জুমলায়ে ইছমিয়্যাহ্ / جملہ اسمیّہ

 

জুমলায়ে ইছমিয়্যাহ্ / جملہ اسمیّہ

সম্মানিত বন্ধুগন আমরা নাহভী তারকীব  শিখবো তারকীব শিখার পূর্বে আমাদের কে কয়েকটি জিনিস ভালো ভাবে মুখস্থ ও ঠুটস্থ রাখতে হবে , ‎অন্যথায় আমরা তারকীব করতে পারবো না ।‎ ‎যেমনঃ-
‎‏-  مرفوعات ۔ مرفہ ۔  نکرہ ۔  معرب ۔  مبنی ۔  اسم متمکن  کی سولہ قسمیں ۔  علامت اسم ‏ ۔ علامت فعل ۔ و حرف ‏
‏ وغیرہ وغیرہ ۔‏

جملہ  ‏‎ দুই প্রকার‎:

‎1 ‎‏- جملۂ خبریّہ
2- جملۂ انشائیہ 
 
متقدّمین علماء کرام ‏‎  এর নিকট ‎جملہ ‏‎ তিন প্রকার এমন কি আল্লামাহ ‎যমখশরী‏ (‏রঃ‏)‏‎ এর নিকট ও তিন প্রকার ‎ প্রশ্ন জাগে আল্লামা জমখশরী কে ? আল্লামাহ জমখশরী প্রবিন একজন ‎বড় মুফাস্সির ও নাহু বিধ বা ইলমে নাহুর ইমাম ছিলেন ।‎ আল্লামাহ যমখশরী যিনি কুরআনে কারীমের বড় একটি  তাফসীর , ‎তাফসীরে কাশ্শাপ লিখেছেন । ‎যাহা সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম বলেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত  আনে ‎ওয়ালা যে সমস্ত উলামায়ে কেরাম তাফসীর করিতে ‎ ছাহিবে তারা  সকলেই তাফসীরে কাশ্শাফ এর মুহতাজ হইবে।‎ যা হোক, বলতে ছিলাম উনার নিকট ও জুমলাহ্ তিন প্রকার।
‎(১‎) اسمیّہ  (‏‎২‎‏) فعلیّہ (‏‎৩‎‏)  ظرفیّہ
অবশেষে ২ প্রকারই হবে কেননা জুমলায়ে  ‎ظرفیّہ ‏‎  ও ‎شرطیّہ ‏
مبتدا خبر ‏‎ বনিয়া জুমলায়ে এচমিয়্যাহ্ই হবে ।‎
মোট কথা جملۂ خبریّہ দুই প্রকার اسمیّہ  فعلیّہ
جملۂ اسمیّہ:-
جملۂ اسمیّہ :- যে ‎جملہ ‏‎ এর প্রথম অংশ ‎اسم ‏‎ হয ঐ  ‎جملہ ‏‎ কেجملۂ اسمیّہ  ‏ ‎ বলে । ‎যেমনঃ-  ‎‏- زید عالم
 جملۂ فعلیّہ :-
‎‏
 جملۂ فعلیّہ ‏ :- ‎যে ‎جملہ ‏‎ এর প্রথম অংশ ‎فعل ‏হয় ঐ  ‎جملہ ‏‎ কে ‎فعلیّہ  ‏‎ جملۂ বলে ।‎ যেমনঃ- ‎‏-  ضرب زید عمروا ‏
جملۂ ظرفیّہ :-
ظرفیّہ   ‎جملۂ :- ‎‏ ‏‎যে ‎جملہ ‏‎ এর প্রথম অংশ ‎ظرف  ‏হয় ঐ  ‎جملہ ‏‎ কে ‎ظرفیّہ  ‏‎ جملۂ বলে ।‎যেমনঃ‎‏- عندی مال ‏
সম্মানিত বন্ধুগন ‎ جملۂ اسمیّہ:- এর দুইটি অংশ প্রথম  অংশ কে ‎مبتدا‎ বলে ‎আর
‎দ্বিতীয় অংশ কে ‎خبر‎ বলে ।‎
‎*‎‏ مبتدا خبر ‏‎ উভয়টা  মারফু হবে ,‎
* ‎مبتدا‎ সর্বদা মারেফা হবে আর খবর সাধারনত ‎ নাকেরাই আসিবে‎‏ ‏‎। তবে হাঁ কখনো কখনো নাকেরা ‎ ও মুবতাদা হতে পারে , ইহার আলোচনা সামনে ‎ আসবে ইনশা আল্লাহ ।‎
মনে কর আমাদের সামনে  একটি বাক্য আসলো যার মধ্যে ‎২ টি এছেম  আছে । এখন আমরা কোনটাকে মুবতাদা‏ আর কোনটাকে ‎খবর বলবো।‎ অবশ্যই যেটা মারেফাহ্ সেটাকে মুবতাদা  বলবো ,তাইনা ? ‎ আচছা মারেফা ছিনতে হলে আমাদের কে মারেফাহ সাত প্রকার জানতে ‎হবে ।‎ সাধারনত মুবতাদা আগে ‎‏( ‏মুব‎তাদা‏ এর  আসল মুকাদ্দাম হওয়া‏) ‏এবং ‎খবর শেষে আসে তবে কখনো কখনো মুবতাদা শেষে এবং খবর আগেও আসতে ‎ পারে । এসময় মুবতাদাকে  মুবতাদায়ে  ‎‏মুয়াখখার এবং  ‏খবর কে খবরে ‎মুকা‏দ্দম‏ বলিবে ।‎ উভয়টার এরাব  রফা হবে , আমিলে ইবতেদার কারণে । ‎ এরাব , হয়তো লফজান নয়তো তাক্বদীরান অথবা মহল্লান হবে।‎
* এছেম মাবনী হলে এরাব সর্বদা মহল্লান হবে । ‎
* ‎‏ واحد – تثنیہ – جمع – مذکر مؤنّث ‏‎  এই ৫ টি ‎ জিনিসের যে কোন ২ টির মধ্যে খবর মুবতাদা ‏ এর ‎মুত্বাবেক হবে  যেমনঃ‎‏- ‏
الرّجل عالم –الرّجلان عالمان – الرّجال عالمون – المرأۃ عالمۃ – المرأتان عالمتان ‏‏– النّساء عالمات
এই পর্বে আমরা তারকীব শুরু করবো‏।  একি বারে যারা নতুন ‎ তাদের জন্য,‎‏ ‏ইযারা সিসটেমে ।‎
‏اللّہ واحد

