٰی تَقُمْ اَقُمْ  তুমি যখন দাড়াইবে আমিও তখন দাড়াইব। 

৫। اَیُّ شَئٍ تَاْکُلْ اٰکُل তুমি যাহা খাইবে আমি তাহা খাইব। 

৬। اَنّٰی تَکْتُبْ اَکْتُبْ তুমি যাহা লেখিবে  আমিও তাহা লেখিব। 

৭। اِذْمَا تُسَافِرْ اُسَافِرٌ তুমি যখন সফর করিবে আমিও তখন সফর করিব।

৮। حَیْثُمَا تَقْصُدْ اَقْصُدْ তুমি যেখানে ইচ্ছা করিবে আমিও সেখানে ইচ্ছা করিব। 

 

اَسْمَاءُ الْاَفْعَال : ক্রিয়া সূচক সর্বনাম সমুহ

যে সমস্ত اسم দ্বারা فعل এর অর্থ প্রকাশ হয়। কিন্তু فعل এর মত রূপান্তরীত হয় না, এই রূপ শব্দগুলিকে اَسْمَاۓ اَفْعالবলে। اَسْمَاۓ اَفْعال ৯টি। তন্মধ্যে فعل مَاضِی এর অর্থ রাখে এমন শব্দ তিনটি। যথা:-

ھَیْھَاتَ মানি بَعُدَ এর অর্থ হলো, দূর হয়ে গেল। اسم কে পেশ দিবে فاعل হিসাবে। যথা:-

ھَیْھَاتَ زَیْدٌ যায়েদ দূর হয়ে গেল।

شَتَّانَ মানি اِفْتَرَقَ এর অর্থ হলো, পৃথক হয়ে গেল।

سَرْعَانَ মানি سَرَعَ এর অর্থ হলো। জলদি করিল।

امر حاضر এর অর্থ রাখে এমন শব্দ ৬টি। যথা:-

رُوَیْدَ – بَلْہَ – حَیَّھَلْ – عَلَیْکَ – دُوْنَکَ – ھَا –

رُوَیْدَ মানি اَمْھِلْ এর অর্থ হলো, সময় দাও। এটা اسم কে যবর দিবে مفعول بہ হিসাবে। যথা:- رُوَیْدَ زَیْدًا যায়েদকে সময় দাও।  

 

بَلْہَ  মানি دَعْ এর অর্থ হলো ছাড়।

حَیَّھَلْ মানি اِیْتِ এর অর্থ হলো আস।

عَلَیْکَ মানি اَلْزِمْ এর অর্থ হলো আঁকিয়েধর।

دُوْنَکَ মানি خُذْ এর অর্থ হলো ধর।

ھَا মানিও خُذْ এর অর্থ হলো ধর।

اَسْمَاءُ النَّکِرَات

اَسْمَاءُ النَّکِرَات চারটি :-

১। عدد

২। کَم

৩। کَذا

৪। کَاَیِّن

عدد এর معدود চার প্রকারে পড়া যায়।

এক এবং দুইয়েতে عدد এবং معدود এক হবে। যেমন:-

رَجُلٌ وَاحِدٌ – اِمْرَاَۃٌ وِاحِدَۃٌ 

তিন হইতে দশ পর্যন্ত عدد এবং معدود জমা হবে এবং যের বিশিষ্ট হবে।

যেমন:- ثَلَاثَۃُ رِجَالٍ – ثَلَاثُ نِسَوَۃٍ

১১ হইতে ১৯ পর্যন্ত عدد এবং معدود ওয়াহিদ হবে এবং যবর বিশিষ্ট হবে।

যেমন:- اَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا – تِسْعَۃَ عَشَرَ رَجُلًا 

একশত এবং হাজারের عدد এবং معدود ওয়াহিদ হবে এবং যের বিশিষ্ট হবে। যেমন:- مِاَۃُ رَجُلٍ – اَلْفُ رَجُلٍ – اَلْفُ اِمْرَاَۃٍ – 

عدد এর  معدود মযাক্কার হইলে عدد  এর এককে ۃ থাকিবে। 

যেমন:- ثَلَاثَۃُ رِجَالٍ – ثَلَاثَۃُ عَشَرَ رَجُلًا 

عدد এর  معدود মুয়ান্হনাস ইলে عدد  এর দশকে ۃ থাকিবে। যেমন:-

ثَلَاثُ نِسْوَۃٍ – ثَلَاثَ عَشَرَۃَ اِمْرَاَۃً 

کَمْ দুই প্রকার:- 

১। کم استفھامیہ 

২। کم خبریہ

کم استفھامیہ :- এটা تمیز কে যবর দিবে। যেমন:- 

کَمْ دِرْھَمًا عِنْدَکَ  তোমার নিকট কত টাকা আছে? 

