বিবাহ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় মাসআলা
এই লিংকে বিবাহ সংক্রান্ত যাবতীয় মাসআলা জানতে পারবেন ইনশা আল্লাহ
বিবাহের উদ্দেশ্য
বিবাহের লক্ষ আর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর বান্দা রাসূলের উম্মত বৃদ্ধি করা, চক্ষুকে নিম্নগামী ও অন্তর শিতল করা এবং নিজের সতিত্বকে হিফাজত করা। শুধুমাত্র আমোদ-প্রমোদ নয় ,আমোদ-প্রমোদ করেবন তা ঠিক আছে তবে শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায়। তখন তা হবে আপনাদের (দম্পতির) জন্য ইবাদত।
০১।প্রশ্ন:- শরী‘আতের দৃষ্টিতে বিবাহ কেমন?
উত্তর:-ইসলামে বৈরাগ্য জীবন যাপনের কোন অবকাশ নেই। যাদের মনের চাহিদা স্বাভাবিক তাদের জন্য বিবাহ করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। আর যাদের মনের চাহিদা এমন যে, বিবাহ না করলে নিজেকে সহজে গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারবে না- তাদের জন্য বিবাহ করা ওয়াজিব। আর যে ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে এরূপ আশংকা করে যে, সে স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে না, তার জন্য বিবাহ করা হারাম। (ফাতাওয়ায়ে শামী- ৩/৬ , কাশফুল খফা-২/২৬৮)
০২। প্রশ্ন:- বিবাহের কোন নির্দিষ্ট স্থান বা কাল আছে কি?
উত্তর:-
বিবাহের জন্য সর্বোত্তম স্থান হল মসজিদঃ
প্রথমতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মুসলমানদের বিবাহ মসজিদেই সম্পন্ন হত। আর এটা নবীজীর সুন্নাতও বটে। শাওয়াল মাসে বিবাহ করা আরেকটি সুন্নাত। সুতরাং কারাে পক্ষে যদি সম্ভব হয় তাহলে সে শাওয়াল মাসের জুমু‘আর দিনে বিবাহ করবে। আর সম্ভব না হলে অন্য যে কোন সময়ে করতে পারে। | তবে সম্ভব হলে মসজিদ ও জুমু‘আ ঠিক রাখবে, এটাও সম্ভব না হলে দুটোর কোন একটা ঠিক রাখতে চেষ্টা করবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ খায়ের ও বরকত থেকে মাহরুম হবে না। দ্বিতীয়তঃ মসজিদের বিবাহে সুবিধা হলাে, এতে কোন ফালতু খরচ হয় না। বিছানা| পত্র এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কারাে কোন দাবী-দাওয়ার সুযােগ থাকে না। কেননা, মসজিদ হচ্ছে ইবাদতের জায়গা, সেখানে মানুষ ইবাদত করতে আসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজ করতে আসে। কাজ শেষ হলেই চলে যায়। (মিশকাত শরীফ – ২/২৭১, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৩/২৬৫)
০৩. প্রশ্ন :- বিবাহসহীহ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন মহর কত ধার্য করতে হবে? আর মহরে ফাতেমীর পরিমাণ কত? এবং এক দিরহামের পরিমাণসহ জানালে উপকৃত হব।
উত্তর:-
( শরহু মখতাসারিত তাহবী – ৪/৩৯৮ )
০৪। প্রশ্ন :
উত্তর :
০৫। প্রশ্ন :-
স্বামী স্ত্রীকে মেরেছিল, তাই স্ত্রী মার খাওয়া থেকে বাঁচার জন্য স্বামীকে আব্বা বলে সম্বোধন করলো, তেমনি ভাবে স্বামী মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে ‘মা’ বলে ডেকে ফেললো এমতাবস্থায় বিবাহঠিক থাকবে কিনা বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক।
উত্তর :-
০৬। প্রশ্ন :
উত্তর :-
০৭। প্রশ্নঃ
এক মহিলার সঙ্গে আলাপ করার পর জানতে পারলাম যে স্বামী যদি স্ত্রীর দুধ পান করে তাহলে ঐ স্ত্রী স্বামীর উপর চিরদিনের জন্য হারাম হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হল আমার স্বামী মাঝে মধ্যে আমার দুধ পান করেন সুতরাং আমাদের বিবাহ বন্ধন ঠিক আছে কিনা জানতে চাই?
