google-site-verification=rXaFmwSiYigXRnCfxubQMUMfWDLuTGq64pGk6OzeFd4

হুযূর (সঃ) এর ফযীলত সম্পর্কে রবিউল আউয়ালের ১ম খুৎবাহ

হুযূর (সঃ) এর ফযীলত সম্পর্কে রবিউল আউয়ালের ১ম খুৎবাহ

الخطبة الاولى لشهر الربيع الاول فی فضائلہ صلی اللہ علیہ وسلم

রবিউল আউয়ালের ১ম খুৎবাহ- হুযূর (দঃ) এর ফযীলত সম্পর্কে

بِسمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

(1) الحَمدُ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينه ونستَغفِرَهُ (2) ونعوذُ بِاللهِ مِن شرور  أَنْفُسِنَا –

(১) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার আমরা তাঁহারই গুণকীর্তন করিতেছি এবং তাঁহারই সাহায্য চাহিতেছি ও তাঁহারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। (২) এবং আমরা আমাদের

 (3) مَنْ يَهْدِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلهُ فَلَا هَادِى لَه .

প্রবৃত্তির কুচক্র হইতে বাঁচিবার জন্য আল্লাহর সাহায্য ভিক্ষা করিতেছি। (৩) আল্লাহ পাক যাহাকে হেদায়েত করেন কেহ তাহাকে গোমরাহ করিতে পারে না, পক্ষান্তরে বান্দা নিজ ইচ্ছায় গোমরাহ হইবার জন্য দৃঢ় হইবার পর আল্লাহ যদি তার জন্য গোমরাহী নির্ধারণ করেন তবে আর কেহ তাহাকে হেদায়েত করিতে পারে না।

(4) وَنَشْهَدُ اَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولَهُ – صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَهُ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِ يَرَ أَبَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ

 (৪) আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কেহই উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল। আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের পূর্বে তাহাকে সত্য (ইসলাম) সহ সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শক করিয়া পাঠাইয়াছেন ।

(5) مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ – وَمَن يَعْصِهِمَا فَقَدْ غَوى .

(৫) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁহার রাসূলকে মান্য করিল সে জ্ঞানীর কাজ করিল আর যে ব্যক্তি তাহাদিগের নাফরমানী করিল সে বোকামী করিল। (ধ্বংস ডাকিয়া আনিল ।)

(6) اَمَّا بَعْدُ فَيَا أَيُّهَا الْأَحِبَّاءُ – فَضَّلَكُمُ اللهُ بِوَسِيْلَةِ الْمُصْطَفى .

(৬) বন্ধুগণ! আল্লাহ পাক আপনাদিগকে রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর সম্মানের বদৌলতে সম্মানিত করুন ।

(7) فَأَذَكِّرُكُمُ الْيَوْمَ بِذِكرِ حَبِيْبِ الْخَلاقِ. الَّذِى قَالَ اللهُ تَعَالَى فِيْهِ لَوْلَاكَ لَمَا خَلَقْتُ الْاَفْلَاكَ .

(৭) অদ্য আমি আপনাদের নিকট আল্লাহর বন্ধু হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর কথা বর্ণনা করিব, যাহার সম্বন্ধে আল্লাহ বলিয়াছেন, “হে মুহাম্মদ (দঃ) আপনাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য না থাকিলে আমি আসমান জমিন সৃষ্টি করিতাম না”

 (8) وَقَالَ  فِي الْقُرْآنِ الْمَجِيْدِ – النَّبِيُّ أَولَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِم وَأَزْوَاجَهُ  اُمَّھَاتُھُمْ –

 (৮) কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেন, – “হযরত মুহাম্মদ (দঃ) মুমিনগণের নিকট তাহাদের নিজ নিজ জীবন হইতে প্রিয় এবং তাঁহার বিবিগণ মুমিনগণের মা ।

(9) وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُؤْ مِنْ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ . رَوَاهُ الْبُخَارِى

(৯) রাসূলুল্লাহ (দঃ) বলিয়াছেন— যতক্ষন পর্যন্ত আমি তোমাদের কেহর নিকট তাহার পিতামাতা, সন্তান-সন্তুতি এবং অন্যান্য আত্মীয়-বন্ধুগণ হইতে অদিক প্রিয় না হইব ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পূর্ণ মু’মিন হইতে পারিবে না।”— বুখারী ।

(10) وَقَالَ تَعَالَى وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا – وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (11) وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ – رَوَاهُ مُسْلِمٌ (دد) وَقَالَ أَيْضًا كُنتُ  نَبِيًّا وَادَمُ بَينَ الرَّوْحِ وَالْجَسَدِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِى

(১০) আল্লাহ তায়ালা বলেন— নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমস্ত মানবকুলের নিকট সুখবরদাতা এবং ভয়-প্রদর্শক হিসাবে পাঠাইয়াছি; কিন্তু বহুলোক ইহা বুঝিতেছে না। (১১) রাসূলুল্লাহ আবার বলিয়াছেন,—হযরত আদম (আঃ) যখন কেবল রূহ ও শরীরের মধ্যস্থলে বিদ্যমান তখনও আমি নবীই ছিলাম— তিরমিযী।

– (13) وَعَنِ ابْنِ عبَّاسِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا أَنَّهُ قَالَ – جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَى مِنْهُم سيعهم يَتَذَاكَرُونَ. قَالَ بَعْضُهُم اِنَّ اللهَ اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا –

(১৩) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে  বর্ণিত আছে— রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর কয়েকজন সাহাবী এক বৈঠকের পর বাহির হইয়া পরস্পর কানাকানি করিয়া বলিতে লাগিলেন, কেহ বলিলেন, আল্লাহ তায়ালা ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়াছেন ।