کم خبریہ :- এটা تمیز কে যের দিবে। মাঝখানে কোন فاصلہ না থাকিলে। যেমন:- 

کَمْ مَالٍ اَنْفَقْتُ আমি অনেক মাল খরছ করেছি। 

কোন কোন সময় کم خبریہ এর تمیز এর পূর্বে مِنْ শব্দ زائد আসে।

যেমন:- کَمْ مِنْ فِئَۃٍ قَلِیْلَۃٍ – کَم مِنْ مَلَکٍ فی السَّمٰوٰتِ

کَذا ও تمیز   কে যবর দিবে। যেমন:- عِنْدِیْ کَذَا دِرْھَمًا আমার নিকট এত টাকা আছে।

কোন কোন کَاَیِّن এর تمیز পূর্বেও مِنْ শব্দ زائد আসে।

کَاَیِّنْ مِنْ نَبِی قَاتَلَ مَعََہٗ رِبِّیُّوْنَ کَثِیْرًا

 

اسم  এর حالاتতিনটি।

১। حالت رفعی

২। حالت نصبی

৩। حالت جری

اسم এর حالت رفعی ৮টি :-

১। فاعل- ضَرَبَ زیْدٌ 

২। نائب فاعل – ضُرِبَ زَیْدٌ

৩। مبتداء – زَیدٌ قَائمٌ 

৪। خبر – زَیدٌ قَائمٌ

৫। اسم کان – کَانَ زیدٌ قائمًا 

৬। اسم ما و لا المشبّھتین بلیس – مَا زَیْدٌ قائمًا

৭। خبر اِنَّ و اَنَّ – اِنَّ اللہَ خَبِیْرٌ 

৮। خبر لا لنفی الجنس – لَا غُلَامَ رَجُلٍ ظَرِیْفٌ فِی الدَّار

 

اسم এর حالت نصبی  ১২টি :-

১। مفعول مطلق – ضَرَبْتُہٗ زَیْدًا 

২। مفعول بہ – ضَرَبَ زَیْدٌ خَالِدًا 

৩। مفعول فیہ – ضَرَبْتُہٗ یَوْمَ الْجُمْؑۃِ  

৪। مفعول لہ – ضَرَبْتُہٗ تَاْدِیْبًا

৫। مفعول معہ – جَاءَ الْبَرْدُ وَ الْجُبَّۃِ

৬। حَال – جَاءَ زَیْدٌ رَاکِبًا 

৭। تمیز – طَابَ زَیْدٌ نَفْسًا 

৮। خبر کان – کَانَ زَیْدٌ قَائِمًا

৯। خبر ما و لا بمعنی لیس – ما زیدٌ قَائِمًا

১০। اسم اِنَّ و اَنَّ – اِنَّ زَیْدًا قَائِمٌ

১১। اسم لَا لنفی الجنس – لَا غُلَامَ رَجُلٍ

১২। مستثنی اِلَّا – جَاءَ الْقَومُ اِلَّا زَیْدًا 

اسم এর حالت جَرِّی ২টি।

১। مجرور যেমন :- مِنَ اللّٰہِ بِزَیْدٍ

২। مضاف الیہ যেমন :- کِتَابُ زَیْدٍ

বি.দ্র:- এগুলি ছাড়াও منادی مفرد এবং افعال مقاربہ এর اسم এবং مخصوص بالمدح و ذم কেও  حالت رفعی এর মধ্যে শামেল করা যায়।

এবং حالت نصبی এর মধ্যে منادی مضاف এবং مشابّہ مضاف কেও শামিল করা যায়।  এবং غَیْرَ – حَاشَا – سِوا – سَوَای – এর مستثنی কেও حالت جَرِّی তে শামিল করা যায়। کَاَیِّنْ এবং کَم خبریّہ র تمیز কেও حالت جَرِّی তে শামিল করা যায়।

اَلْاَسْمَاءُ الْعَامِلَۃُ الْقِیَا سِیّۃُ ইহা ৭টি। 

১। اسم فاعل

২। اسم مفعول

৩। صفت مشبّہ

৪। اسم تفضیل

৫। اسم مضاف

৬। اَسماء مؐمیزہ

৭। اسم مصدر

اسم فاعل ইহা যদি حال অথবা مستقبل  এর অর্থ রাখে তখন ৬জিনিষের সঙ্গে টেক লাগায়ে فعل معروف এর  আমল করিবে। টেকের শব্দ ৬টি।

১। مبتاء যথা زَیْدٌ ضاربٌ ابوہُ بَکْرًا যায়েদ তার পিতা বকরকে প্রহারকারী।

২। موصوف যথা مَرَرْرْتُ بِرَجُلٍ ضَارِبٌ ابُوْہُ خَالِدًا আমি এমন এক ব্যক্তির  নিকটে গমন করেছি যাহার পিতা খালেদকে প্রহার কারী।

৩। موصول যথা جَاءَ الضَّارِبُ اَبُوْہُ عَمْرًا  আমার নিকট ঐ ব্যক্তি আসিল, যাহার পিতা ওমরকে প্রহারকারী।

৪। ذُوالحال  যথা جَاءَنِی زَیْدٌ رَاکِبًا غُلَامُہٗ فَرَسًا যায়েদ তাহার গোলাম ঘোড়ায় আরোহণ অবস্থায় আমার নিকট আসিল।

৫। ہمزہ استفھام যথা اَضَارِبٌ زَیْدٌ যায়েদ কি প্রহারকারী।

৬। مَاءِ نَفِی যথা مَا ضَارِبٌ زَیْدٌ خَالِدًا  যায়েদ খালেদকে প্রহারকারী নহে।

অর্থাৎ اسم فاعل টি কখনো خبر এর স্থানে কখনো صفت  হয়ে, কখনো صلہ এর স্থানে, কখনো حال স্থানে, কখনো ہمزہ এর পরে , কখনো ماء نفی  এর পরে থাকিয়া فاعل কে পেশ দিবে।