উত্তরঃ
০৮।
উত্তর:-
অনুবাদ : হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, একদা এক ব্যক্তি , রাসূলুল্লাহ – -এর খেদমতে এসে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী রমণীকে বিবাহ করার ইচ্ছা করেছি | (এতদসম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তদুত্তরে তিনি বললেন, বিবাহের পূর্বে তাকে দেখে নাও। কেননা,আনসারী রমণীগণের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে।–মুসলিম।
৫। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাতে পারবে কিনা?
উত্তর: তাকতে পারবে তবে না তাকানোই উত্তম কেননা আম্মাজান আয়েশা (রা:) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। যাহা নিছে উল্লেখ করা হল। وَعَنْ عَائِشَۃَ (رض) قَالَ مَا نَظَرَ أَوْ مَا رَأيتُ فَرْجَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَطُّ ۔ (رواه ابن ماجه) অনুবাদ : হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কখনো [লজ্জায়া রাসূলুল্লাহ == -এর লজ্জাস্থান দেখিনি । -ইবনে মাজাহ)
শরী‘আতের দৃষ্টিতে লক্ষণীয় বুনিয়াদী বিষয় হল দ্বীনদারী।
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরী‘আতের দৃষ্টিতে লক্ষণীয় বুনিয়াদী বিষয় হল দ্বীনদারী, সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ, বংশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় আনা যায়। এই দ্বিনদারী ব্যতিত বাকী তিনটির কোনটি থাকলে ভাল, না থাকলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, এগুলি। ক্ষণস্থায়ী। আজ আছে, কাল নাও থাকতে পারে। পক্ষান্তরে দ্বীনদারী হচ্ছে মানুষের প্রকৃত ও স্থায়ী সম্পদ। যার মধ্যে দ্বীনদারী নেই তার মধ্যে বাকি তিনটি জিনিষ পূর্ণমাত্রায় থাকলেও বলা যায় যে, তার কিছুই নেই। আল্লাহ ও তার রাসূলের তরীকা। অনুযায়ী জীবন যাপনকারী সর্বাধিক পছন্দনীয়। (মিশকাত শরীফ- ২/২৬৭) তাছাড়া পাত্রের মধ্যে দ্বীনদারী না থাকলে তার দ্বারা সঠিকভাবে স্ত্রীর হক আদায়ের। আশা করা যায় না। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, যাদের মধ্যে দ্বীনদারীর অভাব রয়েছে | তারা স্ত্রীর কোন হক
আদায়ের ব্যাপারে পরােয়া করে না। ছেলের মধ্যে যত যােগ্যতাই থাকুক না কেন, দ্বীনদার না হলে তার সাথে মেয়ের বিবাহ দেয়া উচিৎ নয়।
তেমনিভাবে পাত্রীর মধ্যে দ্বীনদারী না থাকলে তার দ্বারা স্বামীর হক আদায়ের আশা করা যায় না, চাই অন্য দিক যতই উন্নত থাকুক না কেন! পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্য যে বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিৎ, তা হলােঃ এমন বংশের মেয়ে বিবাহ করা বাঞ্ছনীয়, যে বংশের মেয়েরা অধিক সন্তান জন্ম দানে সক্ষম ও অধিক স্বামী ভক্ত। কেননা, কিয়ামতের ময়দানে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের আধিক্য নিয়ে গর্ব করবেন। এজন্য তিনি উম্মতকে এধরনের পাত্রী নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন যারা স্বামীকে মুহাব্বত করে এবং বেশী সন্তান জন্মদান করে। সুতরাং প্রচলিত পদ্ধতির জন্মনিয়ন্ত্রণ সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ এবং আল্লাহকে রিযিকদাতা বলে অবিশ্বাস করার শামিল। হ্যাঁ, ব্যক্তিগত ওজর বা সমস্যার
কারণে মুফতিয়ানে কেরামের অভিমত নিয়ে সেই অনুযায়ী আমল করার অবকাশ আছে। (মিশকাত শরীফ-২/২৬৭)
