দোয়ায়ে কুনূত বাংলা উচ্চারণ সহ

দোয়ায়ে কুনূত বাংলা উচ্চারণ সহ

اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُکَ وَنَسْتَغْفِرُکَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَ کَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِیْ عَلَيْكَ الْخَيْرَوَنَشْکُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ  وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ اَللّٰهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّيْ وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعٰي – وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ – وَنَخْشٰى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالكُفَّارِ مُلْحِقٌ 

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাছতা’ইনুকা অ-নাছতাগফিরুকা অ-নু’মিনুবিকা অ-নাতা ওয়াক্কালু আলাইকা অ-নুসনী আলাইকাল খাইর।অ-নাশকুরুকা। অ-লানাকফুরুকা অ-নাখলাউ অ-নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু  অ-লাকা নুছাল্লী অ-নাছজুদু অ-ইলাইকা নাছ-আ অ-নাহফিদু  অ-নারজূ রাহমাতাকা নাখশা আযাবাকা ইন্না আযাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক্ব।

অর্থঃ  আয় আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি এবং  তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি এবং তোমার উপর ঈমান আনিতেছি এবং তোমার উপর ভরসা করিতেছি।তোমার উত্তম প্রশংসা করিতেছি এবং (চিরকাল) তোমার শুকরগুজারী বা কৃতজ্ঞতা আদায় করিব, কখনও তোমার নাশুকরী বা কুফরী করিব না। তোমার নাফরমানী যাহারা করে (তাহাদের সহিত আমরা কোন সম্পর্কও রাখিব না।) তাহাদের আমরা পরিত্যাগ করিয়া চলিব।

 

হে আল্লাহ! আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করিব, (অন্য কাহারও ইবাদত করিব না।) একমাত্র তোমারই জন্য নামায পড়িব, একমাত্র তোমাকেই সেজদা করিব, (তুমি ব্যতীত আর কাহারও জন্য নামায পড়িব না বা অন্য কাহাকেও সেজদা করিব না ।) এবং একমাত্র তোমার আদেশ পালন ও তাবেদারীর জন্য সর্বদা (দৃঢ় মনে) প্রস্তুত আছি। (সর্বদা) তোমার রহমতের আশা এবং আযাবের ভয় অন্তরে রাখি । (যদিও) তোমার আসল আযাব নাফরমানদের উপরই হইবে । (তথাপি আমরা সেই আযাবের ভয়ে কম্পমান থাকি।)

 

মাসআলা : বিতরের নাযের তৃতীয় রাকাতে কিরাআতের পর তাকবীরের সহিত হাত উঠাইয়া হাত বাঁধা অবস্থায় রুকুর আগে দুআয়ে কুনূত পড়িতে হয়।

 

প্রশ্ন: কেউ যদি দুআয়ে কুনূত না পারে তাহলে সে কি পড়বে?

উত্তর : যথাসম্ভব শিখে নেয়ার চেষ্টা করবে , শিখার আগে ওলামায়ে কিরাম বলেছেন সূরায়ে ইখলা তিনবার/৫ বার ৭ বার  পড়বে।

প্রশ্ন: দোয়ায়ে কুনূত নোন নামাযে পড়তে হয়?

উত্তর: ইশার নামাযের ফরজ চার রাকাত পড়ার পর, সুন্নাত দুই রাকাত পড়বে অতপর তিন রাকাত বিতরের নামায পড়তে হয়।তবে হ্যাঁ কাহারো যদি শেষ রাতে অর্থাৎ ছুব্হে ছাদিকের আগে উঠার অভ্যাস থাকে তাহলে তার জন্য শেষ রাতে পড়াটাই উত্তম।

প্রশ্ন: বিতরের নামায পড়ার নিয়ম কী?

উত্তর: দ্বিতীয় রাকাতে সূরায়ে ফাতিহা ও অন্য সূরা বা কেরাত শেষ করার পর রুকুর পূর্বে দুনো হাত উঠিয়ে আরো এবার তাকবীর বলে হাত বেঁধে এই দোয়াটি অর্থাৎ দোয়ে কুনূত পড়তে হয়। 

Thank you for reading the post.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top