কুরবানীর যাবতীয় মাসআলা-মাসায়েল ‎– ২য় পর্ব

কুরবানীর পশু এবং তার মধ্যে শরীক হওয়া।

০৪৫. যদি কোনো অধিক সম্পদশালী লোক শুধু একটি বকরী বা বড় জন্তুর থেকে মাত্র একটা অংশ দেয়, তাহলেও তার ওয়াজিব আদায় হবে যাবে। (কিফায়াতুল মুফতী : ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯৮)।

০৪৬. বকরী বা খাসী, দুম্বা, ভেঁড়া, ষাঁড়, বলদ, মহিষ, উট, উটনী এদের প্রত্যেক নর-মাদী দ্বারা কুরবানী করা জায়েয এবং এগুলোই কুরবানী জন্তু। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯৯)

০৪৭. এ পশুগুলো ব্যতীত বন্যজাতীয় জন্তু যেমন হরিণ, নীলগাই ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী জায়েয নয়। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯)

০৪৮. বকরী, খাসী, দুম্বা, ভেঁড়া, নর-মাদী দ্বারা কেবলমাত্র এক নামে একজনই কুরবানী করতে পারে। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১)

০৪৯. যদি এগুলো দ্বারা একাধিক ব্যক্তি ওয়াজিব কুরবানী করে, তাহলে আদায় হবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১)

০৫০. গাভী, বলদ, ষাড়, মহিষ ও উটের মধ্যে এক থেকে সাতজন লোক কুরবানী করতে পারে। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০০)

০৫১. একটা পূর্ণাঙ্গ খাসী দ্বারা কুরাবনী করা উত্তম যখন তার মূল্য গরু ইত্যাদির সাত ভাগে এক অংশের সমান অথবা বেশি হয়। (মাহমূদিয়া
৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০১)।

কুরবানীর যাবতীয় মাসআলা-মাসায়েল – ২য় পর্ব

০৫২. নর ও মাদী জন্তুর মধ্যে যদি উভয়ের মূল্য ও গােশত সমান হয়, তাহলে এ মাদী পশু দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। (শাকী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৫)

০৫৩. যদি বড় জন্তুর মধ্যে কারো অংশ সাতভাগের এক ভাগ থেকে কম হয়, তাহলে একজনেরও কুরবানী হবে না। (হিন্দিয়া : ৬ষ্ঠ কণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৪)।

০৫৪. তবে হ্যা, বড় জঙতে যদি সাত শরীক থেকে কম হয়, যেমন ছয় শরীক বা তিন শরীক হলো, তাহলে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু শর্ত হলো কারো
অংশ যেন সাতের একভাগ থেকে কম না হয় । (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০০)।

০৫৫. এরূপভাবে শরিকী জন্তুর মধ্যে প্রত্যেকের নিয়ত কুরবানী অথবা অন্যান্য নৈকট্য লাভের নিয়ত হতে হবে; যেমন আকীকা, মান্নত, নফল কুরবানী প্রভৃতির নিয়ত হওয়া শর্ত। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১)

০৫৬. সাত শরীকের মধ্যে কারো যদি শুধু গোশত খাওয়ার অথবা বিক্রয় করার নিয়ত থাকে, তাহলে সকলের কুরবানীই নষ্ট হয়ে যাবে। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১)

০৫৭, উত্তম হলো, জন্তু ক্রয় করার পূর্বে অংশীদার নির্দিষ্ট করে নেয়া এবং সকলের নিয়ত জেনে নেয়া। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১) 

০৫৮, যদি কারো উদ্দেশ্য কুরবানী বা নৈকট্য লাভ ব্যতীত অন্য কিছু হয়,তাহলে তাকে অংশীদার করবে না। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১) 

০৫৯, বিভিন্ন নৈকট্য লাভের নিয়ত, যেমন কেউ নফসের, কেউ ওসিয়তের আর কেউ ওয়াজিবের, তাহলে কোনো ক্ষতি নেই; সবই জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০২) 