وَقَالَ اخر موسی  كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا. وَقَالَ أخَر فَعِيسى كَلِمَةُ اللهِ وَروحه –

আবার কেহ বলিলেন, আল্লাহ তায়ালা মূসা (আঃ) এর সংগে কথা বলিয়াছেন। আবার কেহ বলিলেন,— ঈসা (আঃ) আল্লাহর কলেমা এবং তাঁহার দেওয়া খাছ রূহ।

وَقَالَ أَخَرُ ادَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – وَقَالَ قَدْ سَمِعْتُ كَلَا مَكُم وَعَجَبَكُم –

আবার কেহ  বলিলেন,— আল্লাহ তায়ালা আদম (আঃ) কে পবিত্র বন্ধুত্ব দান করিয়াছেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (দঃ) তাহাদের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন,— “আমি তোমাদের কথাগুলি এবং আশ্চর্যভাব  জনক কথাগুলো শুনিয়াছি ।

إِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ اللهِ وَهُوَكَدَ الِكَ وَمُوسى نَجِیُّ اللهِ وَهُوَكَذَالِكَ

জনক, ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহর বন্ধু ঠিকই, মূসা (আঃ) আল্লাহর মুক্ত নবী ঠিকই,

وَعِيْسٰى روحُ اللهِ وَكَلِمَتُهٗ وَهُوَ كَذَالِكَ. وَأدَمُ اصْطَفَاهُ اللهُ وَهُوَ كَذَالِكَ – أَلاَ وَأَنَا حَبِيبُ اللهِ وَلَا فَخْرَ – وَاَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْحَمْدِ –  يَوْمَ الْقِيٰمَةِ

ঈসা (আঃ) আল্লাহর দেওয়া খাস রূহ এবং তাহারই ‘কলেমা” ঠিকই, আদম (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র বন্ধুত্ব দান করিয়াছেন তাহাও ঠিকই। তবে জানিয়া রাখ, আমি আল্লাহর মহাপ্রিয় বন্ধু হাবীব, ইহা আমার ফখর নহে । অমি কিয়ামতের দিন ‘লিওয়ায়ে হামদের বাহক হইবো ।

تَحْتَهُ آدَمُ فَمَنْ دُونَهُ وَلَا فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعِ وَاوّل مشفّع يَوْمَ الْقِيَمَةِ وَلَا فَخَرَ – وَاَنَا اَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حَلَقَ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُ اللهُ لِى – فَيُدْخِلْنِيهَا وَمَعِى فَقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ وَلَافَخر . وَأَنَا أَكْرَمُ الْاَوَّلِينَ وَالْأَخِرِينَ عَلَى اللهِ وَلَا فَخَرَ رَوَاهُ التّرْمِذِى

উহার নীচে আদম (আঃ) এবং তাদের পরবর্তী সকল লোক থাকিবে, ইহা আমার ফকর নহে । কিয়ামতের দিন আমিই সর্বপ্রথম সুপারিশকারী হইব এবং আমার সুপারিশ সর্ব প্রথম কবুল হইবে, ইহা আমার ফকর নহে । আমি সর্ব প্রথম বেহেশতের দরওয়াজা খটখটাইব, আমারই জন্য সর্ব প্রথম বেহেশত খোলা হইবে এবং আমাকেই সর্বপ্রথম উহাতে প্রবেশ করাইবে ।  ঐ সময় আমার সঙ্গে গরীব মু’মিনগণ থাকিবে, ইহাতে আমার ফখর নাই । আমার নিকটে আমি পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকলের চাইতে অধিক সম্মানিত, ইহাতে আমার ফকর নাই

( 14) فَأَ وصِيْكُمْ بِكَثْرَةِ الصَّلوةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  فَاِنَّهَا مِنْ أَكْبَرِ الْوَسَائِلِ لِجَلْبِ رَحْمَةِ اللَّهِ لِلْاَنَامِ (15) اللّهُم اجْعَلْنَا تَحْتَ لِوَائِهِ الْعَالِيَةِ – وَاحْشُرْنَا فِى زُمْرَةِ النَّاجِيَةِ –

(১৪) আমি আপনাদিগকে উপদেশ দিতেছি,— আপনারা রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর উপর অধিক সংখ্যক দরূদ শরীফ পাঠ করিবেন, কেননা আল্লাহর রহমত হাসিল করার জন্য উহা একটি বড় অসীলাহ । (১৫) হে আল্লাহ! আমাদিগকে রাসূলুল্লাহ (দঃ)-এর সলেওয়ার (ঝাণ্ডার) নীচে স্থান দান করুন এবং নাজাতপ্রাপ্ত দলের সঙ্গে আমাদের হাশর করুন।

(16) بَارَكَ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ فِى الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ – (۱۹) أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ (1) هُوَ الَّذِى أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدى وَدِينِ الْحَقِ لِيُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّينِ كُلِهِ – وَكَفَى بِا للّهِ شَهِيدًا

(১৬) আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ কুরআনের বরকত আমাদিগকে ও আপনাদিগকে দান করুন। (১৭) বিতাড়িত শয়তানের প্রতারণা হইতে বাঁচিবার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি । (১৮) “তিনিই আল্লাহ যিনি হিদায়াত এবং সত্য ধর্ম্মসহ তাঁহার রাসূলকে প্রেরণ করিয়াছেন, যে তিনি উহাকে সকল তথাকথিত ধর্মের উপর জয়ী করিয়া দেন । আল্লাহ সুনজরই যথেষ্ট।” আল-কুরআনুল কারীম।

বিবাহের খোৎবাহ্

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top