বিবাহের পূর্বে বর-কনের সন্তুষ্টি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক।
বর্তমানে অনেক জায়গায় বিবাহের ক্ষেত্রে বর-কনের পারস্পরিক পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে তাদের মতামতের কোন তােয়াক্কা করা হয় না। যার সাথে দুটি মানুষের সারা জীবনের সুখ-দুঃখের সম্পর্ক সে ক্ষেত্রে তাদের মতামত না নিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তৃতীয় পক্ষ, আশ্চর্যই বটে!! অনেক ক্ষেত্রে তাে প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও একরকম জবরদস্তীই তাদের বিবাহ দিয়ে দেয়া হয়। এভাবে তাদের সকল সুখ-স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে বিরােধপূর্ণ এক ভবিষ্যতের দিকে তাদেরকে ঠেলে দেয়া হয়। এমনটি করা শুধু শরীআতের দৃষ্টিতেই নয় বরং সুস্থ বিবেকেরও পরিপন্থী। এ জাতীয় বিবাহের পরিণতি | খুব একটা সুখকর হয় না। তাই এ থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
উপরোল্লেখিত হাদীস সংশ্লিষ্ট কিছু আলোচনা:-
বিবাহের পূর্বে প্রস্তাবিতা নারীকে দেখার ব্যাপারে ইমামদের মতভেদ :
বিবাহের পূর্বে পাত্রী দেখা যাবে কিনা এ বিষয়ে ইমামদের মাঝে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে, যা নিম্নরূপ জমহুর ইমামদের অভিমত : জমহুর অর্থাৎ ইমাম আবূ হানীফা, শাফেয়ী, আহমদ (র.) প্রমুখ ইমামগণের মতে, বিবাহের পূর্বে প্যত্র পাত্রীকে দেখতে পারে, এতে পাত্রীর অনুমতি গ্রহণ শর্ত নয়। ইমাম মালেক (র.)-এর মতে, পাত্রীর অনুমতি গ্রহণের শর্তে দেখতে পারে, অন্যথায় নয়। আহলে হাদীসগণের মতে, বিবাহের পূর্বে দেখা আদৌ বৈধ নয়। যারা দেখার বৈধতার স্বপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁরাও পাত্রীর শুধু মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় দেখার অনুমতি প্রদান করেছেন, অন্য কোন অঙ্গ নয়। অবশ্য কেউ কেউ হস্ত স্পর্শ করার অনুমতি দিয়েছেন। যদি পাত্রের পক্ষে পাত্রী দেখা সম্ভবপর না হয়, তাহলে পাত্রের নির্ভর যোগ্য স্ত্রীলোকের মাধ্যমে এটা সম্পাদন করাতে পারে। আলোচ্য হাদীস এবং আবু দাউদ ও ত্বাহাবীতে বর্ণিত সমার্থক-বহু হাদীস দ্বারা জমহুরের অভিমত সপ্রমাণিত হয়েছে। পক্ষান্তরে যারা দেখার বৈধতা স্বীকার করেন না, তারা যে সকল হাদীস দলিল-প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন সে সকলের প্রত্যেকটি বা পরনারী দর্শন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাসূচক হাদীস। বা পরনারী ও বিবাহের প্রস্তাবিত পাত্রী উভয়ের ব্যাপার একই পর্যায়ের নয় বিধায় এদের মত গ্রহণযোগ্য নয়।
০৯। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাতে পারবে কিনা?
উত্তর: তাকতে পারবে তবে না তাকানোই উত্তম কেননা আম্মাজান আয়েশা (রা:) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। যাহা নিছে উল্লেখ করা হল।
وَعَنْ عَائِشَۃَ (رض) قَالَ مَا نَظَرَ أَوْ مَا رَأيتُ فَرْجَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَطُّ ۔ (رواه ابن ماجه)
অনুবাদ : হযরত আম্মাজান আয়েশা রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি কখনো [লজ্জায়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ) -এর লজ্জাস্থান দেখিনি । -ইবনে মাজাহ)
১০। প্রশ্ন:- বিবাহ-শাদিতে লেন-দেন বা মহর সম্পর্কে ইসলামী শরীয়ত কি বলে?
