google-site-verification=rXaFmwSiYigXRnCfxubQMUMfWDLuTGq64pGk6OzeFd4

হুযূর (সাঃ) এর বৈশিষ্ট ও তাঁহার উম্মত সম্পর্কে তাউরাতের সাক্ষ্য প্রদান প্রসঙ্গে

সফর মাসের ৫ম খুৎবাহ্ ফটো।

 

الخطبة الخامسة لشهر صفرفی شهادة التوراة

في محمّد رسول الله عليه الصلاة والسّلام وأمّته

ছফরের ৫ম খুৎবাহ

 হুযূর (সাঃ) এর বৈশিষ্ট ও
তাঁহার উম্মত সম্পর্কে তাউরাতের সাক্ষ্য

প্রদান প্রসঙ্গে।

 

اَعوذ باللہ من الشیطان
الرّجیم 0

بسم الله الرّحمن الرّحيم 0

 (1) الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره

(১) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালারআমরা তাঁহারই গুণকীর্তন করিতেছি এবং তাঁহারই। সাহায্য চাহিতেছি ও তাঁহারই
নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।

(2)  ونعوذ بالله من شرور انفسنا

(২) এবং আমরা আমাদের  প্রবৃত্তির কুচক্র হইতে বাঁচিবার জন্য,আল্লাহর সাহায্য ভিক্ষা করিতেছি।

 (3) من يهد الله
فلا مضل له ومن يضلل
ہ فلا هادي له ۔

(৩) আল্লাহ পাক যাহাকে হেদায়েত করেন কেহ তাহাকে গোমরাহ করিতে পারে নাপক্ষান্তরে বান্দা নিজ ইচ্ছায় গোমরাহ হইবার জন্য দৃঢ় হইবার পর আল্লাহ যদি তাহার জন্য গোমরাহী নির্ধারণ করেন তবে আর কেহ
তাহাকে হেদায়েত করিতে পারে না।

(4) ونشهد أن لا اله الا الله وأن محمدا عبده
ورسوله صلى الله عليہ وعلى الہ وسلم ارسله بالحق بشيرا ونذيرًا بين يدي الساعة –

(৪) আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যেআল্লাহ ব্যতীত আর কেহই উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহরই বান্দা এবং রাসূল। আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের পূর্বে তাঁহাকে সত্য (ইসলাম) সহ সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শক করিয়া  পাঠাইয়াছেন।

(5)
مَنْ یُّطِعِ اللّہَ وَ رَسُوْلَہٗ فَقَدْ رَشَدَ – وَ مَنْ یَّعْصِھِمَا فَقَدْ
غَوٰی

(৫) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁহার রাসূলকে মান্য করিল সে জ্ঞানীর কাজ করিলআর যে ব্যক্তি তাহাদিগের নাফরমানী করিল সে বোকামী করিল। (ধ্বংস ডাকিয়া আনিল)।

(6) امَّا بعد – فَيَا
أَيُّهَا الْإِخْوَانُ فِي الْمِلّۃِ . أُدْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَافَّةً

(7)
وَاعْمَلُوْا
الْأَعْمَالَ الْمرْضِيّةَ .كَمَا اَنْتُمْ مَشْهُوْدُوْنَ فِيْ التَّوْرَاةِ

الْمُوْسَوِيَّۃِ –

 (৬) হে দ্বীনের ভাইগণ! আপনারা পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হউন।

(৭) আপনারা নেক কাজ করুন, যেরূপ আপনারা মূসা (আঃ) এর তাউরাত কর্তৃক প্রশংসিত
হইয়াছেন।

(8) فَعَنْ کَعْبٍ (رض) یَحْکِی عَنِ التَّوْرَاةِ قَالَ نَجِدُ
مَكْتُوْبًا –

(৮) কাব (রাঃ) তাউরাত হইতে বর্ণনা দিয়া বলেন, আমরা লিখিত পাইয়াছি

অর্থাৎ তাওরাত কিতাবে লিখিত পাইয়াছি।

(9) وَ أُمَّتُهُ الْحَمَّادُوْنَ يَحْمَدُوْنَ
اللهَ فَي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ  –