০৬০, ইমাম আবু হানীফা রাহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিটক সবার নিয়ত এক হওয়া উত্তম। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০২) 

০৬১, যেই জন্তু কয়েকজনে মিলে ক্রয় করে, তা সকলের অনুমতি ব্যতীত কোনো কারণবশত বিক্রয় করা অথবা পরিবর্তন করা ঠিক নয়। কিন্তু যদি বিক্রি করা হয়, তৰে শুদ্ধ হবে। (মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩২৪)

০৬২, ছয় শরীক মিলে নিজ নিজ অংশ ব্যতীত সপ্তম অংশ রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য কুরবানী করলে জায়েয আছে। যদি কেউ একাই সপ্তম অংশ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামে কুরবানী করে তবুও জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৭৩;
ইমদাদুল ফাতওয়া জাদীদ ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৭৩) 

০৬৩, ওয়াজিব কুরবানীর সাথে আকীকার অংশ নেয়া জায়েয।(ফাতাওয়ায়ে  ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০২). 

০৬৪, বড় জন্তুর মধ্যে যদি সাত শরীরে চেয়ে অতিরিক্ত লোক শরীক হয়,তাহলে কারো ওয়াজিব কুরবানী আদায় হবে না। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০২;
হেদায়া : ৪র্থ খণ্ড পৃষ্ঠা ১৮৬) 

০৬৫, সুদখোর বা হারাম অর্জনকারীর সঙ্গে কুরবানীতে কখনও শরীক হওয়া উচিত নয়। (কিফায়াতুল মুফতী ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৫)।

০৬৬. কুরবানীর জন্তু ক্রয় করবার সময় যদি এরূপ নিয়ত করে যে, যদি কোনো লোক পরে অংশ নেয় তাহলে ভালো, অন্যথায় আমি একাই কুরবানী দেব। তারপর ওই গরুর মধ্যে আরও কয়েকজন লোক ভাগ নিলো তাহলেও জায়েয হবে। কিন্তু শর্ত হলো শরীক সাত জনের মধ্যেই সীমিত থাকা। (শারহুল হেদায়াহু : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৩)।

 ০৬৭, যদি ক্রয় করার সময় কাউকে শরীক করার ইচ্ছা না থাকে; বরং পুরা গরুই একা কুরবানী করার ইরাদা হয়, তাহলে ওই গরুর মধ্যে
আর কোনো শরীক না নেয়াই ভাল। (শামী : ৫ম খণ্ড
, পৃষ্ঠা ২০৫)।

০৬৮. যদি কাউকে শরীক করে নেয় তাহেল দখেতে হবে, যে ব্যক্তি শরীক নিলো সে ধনী অর্থাৎ তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব, না-কি সে গরীব। যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব নয়; যদি সে ধনী, হয়, তাহলে সকলের কুরবানী দুরস্ত হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১)।

০৬৯. যদি সে গরীব হয়, তাহলে তার জন্য শরীক নেয়া জায়েয নেই। যদি সে শরীক নেয় তাহলে ওই গরীবের কুরবানী সহীহ্ হবে না। (শামী : পৃষ্ঠা ২০১)

০৭০. হ্যাঁ, এতে যে শরীক হলো তার কুরবানী সহীহ্ হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী: পৃষ্ঠা ২০১)।

০৭১. এমতাবসথায় ওই গরীবের জন্য ওয়াজিব হলো যে, যতটুকু অংশে সে অন্যকে শরীক করেছে ওই অংশগুলো পুনরায় কুরবানী দেয়া। যদি কুরবানীর সময় অতিবহিত হয়ে যায়, তাহলে সে অংশগুলোর পরিমাণ টাকা ফকীর, মিসকীনদের সাদকা করে দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫ম খণ্ড, ৩৩১পৃষ্ঠা শামী ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১)। 

০৭২. গরীব যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে জন্তু কেনার সময় সে কুরবানীর নিয়ত করবে না; বরং ব্যবসার নিয়ত করবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩২৫)। 