উত্তর:- শরী‘আতে বিবাহের লেন-দেন সম্পর্কে এতটুকু বলা হয়েছে যে, ছেলে নিজের সঙ্গতি অনুযায়ী মােহর দেবে এবং স্ত্রীর সাথে মুলাকাত হয়ে যাওয়ার পরে সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদেরকে ওলীমা খাওয়াবে। বিবাহের খরচ এই দুটিই- এবং দুটিই ছেলের দায়িত্বে। আর স্ত্রীর ভরণ-পােষণের ব্যাপার তাে আছেই। সুতরাং থাকার জন্য একটা ঘর, পরার জন্য কাপড় চোপড় আর খানাপিনার ব্যবস্থা। সারাজীবন করতে হবে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় স্ত্রীদের থাকার জন্য ঘর, খাওয়া-পরার জন্য খাদ্য-বস্ত্র সবই ইনসাফের সাথে দিয়ে গেছেন। শরী‘আতে মােহরের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। প্রত্যেকে নিজের সাধ্যানুযায়ী মােহর ধার্য করবে। মােহরের সর্ব নিম্ন পরিমাণ হচ্ছে আড়াই ভরি রুপার দাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য পাঁচশত
টাকা (১৯৯৯ ঈসায়ী)। আমাদের সমাজে যে। প্রথা চালু হয়ে গেছে যে, ছেলের সামর্থ্য থাক বা না থাক দুই লাখ, পাঁচ লাখ, সাত লাখ এরকম একটা কিছু নির্ধারণ করা হয়- শরী‘আতের দৃষ্টিতে এটি জায়িয নাই। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, কেউ যদি এই নিয়তে মােটা অংকের মােহর নির্ধারণ করে যে, এর দ্বারা সম্মান বৃদ্ধি পাবে কিন্তু তার আদায় করার নিয়ত না থাকে , তাহলে এটা মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কানযুল উম্মলের একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে * ঐ ব্যক্তি হাশরের ময়দানে ব্যভিচারীদের কাতারে উঠবে এবং ঐ অবস্থায় তাকে আল্লাহ পাকের সামনে হাজির করা হবে। (১৬/৫৪২)। স্ত্রীর নিকট থেকে যদি মােহর মৌখিকভাবে মাফ করিয়ে নেয়া হয় বা এর জন্য কোন পলিসি অবলম্বন করা হয়, তাহলে তা জায়িয হবে না। তাছাড়া মৌখিক মাফ অধিকাংশ ক্ষেত্রে লৌকিকতার কারণে হয়ে থাকে। আর এটা পুরুষের আত্মমর্যাদা বােধেরও পরিপন্থী। তবে কোন স্ত্রী যদি আন্তরিক সন্তুষ্টির সাথে মাফ করে দেয় তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।
মােহরের মধ্যে বিবির সম্মতিতে শুধুমাত্র অলংকারকে শামিল করা যাবে। তবে বিবাহের সময়ে বা পরে যদি মােহরের টাকা থেকে অলংকার দান করা হয় তাহলে স্ত্রীকে সেটা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে স্ত্রীর সম্মতি নিতে হবে যে, এটা মােহরের টাকা থেকে দেয়া হচ্ছে। দেয়ার সময় কোন কিছু না বলে পরে বলা যে, ওটা মােহর থেকে দিয়েছি’ খুবই অন্যায় কথা। পাত্র পক্ষের লেন-দেনের মধ্যে আরেকটি বিষয় হচ্ছে ওলীমা। ওলীমা সুন্নাত। বিবাহের পরে পাত্রপক্ষ এর ব্যবস্থা করবে। ছেলে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এই ওলীমার ব্যবস্থা করবে। কারাে সামর্থ্য থাকলে বকরী জবাই করে খাওয়াবে। না পারলে মুরগী জবাই করে খাওয়াবে। তাও যদি না পারে তাহলে কমপক্ষে কিছু মিষ্টি মুখ করিয়ে দেবে। ওলীমা পেট পুরে খাওয়াতে হবে – এমনটি কোন জরুরী নয়। আর এজন্য ধার-কর্জেরও অনুমতি নেই। মােট কথা মােহর ও ওলীমা এই