(৯)এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতগণ আল্লাহর প্রশংসাকারী হইবে—তাহারা সুখে-দুঃখে |

সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করিবে ।

 

(10) یَحْمَدُوْنَ اللهَ فِي كُلِّ مَنْزِلَةٍ ويُکَبِّرُوْنَهٗ عَلٰى
كُلِّ شَرَفٍ  –

(১০) প্রত্যেক অবতরণ স্থলেই তাহারা আল্লাহর প্রশংসা করিবে এবং প্রত্যেক উচ্চ মর্যাদা প্রাপ্তিতেই
তাহারা আল্লাহর মহিমা কীর্তন করিবে ।

 

(11) رُعَاۃٌ لّلشَّمْسِ یُصَلُّوْنَ الصَّلٰوةَ
اِذَاجَاءَ وَقْتُھَا  –

(১১) তাহারা সূর্যের (সময়ের) দিকে খেয়াল রাখিবে— যখন নামাজের সময় হয় তখন নামায আদায় করিবে।

 

(12) یَتَاَ زَّرُوْنَ عَلٰى أَنْصَافِهِمْ.
وَيَتَوَضَّؤٗنَ عَلٰى أَطْرَافِهِمْ.

(১২) তাহারা তাহাদের কটিদেশে পরিধান করিবে। এবং পূর্ণভাবে অজু করিবে।

 

(13) مُنَادِيْهِمْ يُنَادِي فِي جَوِّ السَمِاءِ –

(১৩) তাহাদের মুয়াজ্জিনগণ গগণের তলদেশ আযানে মুখরিত করিবে ।

 

(14) صَفُّهُمْ فِي الْقِتَالِ وَصَفُّهُمْ فِي
الصَلٰوۃِ سَوَاءٌ –

(১৪) যুদ্ধে ও নামাযে তাহাদের কাতার একই প্রকার হইবে ।

 

(15) لَهُمْ بِاللّيْلِ دَوِىٌّ کَدَوِيِّ النَّحْلِ – نَقَلَهٗ
فِي الْمِشْكٰوةِ –

(১৫) রাত্রে তাহারা মধুমক্ষিকার মত গুণ গুণ স্বরে আল্লাহর যিকির করিবে”— মিশকাত।

(16) بَارَكَ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ فِي الْقُرْآنِ
الْعَظِيْمِ. 

(১৬) আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ কুরআনের বরকত আমাদিগকে ও আপনাদিগকে দান করুন।

(17) اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ
الرَّجِیْمِ –

(১৭) বিতাড়িত শয়তানের প্রতারণা হইতে বাঁচিবার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি।

 

(18)  يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْأُدْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَافَّةً

(১৮) হে ঈমানদারগণ! তােমরা পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হও

 

لا تَتَّبِعُوْاخُطُوَاطِ
الشَّيْطَانِ – اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّمُّبِیْنٌ

 

আর শয়তানের কুমন্ত্রণার অনুসরণ করিও না। নিশ্চয়ই সে তােমাদের প্রকাশ্য দুশমন।

প্রাসঙ্গিক আলোচনাঃ-

মূলত উল্লেখিত খুৎবায় নবী কারীম (সাঃ) ও তার উম্মতের বৈশষ্টি উল্লেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

সাহাবি হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে পাঁচটি বস্তু দেওয়া হয়েছে যা আমার পূর্বে কাউকে দেওয়া হয়নি।

০১. শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চার করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে, যা এক মাসের রাস্তার সীমা পর্যন্ত প্রযােজ্য।

০২. জমিনকে আমার জন্য মসজিদ তথা নামাজ আদায়ের যােগ্য ও পবিত্রতা অর্জনের যােগ্য করে দেওয়া হয়েছে। আমার উম্মতের যে কোনাে ব্যক্তি যে কোনাে স্থানে নামাজের সময় হলেই নামাজ আদায় করতে পারবে।