০৭৩. যবাই করার পর কাউকে কুরবানীর জন্তুর মধ্যে শরীক করা এবং তার অংশ বিক্রয় করা জায়েয নয়। যদি করে তাহলে কুরবানী কারও হবে (ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০৯)

০৭৪. কুরবানীর জন্তুর মধ্যে এরূপ ব্যক্তি শরীক ছিল যার ওপর কুরবানী ওয়জিব। কিন্তু কুরবানী করার পূর্বেই সে পৃথক হয়ে গেল এবং অন্য এক ব্যক্তি অংশ নিল, তাহলে কুরবানী জায়েয। (কিফায়াতুল মুফতী :

৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৬) 

০৭৫. আর যে ব্যক্তি কুরবানী হতে পৃথক হয়ে গেল, তার ওপর যদিও কুরবানী ওয়াজিব ছিল না, তথাপি শরীক হওয়ার কারণে তার ওপরও কুরবানী ওয়াজিব হয়ে গেছে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কুরবানী না করা হয় অথবা তার অংশ পৃথক না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত অন্যান্য অংশীদারদের কুরবানীও হবে না। (কিফায়াতুল মুফতী : ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৬)

০৭৬. কোনো ব্যক্তি স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট মূল্য দ্বারা কুরবানীর জন্তু ক্রয় করেতাতে শরীক হওয়ার পূর্ণ কথা দেয়ার পর যদি সে অস্বীকার করে তাহলেও তার ওপর নিজ অংশের মূল্য আদায় করা ওয়াজিব। (মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯৭)।

০৭৭. যদি কুরবানীর পশু যবাই করার আগেই কোনো শরীক মারা যায়, পরে যদি ওয়ারিসগণ মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয়, তাহলে সকলে কুরবানী সহীহ হবে; তবে ওয়ারিসগণ বালেগ হওয়া শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৯)

০৭৮. যদি মৃত ব্যক্তির ওয়ারিস কেউ বালেগ না হয়, অথবা বালেগ কিন্তু ইজাযত না দেয়, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত মৃতের অংশ পৃথক না করা হবে,ততক্ষণ পর্যন্ত কারো কুরবানী সহীহ্হ বে না। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৯)

০৭৯. মুরগ-মুরগী ইত্যাদি পাখির কুরবানী জায়েয নয়; বরং এর দ্বারা অগ্নিপূজকদের সাথে মিলে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯৭; আঃ ৬ষ্ঠ খণ্ড পৃষ্ঠা ২৯৮)

০৮০. হরিণ, নীলগাই ইত্যাদি বন্যজন্তুর কুরবানী জায়েয নেই। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৫; আঃ ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৯)।

০৮১. কোন বন্যজন্তুকে পালা-পোষার পরেও তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে কেননা তার মূল হলো বন্য। (মাহমূদিয়া ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯৯;বজাজিয়া মাআ আলমগিরী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৯)

০৮২. কুকুর অথবা হরিণের মিলনে বকরীর যে বাচ্চা হয়, সেটা যদি বকরীর মতো হয় তাহলে তার কুরবানী জায়েয। আলমগিরী : ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৯)।

০৮৩. পশুর খোয়াড়ের জন্তু নিলামে ক্রয় করে তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। – (আলমগিরী : ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৪৯; মাহমূদিয়া ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০১)

০৮৪. ইনজেকশন দ্বারা সৃষ্ট বাচ্চাদের তার মার দিকে দেখতে হবে। যদি এরূপ বাচ্চার মা গৃহপালিত হয় তাহলে কুরবানী জায়েয। এভাবে আমেরিকান বা অস্ট্রেলিয়ান গাভী শূকরের মত না হয়ে সাধারণ গাভীর মতো হলে তদ্বারা কুরবানী জায়েয। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৮; আলমগিরী ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৯)

০৮৫, শুকরের দুধ পান করেছে এমন ছাগলের বাচ্চার কুরবানী জায়েয। (ফাতয়ায়ে মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১১)