দুটি বিষয়ই হচ্ছে বিবাহে লেন-দেনের অংশ। আর উভয়টিইছেলের যিম্মায়। (মিশকাত শরীফ- ২৭৮)। প্রচলিত আরেকটি লেন-দেন পাত্রপক্ষ অন্যায়ভাবে পাত্রীপক্ষের উপর চাপিয়ে দেয়, | যেটাকে যৌতুক বলা হয়। ছেলেকে ঘড়ি, হােন্ডা, জাহান্নামের একটা বাক্স (টিভি) বর্তমানে স্মার্ট মোবাইল, ইত্যাদি দেয়ার দাবী করা হয়। মেয়ের বাপের উপর চরম জুলুম করে তা আদায় করা হয়। অথচ হাদীস শরীফে ইরশাদ হচ্ছে- কোন মুসলমানের মাল তার আন্তরিক সন্তুষ্টি | ব্যতীত নিলে তা হালাল হবে না। (মিশকাত শরীফ-২৫৫) আবার কখনাে পাত্রপক্ষ এমনও দাবী করে যে, বরের সাথে বরযাত্রী হিসেবে ৫০ বা ১মোট কথা০০ জন লােক আসবে। তাদের খানাপিনার ব্যবস্থা করতে হবে। শরী‘আতে এটাও নাজায়িয। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-৭/৩১৮)
১১। প্রশ্ন:- বর যাত্রা কী ?
উত্তর:-বরযাত্রা এখানে মনে রাখা দরকার যে, আমাদের সমাজে বরযাত্রার নামে যে ধুমধাম করা হয় তা শরী‘আতে অনুমােদিত নয়। এ উপলক্ষে পালিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গুনাহর ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং এধরনের আনুষ্ঠানিকতা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। | একজন পিতা নিজের সবটুকু সংগতি দিয়ে নিজের আদরের দুলালীকে বিয়ে দিয়ে দুরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এটা তার জন্য কত বড় একটা মর্মযাতনা এরমধ্যে যদি আবার | জমি-জায়গা বিক্রি করে কিংবা বন্ধক রেখে বরযাত্রীদের আপ্যায়নের টাকা যােগাড় করতে হয় তাহলে এর চেয়ে বড় জুলুম আর কি হতে পারে? পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. এর অন্যতম খলীফা হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ: একটি হাদীসের ভিত্তিতে বলতেন, এটা হচ্ছে ডাকাতির শামিল। এ ধরনের খানা থেকে দূরে থাকা চাই। অনেক সময় দেখা যায় কনে পক্ষ নিজেদের পক্ষ হতে নির্ধারিত সংখ্যক লােকের মেহমানদারীর দায়িত্ব নিলে ছেলে পক্ষ তার চেয়ে বেশী লােকজন সাথে নিয়ে হাজির। এভাবে বিনা দাওয়াতে কারাে বাড়ী যেয়ে হাজির হওয়া জায়িয নাই। হাদীসে আছে “যে ব্যক্তি বিনা দাওয়াতে গেল সে চোর হয়ে প্রবেশ করল আর লুটেরা হয়ে বেরিয়ে এলো। অর্থাৎ এমন ব্যক্তি চোর ও লুটেরার মত গুনাহগার হবে। এখন বাকি রইল অলংকারের মাসআলা।
অলংকারের মাসআলা।
শরীআতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বামী তার স্ত্রীকে অলংকার দিতে পারে। কিন্তু দেয়াটা কোন জরুরী বিষয় নয়। আর মেয়ের বাপকে এব্যাপারে চাপ দেয়া যাবে না বা কোন শর্ত আরােপ করা যাবে না। মেয়ের পিতা যদি স্বেচ্ছায় কিছু দেয় তাহলে তা জায়িয। না দিলেও কোন ক্ষতি নেই কোন | কোন ক্ষেত্রে মেয়েকে বেশী পরিমাণে অলংকার দিয়ে তাকে এক প্রকার বিপদেই ফেলে দেয়া হয়। কেননা, বছর বছর যাকাত দেয়ার দায়িত্ব তখন মেয়ের যিম্মায় চলে আসে। আর চোর-ডাকাতের বাড়তি ঝুঁকি তাে আছেই। উম্মুল মুমিনীনগণ (রা:) হাতির দাঁতের অলংকার পরিধান করতেন। মাঝে মধ্যে কেউ স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা অপছন্দ করতেন। প্রকৃতপক্ষে মুমিন নারীদের জন্য অধিক জেওরাসক্তি শােভনীয় নয়।