০৩. আর আমার জন্য গনিমত তথা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হালাল করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কারও জন্য হালাল ছিলাে না।

০৪. আমাকে (কিয়ামত দিবসে) শাফায়াত তথা সুপারিশ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক নবীকে বিশেষভাবে তার সম্প্রদায়ের কাছে।
প্রেরণ করা হয়েছে, আর আমি সব মানুষের কাছে
প্রেরিত হয়েছি। -সহিহ বােখারি
, ১ম খন্ড, পৃ ৩৪৫, হাদিস নং- ৩৩৫

বর্ণিত হাদিসের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কতিপয় বৈশিষ্ট্য বা মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে যা তিনি ব্যতীত অন্য কোনাে নবী বা রাসূলকে দেওয়া হয়নি।

প্রথম বৈশিষ্ট:- 

বৈশিষ্ট্যসমূহের অন্যতম হলাে- আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় রাসূল (সা.)-এর শত্রুদের মনে এমন অস্থিরতা ও ভীতি সঞ্চার করে দেন যাতে তারা এক মাসের দূরত্বের
রাস্তায় থাকলেও রাসূলের ভয়ে তটস্থ ও বিচলিত থাকে।

দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলাে- 

পূর্ববর্তী উম্মতদের জন্য আহলে কিতাব ও অন্যদের নির্দিষ্ট ইবাদতখানায় ইবাদত
করা অপরিহার্য হলেও শেষ নবী ও তার উম্মতের জন্য পুরাে জমিনকে নামাজের স্থান হিসেবে
ঘােষণা করা হয়েছে এবং মাটি দ্বারা। তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের বিধান
দেওয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে এ দুর্লভ সুযােগ মুসলমনাদের দ্বীন পালনে অত্যন্ত সহায়ক
ও আরামদায়ক। অতএব যখন যেখানে নামাজের সময় হবে তখন সেখানে নামাজ আদায় করা
কর্তব্য।
এ ছাড়া মাটিকে
পবিত্র করা হয়েছে
, যাতে তা দ্বারা
তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। এটিও এই উম্মতের জন্য
আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার।

তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলাে- 

এই নবী ও তার উম্মতের জন্য যুদ্ধলব্ধ গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে। যা
পূর্বে কোনাে নবীর । জন্য বৈধ ছিলাে না।

চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হলাে- 

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে কিয়ামত দিবসে শাফায়াত বা সুপারিশ করার অনুমতি
দেওয়া হবে এবং তার সুপারিশ গ্রহণ করার ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা অঙ্গীকার করেছেন।

এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,اِشْفَعْ تُشَفَّع  নবী করিম (সা.)-কে বলা হবে- তুমি সুপারিশ করাে, তােমার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।

পঞ্চম ও সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে-

সকল নবীকে তাদের স্ব-স্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে আর আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে সাদা, কালাে, আরব, অনারব নির্বিশেষ সব মানুষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, “আর আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির নিকট সুসংবাদদানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এ বিষয়ে জ্ঞান রাখে না।‘ –সূরা সাবা: ২৮ এ আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, নবী করিম (সা.)-কে সমগ্র মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এটি হচ্ছে তার জন্য বিশেষ নিয়ামত ও পুরস্কার। কেননা সব নবীকেই বিশেষ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে; ব্যতিক্রম শুধু শেষ নবীর ক্ষেত্রে। বর্ণিত হাদিসের প্রতি গভীরভাবে মনােনিবেশ করলে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় পরিলক্ষিত হয়। যেমন

, এই হাদিস নবী মুহাম্মাদ (সা.) ও তার উম্মত তথা আমাদের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্যের
বার্তা বহন করে।
| খ. রাষ্ট্রনায়ক বা আল্লাহর পথে দাঈ (আহবানকারী)
হিসেবে সফলতা লাভের জন্য শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চার জরুরি।