০৮৬. কুরবানীর জন্য মোটা-তাজা ও সুন্দর জন্তু ক্রয় করা মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব সুন্দর হৃষ্ট- পুষ্ট জন্তু দ্বারা কুরবানী করেছেন। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৯)। |

০৮৭. খাসী ও বলদ জন্তু দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৫)।

০৮৮. গর্ভবতী জন্তুর কুরবানী জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে শামী : পৃষ্ঠা ২০৭; আলমগিরী : ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯৪)

০৮৯. কিন্তু বাচ্চা হবার সময় যদি নিকটবর্তী হয়, তাহলে তার কুরবানী মাকরূহ এবং তার পরিবর্তে অন্য জন্তু কুরবানী করা জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া : ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩২৩)

০৯০. যবাই করার সময় জন্তু গর্ভবতী বলে জানা ছিল না, কিন্তু যবাই করার পর পেট থেকে বাচ্চ বের হলো। এখন বাচ্চা যদি জীবিত বের হয়, তাহলে তাকে যবাই করে খাওয়া জায়েয। (মাহমূদিয়া ৪র্থ খণ্ড পৃষ্ঠা ৩২৩)।

০৯১. আর যদি মরা বাচ্চা বের হয়, তাহলে খাওয়া জায়ে নয়। হ্যাঁ, ওই করবানীর পশুর গোশত উভয় অবস্থায়ই খাওয়া যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৭)

০৯২. চুরি করে আনা জন্তু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। (ইমদাদুল ফাতওয়া : ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৫০)।

০৯৩. যদি কোনো জন্তু কারো নিকট নির্দিষ্ট অংশের ওপরে পালতে দেয়া হয়, তাহলে পালনেওয়ালা মালিক হয় না। সুতরাং তার থেকে ওই জন্তু ক্রয় করে কুরবানীকরা জায়েয হবে না।

০৯৪. এরূপ জন্তু দ্বারা কুরবানী করতে হলে তার প্রকৃত মালিকের নিকট থেকে ক্রয় করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড পৃষ্ঠা ২১০; আলমগিরী ৬ষ্ঠ খণ্ড পৃষ্ঠা ২১৭)।

০৯৫. ধারকৃত ও আমানতের পশুর কুরবানী তার মালিকের ইজাযত ব্যতীত জায়েয হবে না। (শামী ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১১)।

০৯৬, বন্ধকীকৃত ও আংশীধারী জন্তুর কুরবানী জায়েয নয়। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১১)

০৯৭. যদি অংশীদারের অনুমতিক্রমে কুরবানী করা হয়, তাহলে জায়েয। তবে শর্ত হলো তার অংশ যেন সাতভাগের এক অংশের চেয়ে কম না হয়। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৬)

০৯৮. শ্বশুর বাড়ির উপঢৌকন ও হাদিয়া এবং দানকৃত পশুর কুরবানী জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৬)

০৯৯, যবাই করার পূর্বে যদি কুরবানী জন্তুর জীবিত বাচ্চা হয়, তাহলে তাকে সাদকা করা ওয়াজিব। যদি বাচ্চাটি যবাই করা হয়, তাহলে তার গোশতও সাদকা করা ওয়াজিব। (শামী : ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৫), ১০০. যদি উক্ত বাচ্চাটি জীবিত রেখে পরবর্তী বৎসরে কুরবানী দেয়া হয়,

তাহলে নিজের কুরবানী আদায় হবে না। সুতরাং তাকে জীবিত সাদকা করাই উত্তম। আর তা না হলে যবাই করে গোস্ত সদকা করা ওয়াজিব।

প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন ?

 

কুরবানীর মাসআলা ১ম পর্ব?

 

অসমাপ্ত চলবে…………..

পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Thank you for reading the post.

1 thought on “কুরবানীর যাবতীয় মাসআলা-মাসায়েল ‎– ২য় পর্ব”

  1. Pingback: কুরবানীর জন্তু যবাই করার পদ্ধতি/নিয়ম - Educational Tips & Tricks.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top