বিবাহ সংক্রান্ত হাদীস
یَا مَعْشَرَ الشَّبَابُ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْکُمُ الْبَاءَۃَ ، فَلْيَتَزَوِّجُ، فَاِنّٗهٗ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَّمْ يَسْتَطِعُ فَعَلَيْهِ بِالْصَّوْمِ فَاِنّهُ لَهٗ وِجَاءٌ –
অর্থ :- হে যুবকের দলেরা ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সক্ষমতা রাখ ( শারিরীক ও আর্থীক) তারা বিবাহের শুভ কাজটি সম্পাদন কর। পক্ষান্তরে যারা সক্ষমতা রাখোনা তারা রোযা রাখ। কেননা রোযা মানুষের শারিরীক শক্তি কে নিয়ন্ত্রণ করে।
০২।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرو قَالَ قَالَ رسول الله ﷺ الدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ الْمَتَاعِ الدُّنْيَا المراۃ الصَّالِحَةُ
عن ابي هريرة (رض) قال جاء رجل إلى النّيي فقال اِنَی تَزوّجْتُ إمرأةً مِّنَ الأَنْصَارِ قال فَانْظُرْ إِلَيْهَا فِاِنَّ فِي أَعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا – (رواه مسلم)
অনুবাদ : হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, একদা এক ব্যক্তি , রাসূলুল্লাহ – -এর খেদমতে এসে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী রমণীকে বিবাহ করার ইচ্ছা করেছি | (এতদসম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তদুত্তরে তিনি বললেন, বিবাহের পূর্বে তাকে দেখে নাও। কেননা,আনসারী রমণীগণের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে।-মুসলিম
উপরোল্লেখিত হাদীস সংশ্লিষ্ট কিছু আলোচনা:-
বিবাহের পূর্বে প্রস্তাবিতা নারীকে দেখার ব্যাপারে ইমামদের মতভেদ :
বিবাহের পূর্বে পাত্রী দেখা যাবে কিনা এ বিষয়ে ইমামদের মাঝে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে, যা নিম্নরূপ জমহুর ইমামদের অভিমত : জমহুর অর্থাৎ ইমাম আবূ হানীফা, শাফেয়ী, আহমদ (র.) প্রমুখ ইমামগণের মতে, বিবাহের পূর্বে প্যত্র পাত্রীকে দেখতে পারে, এতে পাত্রীর অনুমতি গ্রহণ শর্ত নয়। ইমাম মালেক (র.)-এর মতে, পাত্রীর অনুমতি গ্রহণের শর্তে দেখতে পারে, অন্যথায় নয়। আহলে হাদীসগণের মতে, বিবাহের পূর্বে দেখা আদৌ বৈধ নয়। যারা দেখার বৈধতার স্বপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁরাও পাত্রীর শুধু মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় দেখার অনুমতি প্রদান করেছেন, অন্য কোনো অঙ্গ নয়। অবশ্য কেউ কেউ হস্ত স্পর্শ করার অনুমতি দিয়েছেন। যদি পাত্রের পক্ষে পাত্রী দেখা সম্ভবপর না হয়, তাহলে পাত্রের নির্ভরযোগ্য স্ত্রীলোকের মাধ্যমে এটা সম্পাদন করাতে পারে। আলোচ্য হাদীস এবং আবু দাউদ ও ত্বাহাবীতে বর্ণিত সমার্থক-বহু হাদীস দ্বারা জমহুরের অভিমত সপ্রমাণিত হয়েছে। পক্ষান্তরে যারা দেখার বৈধতা স্বীকার করেন না, তারা যে সকল হাদীস দলিল-প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন সে সকলের প্রত্যেকটি বা পরনারী দর্শন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাসূচক হাদীস। বা পরনারী ও বিবাহের প্রস্তাবিত পাত্রী উভয়ের ব্যাপার একই পর্যায়ের নয় বিধায় এদের মত গ্রহণযোগ্য নয়।