গ. হজরত
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শত্রু বা প্রতিপক্ষের লােকদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে তাকে যে
সাহায্য করা হয়েছে
এটি তার মুজিযার অংশ।

ঘ. পবিত্র মাটি
দ্বারা তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ
উপহার।
 

ঙ. গনিমতের মাল দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ।

চ. বিশেষ কোনাে দল, গােত্র, বংশ বা জাতির কাছে প্রেরিত না হয়ে বিশ্বমানবতার দূত
হিসেবে আগমন আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

উম্মতে মুহাম্মদী
কিয়ামতের দিন অন্য সকল জাতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে

এটা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ মর্যাদা। কিয়ামত দিবসে তারা সকল জাতির
মিথ্যাচারের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে। কিয়ামতের দিন যখন সকল নবী রাসূল ও তাদের
সম্প্রদায়কে একত্র করা হবে তখন ঐ সকল জাতিরা নবী রাসূলদের আহবানের বিষয়টি
অস্বীকার করবে। তারা বলবে আমাদের কাছে নূহ আলাইহিস সালাম দাওয়াত পৌঁছে। দেয়নি।
আবার কেউ বলবে আপনি আমাদের কাছে হুদ
, সালেহ, শুআইব কে
পাঠিয়েছিলেন হয়ত কিন্তু তারা আমাদের কাছে আপনার বাণী পৌঁছে দেয়নি। এভাবে তারা
তাদের নবী রাসূলদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে নিজেদের বাঁচার তাগিদে। তখন উম্মতে
মুহাম্মাদী সকল নবীদের পক্ষে আর তাদের মিথ্যাবাদী উম্মতদের বিপক্ষে স্বাক্ষী দিবে।
হাদীসে এসেছে: আবু সায়ীদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন
, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

یُجَاءُ بِنوْحٍ یَوْمَ القِیَامۃِ  فَيُقَالُ لَهٗ:
ھَلْ بَلَّغْتَ؟ فَیَقُوْلُ : نَعَمْ یَا رَبِّ – فَتُسْاَلُ اُمَّتُہٗ

فَیَقُوْلُوْنَ – مَا جَاءَنَا مَنْ نَذِیْرٍ – فَیَقُوْلُ –
مَنْ شُھُودُکَ ؟ فَیَقُوْلُ مُحَمَّدٌ وَ اُمَّتُہٗ –

فَیُجَاءُ بِکُمْ – فَتَشْھَدُوْنَ – ثُمَّ قَرَاَ رَسُولُ
اللہِ ﷺ ( وَکذَلِکَ جَعَلْنَا کُمْ اُمَّۃً وَسَطًا )

سورۃ البقرۃ – 143

قَالَ عدْلًا – (لِتَکُوْنُوْا شُھَدَاءَ عَلَی النّاسِ وَ
یَکُوْنَ  الرَّسُوْلُ عَلَیْکُمْ
شَھِیْدًا )

سورۃ البقرۃ – 143

 

 

কিয়ামতের দিন নূহ
কে ডাকা হবে। তাকে প্রশ্ন করা হবে
, তুমি কি তােমার দায়িত্ব পালন করেছাে? সে বলবে, হ্যাঁ, হে প্রভু। এরপর তার জাতিকে প্রশ্ন করা হবে, সে কি তােমাদের কাছে আমার বাণী পৌঁছে দিয়েছে? তখন তারা বলবে না, আমাদের কাছে কোন সতর্ককারী আসেনি। তখন আল্লাহ নূহকে বলবেন, তােমার স্বাক্ষী কারা? সে উত্তর দিবে, মুহাম্মাদ ও তার
উম্মত। তখন তােমাদের ডাকা হবে আর তােমরা তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। এ কথা বলার পর
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতটি পাঠ করলেন: আর এমনি ভাবে
তােমাদের আমি মধ্যবর্তী (ন্যায় পরায়ণ) জাতি হিসাবে সৃষ্টি করেছি। যাতে তােমরা
মানুষের উপর স্বাক্ষী হতে পারাে আর রাসূল তােমাদের উপর স্বাক্ষী হবেন
[1]

