বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
নূরানী সিলেবাস-শিশু শ্রেণি-ফিকরী প্রকাশনী
দুটি কথা
ইসলাম ধর্মে মুসলমানদের জন্য প্রয়োজনীয় দীনী ইলম শিক্ষা করা যেমন অপরিহার্য করেছে, তেমনি সময়ের মূল্যায়ন করার প্রতিও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। তাই পরকালীন মুক্তির জন্য ইলমে দীন শিক্ষা করা ফরয বিধায় সময়ের হিফাযত করাও গুরুত্বের দাবি রাখে; বিশেষত শিক্ষাজীবনে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে সফলতার ক্ষেত্রে ক্রমাগত সাধনা যেমন আবশ্যক তেমনি শৃঙ্খলাবদ্ধ সময়ও অপরিহার্য। উভয়টির সমন্বয়েই কেবল একজন শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে সফলতার সাথে পৌছতে পারে । আমাদের নূরানী মাদরাসাসমূহে যেহেতু সময় সীমিত; আবার বিষয়ও অনেক; সেহেতু ছাত্র ও শিক্ষকের জন্য পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন; যাতে সীমিত সময়ের মাঝে নির্ধারিত বিষয়গুলো সমাপ্ত করা যায়। সেই বিবেচনায় নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। আশা করি তা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
নিবেদক মাওলানা শফীকুল্লাহ এম এম
মুহতামিম,
জামিয়া ইহইয়াউস সুন্নাহ ।
পরিচালক, চটকিবাড়ি নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণকেন্দ্র
ছাত্রছাত্রীদের করণীয়:
০১. নিয়মিত মাদরাসায় উপস্থিত থাকবে
০২.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করে মাদরাসায় আসবে।
০৩. ক্লাসে বসার পূর্বে অবশ্যই ওযূ করে নেবে।
০৪. মা-বাবা ও উস্তাদদের আদেশ মেনে চলবে।
০৫. কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি করবে না।
০৬. লেখাপড়ার যাবতীয় উপকরণের সম্মান করবে ও সযত্নে রাখবে।
০৭. মাদরাসায় যাতায়াতকালে রাস্তার ডানপাশ দিয়ে চলবে।
০৮. বড়দের সম্মান করবে।
০৯. ছোট-বড় সবাইকে সালাম দেবে।
১০. বিনা-অনুমতিতে কারো কোনো জিনিস ধরবে না।
১১. দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করবে।
১২. মাদরাসায় থাকাকালীন কোনো সমস্যা হলে, অবশ্যই তা সংশ্লিষ্ট উস্তাদকে জানাবে। কোনো অবস্থাতেই নিজের হাতে আইন তুলে নেবে না।
১৩. মাদরাসা থেকে দেয়া বাড়ির কাজগুলো অবশ্যই করে আনবে।
ছাত্র/ছাত্রীদের অঙ্গীকার
পড়ালেখা কবর আমি রুটিনমত চলব
গুরুজনদের আদেশ-নিষেধ মেনে সদা চলব,
গালি-গালাজ মিছে কথা সকল কিছু ছাড়ব
আদব-কায়েদা, নবীর সুন্নাত মেনে আমি চলব।
অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
০১. প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুনভাবে ভর্তি করাতে হবে।
০২. ভর্তি ফি অফেরতযোগ্য।
০৩. প্রতি মাসে কমপক্ষে ১বার অভিভাবকগণ শ্রেণিশিক্ষকের সাথে | সাক্ষাৎ করে ছাত্র/ছাত্রীর লেখাপড়ার অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
০৪. আপনার সন্তানকে প্রতিদিনি মাদরাসায় পাঠাবেন ।
০৫. পরিষ্কার/পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিয়ে মাদরাসায় পাঠাবেন।
০৬. চক-শ্লেট, খাতা-কলম ইত্যাদি শেষ হওয়ার আগেই কিনে দেবেন।
০৭. কোনো গ্রহণযোগ্য কাজের জন্য ছুটির প্রয়োজন হলে অভিভাবকের পক্ষ থেকে দরখাস্ত অথবা সরাসরি মাদরাসায় এসে ছুটি মঞ্জুর করে নেবেন ।
০৮. কোনো ছাত্রছাত্রী (আল্লাহ না করুক) অসুস্থ হলে মাদরাসায় শিক্ষককে অবগত করবেন।
০৯. মাদরাসার শিক্ষকগণের সাথে সুন্দর আচরণ করবেন।
১০. ছাত্র/ছাত্রীদের আনা-নেয়া নিজ দায়িত্বে করবেন।
১১. মাদরাসার কোনো ব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে উক্ত বিষয়ে সমালোচনা না করে লিখিত আকারে বা সরাসরি মাদরাসার অফিস কক্ষে আলোচনা করতে হবে। অন্যথায় কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে অভিভাবকগণ দায়ী থাকবে।
১২. মাদরাসার বিধিবহির্ভূত কোনো পোশাক বা যন্ত্রপাতি কিংবা খেলনা সঙ্গে আনার ব্যাপারে সকল অভিভাবকগণ সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
১৩. মাদরাসা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে পরিচালকসহ সকল উস্তাদের অনুমতি ও দোয়া নিয়ে মাদরাসার যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।