৪।
وَعَنِ الْمُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةُ (رض) قَالَ خَطَبْتُ اِمْرَأَةً فَقَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللهِﷺ ھَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا قُلْ لَا قَالَ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَانَّهٗ أَخْرٰى أَنْ يُّؤْدَمَ بَيْنَکُمَا – (رواه أحمد والترمذی والنسائي وابن ماجه والدارمی)
সংশ্লিষ্ট আলোচনা:
বিবাহের পূর্বে প্রস্তাবিত মহিলাকে দেখা সুন্নত। একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত মুগীরা ইবনে শোবা (রা.)-কে এ ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। প্রস্তাবিতা মহিলাকে দেখার তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল : তাকে বলেন, এ দর্শন তোমাদের মাঝে বিবাহিত জীবনে প্রণয়-ভালোবাসা গভীর হবার সহায়ক হবে। মূলত দেখা-সাক্ষাতের এবং কথাবার্তার মাধ্যমে একে অপরকে জানাশোনা হয়; উভয়ের অপ্রকাশিত বিষয়াবলি উন্মোচিত হয়ে যায় । সবকিছু জেনেশুনে যখন উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন তাদের সাংসারিক জীবন হয় মধুময়। প্রেম-ভালোবাসার মধুর মিলনে স্বর্গীয় সুখ তাদের মাঝে বিরাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে আর কোনো সমস্যা পরিলক্ষিত হয় না।
বিবাহ সম্পর্কিত আরো কিছু হাদীস
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ পাক আবশ্যক মনে করেন –
(১) ঐ মুকাতাব বা দাস যে নিজের মুক্তিপণ আদায় করতে চায়।
(2) ঐ বিবাহকারী যে আপন চরিত্র রক্ষা করতে চায় এবং
(৩) ঐ মুজাহিদ যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে। (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত-২৬৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে তার আভিজাত্যের কারণে বিবাহ করবে আল্লাহ তা’আলা তার অপমান ও অপদস্থতা অধিক হারে বৃদ্ধি করবেন। আর যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদের কারণে তাকে বিবাহ করবে, আল্লাহ পাক তার দারিদ্রতাকে (দিনে দিনে) বৃদ্ধি করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি তাকে বিবাহ করবে তার বংশ কৌলীন্য দেখে, আল্লাহ পাক তার তুচ্ছতা ও হেয়তা বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে শুধুমাত্র এই জন্য বিবাহ করে যে, সে তার চক্ষুকে অবনত রাখবে এবং লজ্জা স্থানকে হেফাজত করবে অথবা (আত্মীয়দের মধ্যে হলে) আত্মীয়তা রক্ষা করবে, তাহলে আল্লাহ সেই নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনেই বরকত দান করবেন।(তাবারানী)
বিবাহ পড়ানোর পদ্ধতি