আর আবু সায়ীদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

يَجِيءُ النَّبِيُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ،
وَمَعَهٗ الرَّجُلُ، وَالنَّبِيُّ مَعَهٗ الرَّجُلَانِ، وَأَکْثَرُ مِنْ ذٰلِكَ.
فَیُدْعٰی قَوْمْهٗ، فَيُقَالُ لَهُمْ: هَلْ بَلَّغَکُمْ ھٰذَا ؟ فَيَقُوْلُوْنَ :
لَا. فَيُقَالُ لَهٗ : هَلْ بَلَّغْتَ قَوْمَكَ؟ فَيَقُوْلُ: نَعَمْ. فَيُقَالُ
لَهٗ: مَنْ يَّشْهَدُ لَكَ؟ فَيَقُوْلُ: مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُةٗ. فَیُدْعَی
مُحَمَّدٌ  وَأُمَّتُهٗ-  فَيُقَالُ لَهُمْ: هَلْ بَلَّغَ هٰذَا قَوْمَهٗ؟
فَيَقُوْلُوْنَ: نَعَمْ. فَيُقَالُ: وَمَا عِلْمُکُمْ؟ فَيَقُوْلُوْنَ: جَاءَنَا نَبِيُّنَا،
فَأَخْبَرَنَا: أَنَّ الرَّسُوْلَ قَدْ 
بَلَّغُوْا  فَذَلِكَ قَوْلُهٗ “: { وَکذَلِکَ
جَعَلْنَا کُمْ اُمَّۃً وَسَطًا } [البقرة: 143]

 قال:
” يقول: علًا “، { لِتَکُوْنُوْا شُھَدَاءَ عَلَی النّاسِ وَ یَکُوْنَ  الرَّسُوْلُ عَلَیْکُمْ شَھِیْدًا } [البقرة:
143] |

 

কিয়ামতের দিন
নবীদের ডাকা হবে। কারাে সাথে একজন অনুসারী থাকবে কারাে সাথে থাকবে দুজন আবার কারাে
সাথে থাকবে তিন জন বা এর বেশি। তাদের জাতিকে ডাকা হবে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে
, এ ব্যক্তি কি তােমাদের কাছে আমার বাণী পৌঁছে দিয়েছিল? তারা উত্তর দিবে, না, আমাদের কাছে আপনার
বাণী পৌঁছে দেয়নি। তখন নবীকে প্রশ্ন করা হবে তুমি কি আমার বাণী পৌঁছে দিয়েছাে
? সে বলবে, হ্যা, দিয়েছি। তখন তাকে
বলা হবে তােমার পক্ষে কে আছে স্বাক্ষী
? তখন নবী বলবেন, আমার পক্ষে
স্বাক্ষী আছে মুহাম্মাদ ও তাঁর উম্মত। তখন মুহাম্মাদ ও তার অনুসারীদের ডাকা হবে।
তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে এ ব্যক্তি কি তার জাতির কাছে আমার বাণী পৌঁছে দিয়েছে
? তখন তারা বলবে, হ্যাঁ, সে তার জাতির কাছে
আপনার বাণী পৌঁছে দিয়েছে। তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে তােমরা এটা কীভাবে জানলে
? তারা উত্তর দিবে, আমাদের কাছে। আমাদের নবী এসেছিলেন, তিনি আমাদের বলেছেন, এ নবী তার জাতির
কাছে আপনার বাণী পৌঁছে দিয়েছে। এটা হলাে আল্লাহ তাআলার সেই বাণীর প্রতিফলন: আর
এমনি ভাবে তােমাদের আমি মধ্যবর্তী (ন্যায়পরায়ণ) জাতি হিসাবে সৃষ্টি করেছি। যাতে
তােমরা মানুষের ওপর স্বাক্ষী হতে পারাে আর রাসূল তােমাদের ওপর স্বাক্ষী হবেন
[সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৩][2]

[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৪৯। [2] মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১১৫৫৮। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।

Thank you for reading the post.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top