اسم مفعول ইহা যদি حال অথবা مستقبل  এর অর্থ রাখে তখন ৬জিনিষের সঙ্গে টেক লাগায়ে فعل مجھول এর  আমল করিবে। (টেকের শব্দ উপরোল্লেখিত ৬টি।) 

যথা:- زَیْدٌ مَضْرُوبٌ اَبُوْہُ যায়েদের বাপ প্রহারিত ইত্যাদি। 

صفت مشبّہ ইহা উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী নিজ  فعل এর আমল করিবে।  যথা: زَیْدٌ حَسَنٌ غُلَامُہٗ অর্থ যায়েদ তাহার গোলাম সুন্দর। 

صفت مشبّہ ইহা فعل  লাযেম থেকে মুশতাক হয়। উহার গরদান اسم فاعل এর সঙ্গে সদৃশ্য রাখে।

اسم تفضیل ইহা তিন প্রকারে ব্যবহৃত হয় ।

১। من দিয়া যথা –  زَیْدٌ اَفْضَلُ مِنْ خَالِدٍ যায়েদ সে খালেদ থেকে উত্তম।

২। الف لام দিয়া যথা – زَیْدُ الاَفْضَلُ যায়েদ সে উত্তম

৩। الف لام ওয়ালার দিকে اضافت করিয়া যেমন زَیْدٌ افْضَلُ الْقَوْمِ যায়েদ গোত্রের মধ্যে উত্তম

    اسم تفضیل ইহার ফায়েল হয় ضمیر ھو مستتر

اسم مصدر ইহা مفعول مطلق  না হওয়ার শর্তে আপন فعل এর আমল করিবে। যথা:- اَعْجَبَنِیْ ضَرْبُ زَیْدٍ عَمْروًا

এখানে ضَرْبُ  শব্দটি মাছদার , যাহা যায়েদকে فاعل হিসাবে এবং عَمْروًا কে মাফউল হিসাবে আমল করেছে । আকৃতিতে দেখতে কিন্তু ضَرْبُ  মাছদারটি مضاف হয়ে যায়েদ فاعل  কে مضاف الیہ  রূপেযের দিয়েছে । مصدر لازم হইলে শুধু فاعل কে পেশ দিবে । متعدّی  হইলে فاعل কে পেশ এবং مفعول কে যবর দিবে।

اسم مضاف  ইহা مضاف الیہ কে যের দিবে। যথা: جَاءَنِیْ غُلَامُ زَیْدٍ আমার নিকট যায়েদর গোলাম আসিয়ছে।

اضافت দুই প্রকার : لفظی ও معنوی

مضاف যদি صفت এর ছিগা হয় তখন উহাকে اضافت لفظی  বলিবে যেমন: ضَارِبُ زَیْدٍ

مضاف যদি صفت এর ছিগা না হয় তখন উহাকে اضافت معنوی বলিবে যেমন : کِتَابُ زَیْدٍ

اضافت معنوی তিন প্রকার:

১। اضافت ظرفیہ :- মুযাফ ইলাইহ যদি মুযাফের জন্য ظرف হয় তাহলে তাকে اضافت ظرفیہ বলিবে।

যেমন : مَاءُ الْبئْرِ কূপের পানি।

২। اضافت بَیَانیّہ :- মুযাফ ইলাইহ যদি মুযাফের জন্য جنس হয় তাহলে তাকে اضافت بَیَانیّہ  বলিবে।

যেমন  خَاتَمُ فِضَّۃٍ রুপার আংটি ।

৩। اضافت لامیّہ :- মুযাফ ইলাইহ যদি মুযাফের জন্য ظرف ও جنس কোনটাই না হয় তাহলে তাকে اضافت لامیّہ বলিবে যেমন : کِتَابُ زَیْدٍ অর্থাৎ যায়েদর কিতাব।

এগুলো আসলে এমন ছিল। کِتَابُ لِزَیْدٍ – مَاءٌ فِی الْبِئْرِ – خَاتَمُ مِنْ فِضَّۃٍ

اضافت ظرفیہ এর মধ্যে فِی  এবং اضافت بَیَانیّہ এর মধ্যে مِنْ এবং لامیّہ এর মধ্যে لام উহ্য আছে মনে করিবে।

اضافت এর জন্য তিনটি জিনিষ নিষিদ্ধ। অর্থাৎ মুযাফ এর মধ্যে এই তিনটি জিনিষ হবে না।

১। الف لام

২। تنوین

৩। نون جمع ও نون تثنیہ

اسماء مُمَیَّز : অস্পষ্ট জ্ঞাপক বিশেষ্য

اسماء مُمَیَّز ৫টি।

১। عدد

২। وزن

৩। کَیْل

৪। مَسَاحت

৫। نسبت

এই গুলো তমিযকে যবর দিবে।

১। عدد :  ১১ হইতে ৯৯ পর্যন্ত عدد এর معدود বা তমিযকে যবর দিবে। যথা: عِنْدِیْ اَحَدَعَشَرَ دِرْھَمًا

