দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণসহ

 

বাংলা উচ্চারণসহ দুরুদ শরীফ

বাংলা উচ্চারণসহ দুরুদ শরীফ

اَللّٰهُمَّ  صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّ عَلٰی اٰ لِ مُحَمَّد کَمَا صَلَّیْتَ عَلٰی اِبْرَاھِیْمَ  وَعَلٰی اٰلِ اِبْرَاھِیْمَ  اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَّجِیْد اَللّٰهُمَّ
بَارِکْ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَ عَلٰی اٰلِ مُحَمَّد  کَمَا بَارَکْتَ عَلٰی  اِبْرَاھِیْم وَعَلٰی اٰلِ اِبْرَاھِیم اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَجِیْدٌ

 

দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণসহ বাংলা উচ্চারণঃ-

আল্লাহুম্মা চল্লি আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ- কামা চল্লাইতা আলা ইবরাহীম-  অ – আলা আলি ইবরাহীম-  ইন্নাকা হামিদুম্ মাজীদ- আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ অ – আলা আলি মুহাম্মদ- কামা বারাক্তা আলা ইবরাহীম অ – আলা আলি ইবরাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ ।

অনুবাদঃ-

হে আল্লাহ! শান্তি অবতীর্ণ করুন  মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর  এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরিবারের উপর যেমন আপনি রহমত/শান্তি অবতীর্ণ করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) এর  উপর এবং ইব্রাহীম আঃ এর পরিবারের উপর নিশ্চয় আপিন প্রশংসিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত দান করুন মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এর  পরিবারের উপর যেমন আপিন বরকত দান করেছিলেন ইব্রাহীম আঃ এর উপর  এবং ইব্রাহীম আঃ পরিবারের উপর নিশ্চয় আপিন প্রশংসিত ও মহান

 বি.দ্র:- আইনের উচ্চারণ কোন হুজুর থেকে শিখে নিবেন কারণ এটা লেখে শিখানো যায় না। 

দুরুদ শরীফের ফযিলত: 

مَنْ صَلّٰی عَلَیَّ واحدةً صَلَّی اللہُ عَلیہِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ – وَحُطَّتْ عَنْہُ عَشْرُ خَطِیْئَاتٍ – وَرُفِعَ لَہُ عَشْرُ دَرَجَاتً – رَوَاہُ النَّسَائیّ 

 

রাসূল সাঃ বলেছেন যে ব্যাক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তা’য়ালা  তাহার উপর ১০ বার রহমত নাযিল করেন।  তাহার ১০ টি গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। তাহার মর্যাদার স্তর  ১০ গুণ  বৃদ্ধি করে দেয়া হবে।

وَقَالَ عَلَیْہِ الصّلٰوۃ وَالسَّلَامُ – اِنَّ لِلّٰہِ مَلٰئِکَۃً سَیَّاحِیْنَ فِی الْاَرْضِ – یُبَلِّغُوْنَنِیْ مِنْ اُمَّتِی السَّلَامُ – رَوَاہُ الدّارَمِیُّ 

হুজুর সাঃ বলেন, আল্লাহর কতগুলি ভূ-পরিব্রাজক ফেরেশতা আছেন, তাহারা আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌঁছাইয়া থাকে। দারামী হাদীসগ্রন্থে বর্ণিত। 

وَقَدْ جَاءَ فِی الْحَدِیْثِ الشَّرِیفِ – مَنْ سَرَّہٗ اَنْ یُّکْتَالَ بِالْمِکْیَالِ الْاوْفٰی – اِذَا صَلّٰی عَلَیْنَا –اَھْلَ الْبَیْتِ فَلْیَقُلْ – اللّٰہُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدِنِ النّبِیِّ الْاُمِّیِّ وَاَزْوَاجِہ وَاُمَّھَاتِ الْمُؤْمِنِیْنَ وَذُرِّیّٰتِہ وَاَھْلِ بَیْتِہ کَمَا صَلَّیْتَ عَلٰی اِبْرَاھِیْمَ اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ – 

হাদীস শরীফে আসিয়াছে, যে ব্যাক্তি আমাদের আহলে বাইতের প্রতি দরূদ শরীফপড়িয়া  পূর্ণ ওজনে নেকী পরিমিত করাইয়া খুশি হইতে চায় সে যেন এদুরূদ শরীফটি পড়ে।  আবু দাউদ শরীফ থেকে বর্ণিত।

اللّٰہُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدِنِ النّبِیِّ الْاُمِّیِّ وَاَزْوَاجِہ وَاُمَّھَاتِ الْمُؤْمِنِیْنَ

وَذُرِّیّٰتِہ وَاَھْلِ بَیْتِہ کَمَا صَلَّیْتَ عَلٰی اِبْرَاھِیْمَ اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ – 

হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে।

وَقَالَ عَلَیْہِ السَّلَامُ – مَنْ صَلّٰی عَلٰی مُحَمَّدٍ وَقَالَ اَللّٰھُمَّ اَنْزِلْہُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَکَ یَوْمَ الْقِیَامَۃِ – وَجَبَتْ لَہٗ شَفَاعَتِیْ – رَوَاہُ اَحْمَدُ