আসুন এবারে আমরা প্রশ্ন উত্তরে উপরের তারকিবটি অনুধাবন করি।

প্রঃ‏-  اللُّہُ  ‏এর এরাব কি ? ‎
উঃ‏- ‏মারপূ  হয়েছে ‎
প্রঃ‏- ‏আমেল কে ?‎
উঃ‏- ‏আমিলে মানুভী ইবতেদা  ‎
প্রঃ‏- ‏এরাব তো তিন ধরনের এখানে কোনটা হয়েছে ? ‎
উঃ‏- ‏এখানে লফজান হয়েছে ‎
প্রঃ‏- ‏কিভাবে বুঝলেন ‎
উঃ‏- ‏এখানে ‎اللُّہُ ‏‎ এর মধ্যে রফা তালাফ্ফুজ হচ্ছে।‎
প্রঃ‏- اللُّہُ‎ মারেফাহ্ নাকি নাকেরাহ্ ?‎
উঃ‏- ‏মারেফাহ্ , কারণ মুবতাদা সবসময় মারেফাহ্ হয় ।‎
প্রঃ‏- ‏মারেফাহ্ সাত প্রকারের কোন প্রকার ? ‎
উঃ‏- ‏‎২য় প্রকার ‘ আলম ’ ।‎
এরকম ভাবে নিজে নিজে প্রঃ করে উঃ  হল করে নিবেন ।‎
زيد ٌ   رجلٌ
 প্রশ্ন:- ‏ زيدٌ  এর ইরাব কি  ?
উঃ মারফূ লফযান ।
প্রঃ কি ভাবে বুঝলেন ?
উঃ এখানে ‎রফা তালাফফুজ হচ্ছে ।‎
প্রঃ তারকীবে কি বনিবে ?
উঃ ‎مبتدا ‏প্রঃ কি ভাবে বুঝলেন ? যাইদুন ইছমে ‎মারেফাহ আর ইছমে  মারেফাই মুবতাদাহ হয় ।‎ মুবতাদাহ এর আসল আগে আসা এখানে যাইদুন আগে এসেছে।  ‎ যখন কোন জুমলাহ তে ২ টি ইছেম হয় , একটি মারেফাহ আরেকটি নাকেরাহ । ‎তাহলে মারেফাহ্ কে মুবতাদাহ্ আর নাকেরাহ্ কে খবর বানইতে হবে । এহিসাবে ‎বুঝতে পারলাম যাইদুন মুবতাদাহ্ আর ‎رجلٌ‎ খবর ।‎
اس ترکیب کو نقشہ میں دیکہیں
زیدٌ رَجلٌ

 

অসমাপ্ত চলবে ইনশা আল্লাহ। নতুন কিছুর জন্য সাব্সক্রাইব করে রাখুন কারণ এই পেইজে 500 তারকীব লেখা হবে। ইনশা আল্লাহ।

Thank you for reading the post.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top