আমার নিকট ১১ টাকা আছে।

২। وزن : যথা عِنْدِیْ رِطْلٌ عَسْلًا আমার নিকট এক রেতেল মধু আছে।

৩। کَیْل : যথা عِنْدِیْ قَفِیْذانِ بُرًّا আমার নিকট দুই কাফিজ আটা আছে।

৪। مَسَاحت : যথা مَا فِی السَّمَاءِ قَدْرُ رَاحَۃٍ سَحَابًا আকাশের মধ্যে হাতের তালু পরিমাণ মেঘ নাই।

৫। نسبت : যথা طَابَ زَیْدٌ نَفْسًا যায়েদ মনের দিক দিয়ে খুশি।

যাহা দ্বারা অস্পষ্টতা দূর হয় তাহাকে تَمِیْز বলা হয়। যাহার অস্পষ্টতা দূর হয় তাহাকে مُمَیَّز  বলে।

تَوَابِعْ এর বর্ণনা 

تَوَابِعْ ইহা  تَابِع  এর جمع

تَابِع  অর্থ অনুগামী । যাহার অনুগামী হয় তাহাকে বলে مَتْبُوْع , অতএব প্রথমটিকে تَابِع  বলে দ্বিতীয়টিকে  مَتْبُوْع বলে। تَابِع  এবং مَتْبُوْع এর  এরাব একই দিক থেকে হবে।

تَابِع  পাঁচ প্রকার

১। صفت : এর مَتْبُوْع  কে مَوْصوف বলে । যথা- ثَوْبٌ جَمِیْلٌ

২। تاکید : এর مَتْبُوْع  কে مُؤَکّد বলে । যথা- زیدٌ زیدٌ قَائمٌ

৩। بدل : এর مَتْبُوْع  কে مُبْدَلْ مِنْہُ বলে । যথা- جَاءَنِیْ زیدٌ اَخُوْکَ

৪। عطف بحرف : এর مَتْبُوْع  কে معطوف علیہ বলে । যথা- جَاءَنِیْ زیدٌ وَ اَبُوْکَ

৫। عطف بیان : এর مَتْبُوْع  কে مبیّن বলে । যথা- جَاءَ اَبُوْحَفْصٍ عُمَر

صفت  এর আলোচনা

صفت গুণকে বলে। যাহার গুণগাওয়া হয় তাকে مَوْصوف  বলে।

صفت দুই প্রকার।

১। صفت لذات موصوف যথাঃ- جَاءَ رَجُلٌ حَسَنٌ

২। صفت لمتعلق موصوف যথাঃ-  جَاءَ رَجُلٌ حَسَنٌ غُلَامُہٗ

প্রথম প্রকারের صفت  এবং مَوْصوف  এর মধ্যে চারটি জিনিষের মিল থাকিতে হবে।

১। বচনের মিল ।

২। লিঙ্গের মিল ।

৩। হরকতের মিল ।

৪। نکرہ معرفہ এর  মিল।

দ্বিতীয় প্রকারের صفت  এবং مَوْصوف  এর মধ্যে দুইট জিনিষের মিল থাকিতে হবে।

১। হরকতের মিল।

২। نکرہ معرفہ এর মিল।

এই কথাটি মনে রাখিবে যে, مَوْصوف  জমা থাকিলেও صفت   কে واحد مؤنّث লইবে কারণ জমা উহা واحد مؤنّث এর হুকুম রাখে। যথাঃ- الحروف العاملۃ

تاکید এর  আলোচনা 

تاکید দুই ভাগে বিভক্ত :

১। تاکید لفظی

২। تاکید معنوی

تاکید لفظی তিন প্রকারে হয়।

১। اسم  কে اسم  দিয়া যথা:-  زَیْدٌ زَیْدٌ قائمٌ

২। فعل কে فعل দিয়া যথা:- ضَربَ ضَربَ زَیْدٌ

৩। حرف কে  حرف  দিয়ো যথা:- اِنَّ اِنَّ زَیْدًا قَائمٌ

تاکید معنوی আটটি:

১। نفسٌ যথা:- جَاءَ زَیْدٌ نَفْسُہٗ – جَاءَ الزَّیْدَانِ اَنْفُسَھُمَا – جَاءَ الزَّیْدُونَ اَنْفُسَھُمْ

২। عَیْنٌ যথা:- جَاءَ زَیْدٌ عَیْنُہٗ – جَاءَ الزَّیْدَانِ عَیْنَاھُمَا – جَاءَ الزَّیْدُونَ اَعْیُنُھُمْ

৩। کِلَا و کِلْتَا যথা:- جَاءَ الزَّیْدَانِ کِلَاھُمَا

৪। کُلٌّ যথা:- جَاءَ الْمُسْلِمُوْنَ کلُّھُمْ

تاکید এবং مؤکّد এর মধ্যে অবশ্যই تطابق অর্থাৎ মিল থাকিতে হবে। اَکْتَعَ – اَبْتَعُ – اَبْصَعُ  এই তিনটিকে اَجْمَعُ এর تَابِع  হিসাবে উল্লেখ করা হয়। অতএব اَجْمَعُ কে ছাড়া বাকী তিনটি ব্যবহৃত হয় না। اَجْمَعُ এর পূর্বেও ব্যবহৃত হয় না।  যথা:- جَاءَ الْقَوْمُ کُلُّھُمْ اجْمَعُوْنَ – اَبْتَعُوْنَ