হুজুর সাঃ বলেন: যে ব্যাক্তি মুহাম্মদ সাঃ এর উপর এভাবে দুরূদ পাঠ করে –

 اَللّٰھُمَّ اَنْزِلْہُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَکَ یَوْمَ الْقِیَامَۃِ – 

তাহার জন্য আমার শাফায়াত অপরিহার্য হইয়া যায়। 

وَعَنْ عُمَرَبْنِ الْخَطَّابِ رَضِیَ اللّہُ تَعَالٰی عَنْہُ اَنَّہٌ قَالَ – اِنَّ الدُّعَاءَ موقُوْفٌ بَینَ السَّمَاءِ  وَالْاَرْضِ لَا یَصْعَدُ مِنْھَا شَییءٌ حَتّٰی تُصَلِّیَ عَلٰی نَبِیِّکَ – رَوَاہُ التِّرْمِذِی 

উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি বলিয়াছেন নিশ্চয়ই দোয়া আসমান যমীনের  মধ্যস্থানে থামিয়া থাকে, উহার কোন আসমানে উণ্ডিত হয়না যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমার নবীর উপর দুরূদ না পড়। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য দোয়ার শুরুতে দুরুদ পড়তে হয় এবং দোয়ার শেষেও দুরুদ পড়তে হয়। অর্থাৎ আমারা দোয়া শুরু করবো দুরুদ দিয়ে এবং শেষ করবো দুরুদ দিয়ে। আমারা বেশি বেশি দুরুদ শরীফের আমল করবো তাহলে রাসূলের সুপারিশ লাব করতে পারবো।

রাসূল সাঃ বলেছেন:

 যে ব্যাক্তি আমার নাম শুনার পর দুরুদ পড়লনা সে বখিলী করলো।  কোন মজলিসে রাসূলের নাম (  অর্থাৎ মুহাম্মাদ) প্রথম বার শুনার পর – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলা ওয়াজিব। অতপর যতবার শনবে ততবার বলা মুস্তাহাব। দুরুদ শরীফের বরকতে আল্লাহ তা’য়ালা বিপদাপদ থেকে উদ্ধার করবেন।  দুরুদ শরীফের বরকতে হাউজে কাউসার নচীব হবে। যে পানি একবার পান করলে সমস্ত পিপাসা মিটে যাবে যান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত আর পানির পিপাসা লাগবে না । কিয়ামতের ময়দানের সমস্ত কষ্ট দূর হয়ে যাবে।  একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন মিম্বরে উটার সময় তিন বার আমিন বলেছেন সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাস করলো ইয়া রাসূলুল্লাহ্ সাঃআজকে আপনি মিম্বরে উঠার সময় তিন বার আমিন বলেছেন এর রহস্য কি ? আল্লাহর রাসূল সাঃ বলিলেন যে আজ আমি মিম্বরে উঠার সময় জিবরাইল আমিন তিনটি দোয়া করেছেন ঐদোয়ার সমর্থনে আমি আমিন বলিয়াছি। 

১। যারা কোন মজলিসে রাসূলের নাম শুনার পর দুরুদ পড়েনা 

২। যে ব্যাক্তি পিতা-মাতার উভয়জনকে পেয়ে অথবা একজনকে পেয়ে খেদমত করে গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না।

৩। যে ব্যাক্তি রমযান মাস পেয়েও গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না।

দুরুদে নারিয়া

দুুুরুদে নারিয়া (আরবি উচ্চারণ)

 

اَللّٰهُمَّ صَلِّ صَلٰوةً كَامِلَةً

وَسَلِّمْ سَلَامًا تَامًّا عَليٰ سَيِّدِنَا

مُحَمَّدِنِ الَّذِيْ تَنْحَلُّ بِهِ الْعُقَدُ

وَتَنْفَرِجُ بِهِ الْكُرَبُ وَتُقْضىٰ بِهِ الْحَوَائِجُ

وَتُنَالُ بِهِ الرَّغَائِبُ وَحُسْنُ الْخَوَاتِمِ

وَيُسْتَسْقَي الْغَمَامُ بِوَجْهِهٖ الْكَرِيْمِ

وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ

وَّنَفَسٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَك

 

 

বাংলা উচ্চারণসহ দুরু‏দে নারিয়া শরীফ

 

দুরুদে নারিয়া (বাংলা উচ্চারণ)

আল্লাহুম্মা ছাল্লি ছালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উক্বাদু ওয়া তানফারিজু বিহীল কুরাবু ওয়া তুক্বদ-বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রাগাইবু

ওয়া হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্ তাস্কাল গামামু বিওয়াজ হিহিল কারীম। ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া ছাহবিহী ফী কুল্লি লামহাতিন ওয়া নাফাসিম বিআদাদি কুল্লি মা’লুমল্লাক্।

Thank you for reading the post.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top