বিবাহ মজলিস অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই মহর নির্ধারিত হয়ে যাবে। মেয়ের অভিভাবক মেয়ের নিকট থেকে আগেই দুই বিষয়ের অনুমতি নিয়ে রাখবে। প্রথমতঃ প্রস্তাবিত ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিবাহে সম্মত আছে কিনা দ্বিতীয়তঃ উক্ত অভিভাবক মেয়ের উকিল হিসেবে বিয়ের মজলিসে ছেলের নিকট মেয়ের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। অতঃপর বিবাহের মজলিসে যদি সম্ভব হয় তাহলে মেয়ের পিতা বা ভাই বা অভিভাবক নিজেই খুতবা পড়ে মেয়ের উকিল হিসেবে ছেলেকে প্রস্তাব দেবেন। আর মেয়ের পিতা যদি খুতবা পড়তে না পারেন তাহলে ছেলের পিতা বা অন্য কোন আলেম সাহেব বিবাহের খুতবা পড়বেন। খুতবার পরে মেয়ের অভিভাবক নিজে ছেলের কাছে প্রস্তাব দেবেন যে, আমি আমার অমুক মেয়েকে এত টাকা দেন মোহরের বদলে তোমার নিকট বিবাহ দিচ্ছি বা বিবাহ দিলাম।
তখন ছেলে বলবে আমি কবুল করলাম। ঈজাব এবং কবুল একবার বলাই যথেষ্ট। অনেক স্থানে তিনবার বলানো হয়। এর কোন প্রয়োজন নেই। আর যদি এমন হয় যে, মেয়ের অভিভাবক নিজে ছেলেকে প্রস্তাব দিতে পারেন না, তাহলে যিনি খুতবা পড়াবেন মেয়ের পক্ষ থেকে তাকেই অনুমতি দিয়ে দেবেন যে, আপনি আমার অমুক মেয়ের বিবাহ এত টাকা মোহরের বিনিময়ে এই ছেলের সাথে করিয়ে দিন। সেক্ষেত্রে আলেম সাহেব আগে খুতবা পড়বেন তারপরে মেয়ের উকিল হিসাবে ছেলের নিকট প্রস্তাব করবেন যে, আমি এত টাকা মহরের বিনিময়ে অমুকের অমুক মেয়ের বিবাহ আপনার সাথে দিচ্ছি – আপনি রাজি আছেন বা কবুল করলেন? ছেলে স্পষ্ট আওয়াজে বলবে যে, আমি কবুল করলাম। তার এই কবুল বলাটা যেন কমপক্ষে দুইজন স্বাক্ষী শুনতে পান সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
ছেলে কবুল বলার পরে উপস্থিত সকলে তাদেরকে হাদীসে বর্ণিত দু’আ দিবেন। বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকাল্লাহু আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খাইর। অনেক জায়গায় বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে ছেলে উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে সালাম করে। এর কোন প্রয়োজন নেই। এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে হাজেরীনদের মধ্যে খুরমা বণ্টন করে দেয়া হবে। অতঃপর দু’আ ও মুনাজাতের মাধ্যমে মজলিশ শেষ করা ভাল।
যিনি বিবাহ পড়াবেন তিনি প্রথমে ইযাব কবূল পত্রে তথ্য
গুলো লিখে নিলে ভালো হয়।
ইযাব কবূল পত্র।
উকীল ইযাব
আমি আমার —–তম মেয়ে সায়মা আক্তার কে ৫,00,000 (পাঁচ লক্ষ টাকা) দেন মোহর নির্ধারণ করিয়া উত্তর হাওলা মজুমদার বাড়ী নিবাসী আব্দুল করীমের ৩য় পুত্র মোঃ উমুক এর আকদে নিকাহে বা বিবাহ বন্ধনে দিলাম। তখন ছেলে বলবে আমি কবুল করলাম।
অতপর ইমাম সাহেব দোয়া করে দিবেন। এবং কাবিন রিজি: সাইন করে বিদায় নিবেন।
যে ব্যাক্তি দ্বারা বিবাহ পড়ানো হইয়াছে তার তথ্য
নাম: মোঃ নাছির উদ্দিন (ফাযিলে হাটহাজারী মঈনুল ইসলাম চট্টগাম:-2013ইং)
পিতাঃ ————————-
মাতাঃ —————————
গ্রাম: —————————
পোঃ —————————
উপজেলা: ——————-
জেলা : ————————- স্বাক্ষর:————————–
অসমাপ্ত চলবে…….
Thank you for reading the post.