৫। اَجْمَعُ যথা:-

৬। اَبْتَعُ যথা:-

৭। اَکْتَعُ যথা:-

৮। اَبْصَعُ যথা:-

بدل  এর আলোচনা

بدل ( স্থলবর্তী উক্তি ) ইহা এমন একটি تَابِع  যাহার مَتْبُوْع  এর সহিত যে জিনিষ সম্পর্ক যুক্ত , তাহা উদ্দেশ্য না হইয়া تَابِع  এর সাথে সম্পর্কিত জিনিষ  উদ্দেশ্য হয়।

بدل  মোট চার প্রকার।

১। بدل الکل :- বদল ও মুবদাল মিনহু এক ও অভিন্ন বিষয়কে বুঝাইলে সে বদল কে بدل الکل বলিবে।

যথাঃ-  جَاءَ زَیْدٌ اَخُوْکَ – جَاءَنِی مُدِیْرُ الْمَدْرَسَۃِ خَالِدٌ – سَاَلَ المعلِّمُ التِّلْمِیْذَ بَشِیْرًا

২। بدل البعض :- বদলটি মুবদাল মিনহু এর অংশ বুঝালে তাকে بدل البعض বলিবে।

যথা:- اَکَلْتُ السَّمَکَۃَ راسھا – ضُرِبَ زَیْدٌ رَاسَھَا – مَضٰی اللّیلُ نِصْفُہٗ

৩। بدل الاشتمال :- বদলটি মুবদাল মিনহু এর  সম্পর্কিত বিষয়কে বুঝালে তাকে بدل الاشتمال বলিবে।

যথা:- سُرِقَ رَاشِدٌ قَلَمُہٗ – اِحْتَرَقَ خَالِدٌ بَیْتُہٗ  – سُلِبَ زَیْدٌ ثَوْبُہٗ

 ৪। بدل الغلط :- ভূল বলার পর সাথে সাথে যে لفظ বলে ভূল শুদ্ধ করা হয় তাকে بدل الغلط বলে ।

যেমন:-  رَایتُ خَالدًا بَکرًا

জেনে রাখিবে বদল কোন সিফাতের সিগাহ্  নয়।

عطف 

عطف بحروف এর অপর নাম عطف نسق

عطف بحروف  ঐ تَابِع   কে বলে যাহা حرف عطف এর পরে উল্লেখ হইবে। حرف عطف ১০টি। যথা:-

واو – ف – ثمَّ – حتّی – – بَل – – اَم – اَو – اما – لٰکن – لَا –

عطف بحروف কে معطوف বলে এবং তাহার مَتْبُوْع কে معطوف علیہ  বলে ।

نسبت এর মধ্যে দুইওটাই উদ্দেশ্য থাকিবে যথা :- جَاءَ زَیْدٌ و بَکرٌ যায়েদ এবং বকর আসিল।

عطف بیان

عطف بیان  এমন একটি تَابِع  যাহা তাহার مَتْبُوْع কে সুস্পষ্ট করার জন্য আসে।

عطف بیان কোন সিফাত বা গুণবাচক শব্দ নহে। মানুষের সাধারনত দুইটি নাম থাকে । একটি মূল নাম অপরটি উপনাম। মূল নামকে  َعَلم  বলে । উপনামকে کُنِیَتْ  বলে।  

কেউ মূল নামে প্রসিদ্ধ আবার কেউ উপনামে প্রসিদ্ধ। অপ্রসিদ্ধ আগে বলে , প্রসদ্ধিকে পরে বলিবে। 

দ্বিতীয়টাকে بیان বলিবে। প্রথমটাকে مُبَیَّن বলিবে। যথা:- اَقْسَمَ بِاللہِ اَبُوْ حَفْصٍ عُمَر হযরত ওমর খোদার নামে

শপথ করিয়া বলিল। ইহা একটি কবিতার ছন্দ , এখানে হযরত ওমর এর মূলনাম প্রসিদ্ধ পরে এসেছেে এবং اَبُوْ حَفْصٍ উপনাম আগে এসেছে। 

عبدُ اللہِ بْنُ عُمََرَ বলতে عبدُ اللہِ মূলনাম আগে  بْنُ عُمََرَ প্রসিদ্ধটা পরে এসেছে। اَبُوْ حَفْصٍ হইল مُبَیَّن 

এবং عُمََرَ হইল بیان  আর  عبدُ اللہِ হইল مُبَیَّن  এবং بْنُ عُمََرَ হইল بیان  ।

 সম্মানিত বন্ধুগন “ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহু” এই পর্বে আমরা আলিফ লাম শিখবো।

الف لام 

الف لام  দুই প্রকার :

১। زائدہ  : যাহা শব্দের শুরুতে আসে সুন্দর্যতার জন্য। যথা :- الضربُ – النصرُ

২। الف لام غیر زائدہ : এটা আবার দুই প্রকার।   اسمی – حرفی

الف لام اسمی  উহা اسمی فاعل এবং اسم مفعول  এর সঙ্গে আসে, যাহার অর্থ হয় الّذی এর অর্থে ।

যথা:- اَلْمَضْرُوْب اَیْ الّذی ضُرِبَ – اَلضَّارِبُ اَی الَّذِی ضَرَبَ

الف لام حرفی চার প্রকার :

১। جنسی যে الف لام জাতকে বুঝায় তাকে جنسی  বলে। যথা:- الرّجل خَیْرٌ مِّنَ الْمَرْاۃِ পুরুষ জাতীগত হিসাবে মহিলা থেকে ভালো।

২। اِسْتِغْراقِی যে الف لام সকল সংখ্যাকে সামিল করে তাকে اِسْتِغْراقِی বলে। যেমন:- اِنَّ الْاِنْسَانَ لَفِی خُسْرٍ নিশ্চয় সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত ।

৩। عَھْدِی :- যে الف لام নির্ধারিত ব্যাক্তি বা বস্তুকে বুঝায় তাকে الف لام عَھدِی বলে। যথা:- فَعَصٰی فِرْعَونُ الرَّسُولَ  ফেরআউন রাসূলে নাফরমানী করল।

৪। ذِھْنِی :- যে الف لام কল্পিত ব্যক্তিকে বা বস্তুকে বুঝায় তাকে الف لام ذھنی বলে। যথা:- اِنِّی اَخَافُ اَنْ یَّاکُلَہُ الذّئبُ নিশ্চয় আমি ভয় করিতেছি বাঘ তাকে খেয়ে পেলবে।

দ্বিতীয় অধ্যায় فعل এর আলোচনা

فعل এর শাব্দিক অর্থ কাজ বা ক্রিয়া।

এমন কোন فعل নাই যাহা আমল করে না। প্রত্যেক فعل তাহার فاعل কে পেশ দিবে। 

فعل অর্থগত হিসাবে দুইভাগে বিভক্ত: 

১। فعل لازم 

২। فعل متعدّی

فعل لازم  ঐ ফে;লকে বলে যে ফে’ল তাহার ফায়েল দ্বারাই সম্পূর্ণ হয়ে যায়। مفعول بہ এর প্রয়োজন হয় না।

অর্থাৎ কর্তা তার কাজ সম্পাদন করতে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রয়োজন হয় না। যথা:

ضَرَبَ زَیْدٌ بَکْرًا যায়েদ বকরকে প্রহার করিল। এখানে বকর না থাকলে যায়েদের প্রহার কর্ম সম্পাদন হইতো না। আরেকটি মেছাল যেমন: اَکَلَ زَیْدٌ طَعَامًا  যায়েদ খানা খাইল। এখানে খানা না থাকিলে যায়েদের খানা হইত না। 

فعل متعدّی দুই প্রকার:

১। فعل معروف বাক্যের মধ্যে যে فعل  এর فاعل  উল্লেখিত হয় এবং সরাসরি ভাবে فعل  এর اسناد কে فاعل  এর

     দিকে করা হয় তাকে فعل معروف বলিবে । যথা : ضَرَبَ زَیدٌ যায়েদ প্রহার করিল। 

২। فعل مجھول বাক্যের মধ্যে যে فعل  এর فاعل  উল্লেখ না থাকায় فعل  এর اسناد কে مفعول بہ  এর

     দিকে করা হয় তাকে فعل مجھول বলিবে । যথা : ضُرِبَ زَیدٌ যায়েদ প্রহারীত হয়েছে।

فعل متعدّی ইহা مفعول হিসাবে চার প্রকার :

১। متعدی بیک مفعول :- কর্তা কর্ম সম্পাদন করতে একটি মাত্র مفعول  এর প্রয়োজন হলে 

     তাকে متعدی بیک مفعول বলিবে। যথা: اَکَلَ زَیْدٌ طَعَامًا – ضَرَبَ زَیْدٌ عَمًْرًوا

২। متعدی بدو مفعول اقتصارجائز কর্তা কর্ম সম্পাদন করতে দুইটি مفعول  এর  প্রয়োজন হইলেও একটিকে 

উল্লেখ করলে চলে এমন ফে’লকে متعدی بدو مفعول اقتصارجائز বলে। যথা: اَعْطَیْتُ زَیْدًا دِرْھَمًا আমি যায়েদকে

একটি দেরহাম দিলাম। এখানে زَیْدًا বা دِرْھَمًا যে কোন একটি উল্লেখ করলেও চলে। 

৩। متعدی بدو مفعول اقتصار ناجائز যাহা দুইটি مفعول  ছাড়া সম্পাদন হয়না । উভয় مفعول  কে উল্লেখ করতে হয়

একটির উপর সংক্ষিপ্ত করা অবৈধ। যথা: حَسِبْتُ زَیْدًا عَالِمًا  আমি যায়েদকে আলেম ধারনা করলাম।

এরকম ফে’ল ৭টি যে গুলোকে افعال قلوب  বলে। যথা:

عََلِمتُ – وَجَدْتُ – زَعَمْتُ – رَایْتُ – حَسِبْتُ- ظَنَنتُ – خِلْتُ

৪। متعدی بسہ مفعول যাহা তিন مفعول  ছাড়া সম্পাদন হয়না। এপ্রকারের ফে’ল ৬টি। যথা:- 

اَعْلَمَ – اَخْبَرَ – اَرٰی – اَنْبَاَ – نبَّاَ – حَدَّثَ – 

যেমন:- اَعْلَمَ اللہُ زَیْدًا عَمْرًوا فَاجِلًا  আল্লাহ তা’য়ালা যায়েদকে জানায়ে দিলেন যে আমর পুন্ডত। 

মনে রাখিতে হবে যে, افعال قلوب এর দ্বিতীয় مفعول এবং متعدی بسہ مفعول এর তৃতীয় مفعول কে এবং 

مفعول لہ  ও مفعول معہ  কে نائب فاعل  বানানো যায় না। 

متعدی بدو مفعول اقتصارجائز এর দুই مفعول এর যে কোন একটিকে نائب فاعل  বানানো যায় ।

কিন্তু প্রথম مفعول কে প্রথম مفعول কে نائب فاعل  বানানো উত্তম। 

فعل مجھول উহা فاعل  এর স্থলে مفعول بہ কে পেশ দিয়ে نائب فاعل বানাবে।বাকী অবশিষ্ট مفعول যবর দিবে। 

যথা: ضُرِبَ زَیْدٌ یَوْمَ الْجُمٌعَۃِ اَمَامَ الْبَیْتِ ضَرْبًا شَدِیْدًا فِی صِحْنِ تَادِیْبًا وَالخَشَبَۃَ 

যায়েদ শুক্রবার দিনে ঘরের সামনে উঠানের মাঝে আদবের জন্য লাঠি দিয়ে কঠোরভাবে 

প্রহারীত হয়েছে।

فعل   উহা لازم হোক বা   متعدّی হোক فاعل কে পেশ দিবে এবং ছয় اسم কে যবর দিবে। 

فعل  ছয় اسم কে যবর দিবে। 

১। مفعول مطلق যথা: قَامَ زَیْدٌ قِیَامًا – ضَرَبْتُہٗ ضَرْبًا

২। مفعول فیہ যথা: قُمْتُ عِنْدَ الْمَسْجِدِ – ضَرَبْتُہٗ یَوْمَ الْجُمْعَۃِ 

৩। مفعول لہ যথা: قُمْتُ اِکْرَامًا لَہٗ – ضَرَبْتُہٗ تَادِیْبًا

৪। مفعول معہ যথা: جَاءَ الْبَرْدُ وَ الْجُبَّۃِ – ضَرَبْتُہٗ وَالْخَشْبَۃَ

৫। حال যথা: جَاءَ زَیْدٌ رَاکِبًا – ضَرَبْتُہٗرَاکِبًا

৬। تمیز যথা: طَابَ زَییْدٌ نَفْسًا 

فعل  متعدّی  ইহা ছাড়া مفعول بہ  কে ও যবর দিবে। যথা: ضَرَبَ زَیْدٌ خَالِدًا 

বিস্তারিতঃ

১। مفعول مطلق উহাকে বলে, যাহা উল্লেখিত فعل  এর مصدر  সহজ কথায় উল্লেখিত فعل  এর مصدر  কে 

মাফউলে মাত্বলক্ব বলে।  مفعول مطلق তিন প্রকারে আসে। (১)  بَیَانِ نُوْعْ (২) بَیَانِ عَدد (৩) بَیَانِ تَاکِیْد 

(১)  بَیَانِ نُوْعْ যথা: جَلَسْتُ جِلْسَۃَ الْقَارِی  আমি ক্বারীর মত বসলাম।

(২) بَیَانِ عَدد যথা: جَلَسْتُ جِلْسَۃً আমি একবার বসলাম। 

(৩) بَیَانِ تَاکِیْد  যথা: جَلَسْتُ جُلُوْسًا আমি বসার মত বসলাম। 

২। مفعول فیہ কর্তার কাজ যে স্থানে বা কালে হবে তাকে مفعول فیہ বলিবে। যথা: جَلَسْتُ اَمَامَ الْبَیْتِ – جَرَبْتُہٌ یَوْمَ السّبْتِ  মা্ফউলে ফিহী ২ প্রকার (১) ظَرْف زمان (২) ظَرْف مکان

৩। مفعول لہ কর্তার কাজ যে কারণে হইবে ঐ কারণ কেই مفعول لہ বলে। যথা: قُمْتُ اِکْرَامًا لَہٗ – ضَرَبْتُہٗ تَادِیْبًا 

৪। مفعول معہ উহাকে বলে যাহা فاعل  এর পরে যে واو টি مَعْ অর্থ রাখে সে واو এর পরে আসে। অথবা فاعل  এর সঙ্গে যাহা نسبت ছাড়া আসিবে তাহাকে مفعول معہ বলিবে। যথা: جَاءَ الْبَرْدُ وَ الْجُبَّۃِ –  শীত জুব্বা সহ আসিল।  جَاءَ الْمُعَلِّمُ وَالتِّلْمِیْذَ  শিক্ষক ছাত্রসহ আসিলেন। 

৫। حال উহাকে বলে, যাহা কখনো فاعل  কখনো مفعول এর অবস্থা বর্ণনা করে। আবার কখনো فاعل  এবং مفعول  দুইটার অবস্থা একসথে বর্ণনা করে। যথা:

لَقِیْتُہٗ رَاکِبَیْنِ – ضَرَبْتُ زَیْدًا مَشْدُوْدًا – جَاءَ زَیْدٌ رَاکِبًا –

حال কখনো جملہ হয় । যথা: جَاءَ زَیْدٌ وَھُوَ رَاکِبٌ

ذُوالْحال যখন نکرہ হয় তখন حال কে ذُوالْحال  এর উপর مقدّم  করা হয়। যথা: جَاءَنِی رَاکِبًا رَجّلٌ আমার নিকট ছাওয়ার হয়ে এক ব্যক্তি আসিল। কেননা حَالت نصبی  তে صفت  এর সঙ্গে মিলিয়ে যাওয়ার আসংখ্যা থাকে।

৬। تمیز :  যখন فعل  এর নিসবত্ তাহার فاعل  এর দিকে করা হয়, তখন কোনো কোনো فعل  এর নিসবত্ এর মধ্যে অস্পষ্টতা থেকে যায়। ঐ অস্পষ্টতা দূর করার জন্য যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহাকে تمیز বলে। যথা: طَابَ زَیْدٌ نَفْسًا যায়েদ মনের দিক দিয়ে খুশী।

مفعول بہ কর্তা কর্ম করিতে যাহা ছাড়া কর্তার কর্ম সম্পাদন হয় না। তাহাকে مفعول بہ বলেবে। যথা:

اَکَلَ زَیْدٌ طَعَامًا যায়েদ খানা খাইল।

اَلْاَفْعَالُ الْعَامِلَۃُ السِّمَاعِیَّۃُ 

শ্রভনীত আমলকারী فعل  সমূহ চার প্রকার । যথা: 

(১) اَفْعَال نَاقِصہ (২) اَفْعَال مُقَارِبَہ  (৩) افْعَال مُدَح و ذم  (৪) اَفْعَال قُلُوب

(১) اَفْعَال نَاقِصہ যে ফে’ল গুলো সুধু  فاعل  দ্বারা সম্পূর্ণ হয়না। বরং তাদের জন্য خبر  এর প্রয়োজন হয়। ঐ ফে’ল গুলোকে اَفْعَال نَاقِصہ বলে।  اَفْعَال نَاقِصہ  ১৩টি । যাহা নিচে উল্লেখ করা হল।

کَانَ – صَارَ – ظَلَّ – بَاتَ – اَصْبَحَ – اَضْحٰی – اَمْسٰی – مَابَدِحَ – مَا فَتٰی – مَازَالَ – مَادَامَ – مَااَنْفَکَّ – لَیسَ – 

اَفْعَال نَاقِصہ  এর আমল : এগুলো اسم কে পেশ দিবে এবং خبر কে যবর দিবে। যথা: کَانَ زَیْدٌ قَائمًا 

کَانَ তিন প্রকার :  (১) کَانَ এ نَاقِصہ (২) کَانَ এ تَامَّہ যথা: کَانَ مَطَرٌ (৩) کَانَ  زَئدہ  যথা: کَیْفَ نُکَلِّمُ مَنْ کَنَ فِی الْمَھْدِ صَبِیًّا 

اَفْعَال نَاقِصہ  এর অর্থ: 

کَانَ  এবং صَارَ  এর অর্থ :- হইয়া গেল।

ظَلَّ  অর্থ :- দিনের বেলা হইয়া গেল।

بَاتَ  অর্থ:- রাত্রির বেলা হইয়া গেল।

 اَصْبَحَ  অর্থ:- সকাল বেলা হইয়া গেল।

اَضْحٰی  অর্থ:- দুপুর বেলা হইয়া গেল।

اَمْسٰی  অর্থ:- সন্ধ্যা বেলা হইয়া গেল।

لَیسَ  অর্থ:- না বা নহে।

مَادَامَ  অর্থ:- যতক্ষণ থাকিবে 

বাকী চারটির অর্থ : সবসময় রহিল। 

اَفْعَال مُقَارِبَہ চারটি: عَسٰی – کَادَ – کَرُبَ – اَوْشَکَ এই ফে’ল গুলো اسم কে পেশ দিবে এবং خبر কে যবর দিবে। خبر কিন্তু فعل مضارع এর ছিগাহ হবে। কখনো  اَنْ দিয়া আবার কখনো اَنْ  ছাড়া।  যেমন:- 

 عَسٰی زَیْدٌ اَنْ یَّخْرُجَ যায়েদের বের হওয়া দেরী নহে। অর্থাৎ যায়েদের বের হওয়া অতি নিকটে। اَنْ  ছাড়া যেমন :  عَسٰی زَیْدٌ یَّخْرُجَ যায়েদ অতিসত্বর বাহির হিইতেছে। اَنْ  যুক্ত فعل مضارع টি যখন عَسٰی এর فاعل  হয় তখন তাহার خبر এর প্রয়োজন হয় না। যথা:-  عَسٰی اَنْ یَّخْرُجَ زَیْدٌ 

اَففْعَال مَدح و ذَم প্রসংশা এবং নিন্দাবাচক কাজ বা ক্রিয়াঃ اَففْعَال مَدح و ذَم দুইটি করে চারটি।  نَعْمَ – حَبَّذَا  প্রসংশার জন্য। 

 

 

 

 অসমাপ্ত  চলবে ………..।

 

1 thought on “ইলমে নাহুর সারাংশ খোলাছাতুন নাহু”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top