Headline
থানায় জিডি করার নিয়ম
থানায় জিডি করার নিয়ম,থানায় অভিযোগ,থানায় অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম
চাকুরী হতে অব্যাহতি পত্র, ছাড় পত্র, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছাড় পত্র
চাকুরী হতে অব্যাহতি পত্র | ছাড় পত্রল | ডকফাইল | পিডিএফ ফাইল
নূরানী পদ্ধতীতে কুরআন শিক্ষা | নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ | নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৬ষ্ঠ পর্ব
নূরানী পদ্ধতীতে কুরআন শিক্ষা | নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ  |  নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৬ষ্ঠ পর্ব
নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৫ম পর্ব | নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ | নূরানী পদ্ধতীতে কুরআন শিক্ষা
নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৫ম পর্ব | নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ | নূরানী পদ্ধতীতে কুরআন শিক্ষা
তাবলিগ জামাতের ছয় উসুল | ৬ নাম্বারের বয়ান | ছয় সিফাতের আলোচনা | দাওয়াত তাবলীগের পিডিএফ বই | তাবলীগের কাজ কি?
তাবলিগ জামাতের ছয় উসুল | ৬ নাম্বারের বয়ান | ছয় সিফাতের আলোচনা | দাওয়াত তাবলীগের পিডিএফ বই | তাবলীগের কাজ কি?
নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৪র্থ পর্ব
নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য়_সংস্করণ ৪র্থ_পর্ব
চিকিৎসা ছুটির আবেদন
চিকিৎসা ছুটির আবেদন
CPC, CPM, CPA, CTR and CPL (5 advertising metrics explained)
CPC, CPM, CPA, CTR and CPL (5 advertising metrics explained)
নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৩য় পর্ব
নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৩য় পর্ব

নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ২য় পর্ব

নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ২য় পর্ব
Spread the love

বা  ب  পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা বা ( ب ) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন। ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন সকালে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার (বা-বা বলে) মশক/করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন- এই কথা বলে ওস্তাদ/প্রশ্ন করবেন- এই হরফে নুকতা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে- আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তর বলবে, নীচে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- এক নক্তা। তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাতে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- বা’র নীচে এক নুক্তা, বা’র নীচে এক নুক্তা (ইয়াদ হওয়ার জন্য যতবার প্রয়োজন) এবং বলবেন শেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে মশক করাইবেন আর ছাত্ররা হাতে, ধরে পড়বে বা’র মার্চে এক নূকতা। এইভাবে নুকতার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার (প্রশ্নগুলো করার সময় ওস্তাদ বোর্ডে হাত রাখবেন না)

ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে/দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা বা লিখবেন, লিখার সময় পড়বেন – (বা-র নিচে এক মুতা) তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন, তখন ছাত্ররা কয়েকটি বা শ্লেটে লেখবে এবং পড়বে। (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের শ্লেটে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে, আর ও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন। ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবেন।

বি. দ্র. প্ৰণালী :

১. হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার

২. লেখা পড়া কমপক্ষে এক ঘন্টা

৩. নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ বার (পড়ার সময় নুক্তাসহ বলা) ।

তা-ছা ( ت -ث ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে সুন্দর করে একটা ( ب ) বা লেখেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন। নীচের নুক্তাটা মুছে উপরে এইভাবে ( .. ) দুইটা নুক্তা দেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার (ت – ت – ت -) (তা তা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে তা হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার করতে হবে।

তারপর ওস্তাদ বলবেন ‘সকলে বোর্ডে দেখেন’- এই হরফে নুক্তা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে, আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তর বলবে- উপরে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- দুই নুক্তা। (প্রশ্নগুলো করার সময় উস্তাদ বোর্ডে হাত রাখবেন না )

তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাত দিয়ে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- তা’র উপর দুই নুক্তা, তা’র উপর দুই নুক্তা (ইয়াদ হওয়ার জন্য যতবার প্রয়োজন) এবং বলবেন- শ্লেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে মশক করাইবেন আর ছাত্ররা হাতে ধরে পড়বে তা’র উপর দুই নুক্তা। তারপর উস্তাদ বলবেন এইভাবে নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার । তারপর ওস্তাদ বলবেন, ‘সকলে বোর্ডে দেখেন- উপরে এইভাবে একটা নুক্তা (.) বাড়াইয়া দেন’ (ছা) ث – ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন’ বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ( ث – ث ث ث) (ছা ছা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে ছা হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন— এই হরফে নুকতা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে- আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- উপরে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? (প্রশ্নগুলো করার সময় উস্তাদ বোর্ডে হাত রাখবেন না) ছাত্ররা উত্তরে বলবে- তিন নুক্তা। তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাত দিয়ে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- ছা’র উপর তিন নুক্তা, ছা’র উপর তিন নুক্তা (ইয়াদ হওয়ার জন্য যতবার প্রয়োজন) এবং বলবে শ্লেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে মশক করাইবেন আর ছাত্ররা হাতে ধরে পড়বে ছা’র উপর তিন নুক্তা। তারপর উস্তাদ বলবেন এইভাবে নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার। (তারপর ওস্তাদের বোর্ডের লেখা পরিষ্কার করবেন, ছাত্রদের শ্লেটের লেখা থাকবে) এবং ছাত্রদেরকে সহজ প্রশ্নে পাঁচ দাউর পড়াইবেন ।

সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর :

১. উপরে একটা নুক্তা মুছেন, ২. দেখান, ৩. নাম বলেন, ৪. একটা নুক্তা বাড়ান, ৫. দেখান, ৬. নাম বলেন, এইভাবে সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর।

কঠিন প্রশ্নে পাঁচ দাউর :

১. তা বানান,

২. দেখান,

৩. ছা বানান,

৪. দেখান।

এইভাবে কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাউর। ওস্তাদ বলবেন বা বানান, দেখান। (কঠিন প্রশ্নের সময় বা’কেও শামিল রাখবে) ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন।

বি. দ্র. প্রণালী :

১. তা হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার

২. নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার। তা’কে ছা বানাইয়া ছা হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার। নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ বার।

৩. সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর

৪. কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাউর। (কঠিন প্রশ্নের সময় বা’কেও শামিল রাখবে)।

হা ( ح ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা হা ( ح ) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন। ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ( ح – ح -ح ) (হা-হা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা হা লিখবেন এবং পড়বেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন- আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লেখতে থাকেন, পড়তে থাকেন। (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের শ্লেটে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, “মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আরও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন।” ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন। ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবে ।

বি. দ্র. প্ৰণালী :

১. হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার

২. লেখা পড়া কমপক্ষে এক ঘন্টা

খা-জীম ( خ – ج ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে সুন্দর করে একটা ( ح ) হা লেখেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন। উপরে এইভাবে (.) একটা নুক্তা দেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ( خ ـ خ ـ خ ) (খা খা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে খা خ হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

তারপর ওস্তাদ বলবেন ‘সকলে বোর্ডে দেখেন’- এই হরফে নুক্তা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে, আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তর বলবে- উপরে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- এক নুক্তা। (প্রশ্নগুলো করার সময় উস্তাদ বোর্ডে হাত রাখবেন না) তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাত দিয়ে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- খা’র উপর এক নুক্তা, খা’র উপর এক নুক্তা। কতক্ষণ?  (ইয়াদ হওয়ার জন্য যতবার প্রয়োজন) এবং বলবেন- শ্লেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে মশক করাইবেন আর ছাত্ররা হাতে ধরে পড়বে খা’র উপর এক নুক্তা। এইভাবে নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার ।

জীম ( ج ) পড়ানোর নিয়ম:

তারপর ওস্তাদ বলবেন, ‘সকলে বোর্ডে দেখেন- উপরের নুক্তাটা মুছে নীচে এইভাবে (.) একটা নুক্তা দেন ( জীম)। ওস্তাদ বলবেন, ‘শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন’ বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার (ج – ج – ج) (জীম জীম বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে ج  জীম হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার ।

তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন- এই হরফে নুকতা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে- আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- নীচে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- এক নুক্তা। তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাত দিয়ে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- ‘জীমে’র নীচে এক নুক্তা, জীমে’র নীচে এক নুক্তা এবং বলবে, ‘শ্লেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন’ বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে পড়াইবেন আর ছাত্ররা হাতে ধরে পড়বে ‘জীমে’র নীচে এক নুক্তা। এইভাবে নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার । (তারপর ওস্তাদের বোর্ডের লেখা পরিষ্কার করবেন, ছাত্রদের শ্লেটের লেখা থাকবে) এবং ছাত্রদেরকে সহজ প্রশ্নে পাঁচ দাউর পড়াইবেন ।

সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর :

১. নীচের নুক্তাটা মুছে উপরে নুকতা দেন,

২. দেখান, ৩. নাম বলেন,

৪. উপরের নুক্তা মুছে নীচে দেন,

৫. দেখান, ৬. নাম বলেন, এইভাবে সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর ।

কঠিন প্রশ্নে পাঁচ দাউর :

১. খা বানান,

২. দেখান,

৩. জীম বানান,

৪. দেখান। এইভাবে কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাউর । ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন।

বি. দ্র. প্রণালী :

১. খা হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার

ফা (ف) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- “আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন।” এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা ফা (ف) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন । ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার (ف – ف) (ফা-ফা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার ।

তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন- এই কথা বলে ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- এই হরফে নুক্তা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে- আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তর বলবে, উপরে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- এক নুক্তা। তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাতে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- ف ফা’র উপর এক নুক্তা, ফা’র উপর এক নুক্তা (ইয়াদ হওয়ার জন্য যতবার প্রয়োজন) এবং বলবেন শ্লেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে মশক করাইবেন আর ছাত্ররা হাতে ধরে পড়বে ফা’র উপর এক নুক্তা। এইভাবে নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার ।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা ف ফা লিখবেন, লিখার সময় পড়বেন (ف ফা’র উপর এক নুক্তা)। তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন তখন ছাত্ররা কয়েকটি ف ফা শ্লেটে লেখবে এবং পড়বে। (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদেরকে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আর ও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন। ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবে।

বি. দ্র. প্রণালী :

১. হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

২. লেখা পড়া কমপক্ষে এক ঘন্টা।

৩. নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ বার (পড়ার সময় নুক্তাসহ বলা)।

কাফ ( ق ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা কাফ ( ق ) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন । ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ( ق – ق – ق- ) (কাফ-কাফ বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা কাফ লিখবেন, লিখার সময় পড়বেন । তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদেরকে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আর ও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন। ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবে।

বি. দ্র. প্রণালী :

১. হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার

২. লেখা পড়া কমপক্ষে এক ঘন্টা

৩. নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ বার (পড়ার সময় নুক্তাসহ বলা)।

হা ( ح ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা হা ( ح ) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন । ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ح – ح  (হা-হা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

বি. দ্র. প্রণালী :

১. হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

২. নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ বার। খাকে জীম বানাইয়া জীম হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার। নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ বার।

৩. সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর ।

৪. কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাউর। (কঠিন প্রশ্নের সময় বা’কেও শামিল রাখিবে)।

রা ( ر ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা রা ( ر ) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন। ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ( ر – ر ) (রা-রা বলে) হরফের নাম মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা “ রা ” লিখবেন, লিখার সময় পড়বেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন। (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদেরকে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আর ও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন। ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবে।

যা ( ز ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে সুন্দর করে একটা ( ر ) “ রা” লেখেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন সকলে বোর্ডে দেখেন। উপরে এইভাবে (.) একটা নুক্তা দেন। ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ( ز – ز – ز ) (যা যা বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

তারপর ওস্তাদ বলবেন ‘সকলে বোর্ডে দেখেন’- এই হরফে নুক্তা আছে? ছাত্ররা উত্তর দিবে, আছে। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কোন দিকে? ছাত্ররা উত্তর বলবে- উপরে, ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন- কয় নুক্তা? ছাত্ররা উত্তরে বলবে- এক নুক্তা। তখন ওস্তাদ বোর্ডে হাত দিয়ে ধরে (৩ বার) পড়াবেন- যা’র উপর এক নুক্তা, যা’র উপর এক নুক্তা (ইয়াদ হওয়ার জন্য যতবার প্রয়োজন) এবং বলবেন- শ্লেট হাতে নেন হাতে ধরে পড়বেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে মশক করাইবেন আর ছাত্ররা হাতে ধরে পড়বে যা’র উপর এক নুক্তা। এইভাবে নুক্তার মশক কমপক্ষে ২০ (বিশ) বার। (তারপর ওস্তাদের বোর্ডের লেখা পরিষ্কার করবেন, ছাত্রদের শ্লেটের লেখা থাকবে) এবং ছাত্রদেরকে সহজ প্রশ্নে পাঁচ দাউর পড়াইবেন

সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর :

১. নুক্তা মুছেন, ২. দেখান,

৩. নাম বলেন,

৪. নুক্তা দেন,

৫. দেখান,

৬. নাম বলেন, এইভাবে সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর ।

কঠিন প্রশ্নে পাঁচ দাউর :

১. রা বানান,

২. দেখান,

৩. যা বানান,

৪. দেখান। এইভাবে কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাউর ।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন ।

বি. দ্র. প্রণালী :

১. হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

২. নুকতার মশক কমপক্ষে ২০ বার।

৩. সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাউর ।

৪. কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাউর ।

ওয়াও ( واو ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা ওয়াও ( واو ) লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন। ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার (واو – واو -واو) (ওয়াও-ওয়াও বলে) মশক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা ওয়াও লিখবেন এবং পড়বেন । তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন। (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদেরকে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, “মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আর ও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন।” ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন। ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবে।

দাল ( د ) পড়ানোর নিয়ম:

ওস্তাদ প্রথমে বলবেন- আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন। এ কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা দাল ( د ) ‘লিখবেন এবং বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে একটা লেখেন। ছাত্ররা লিখবে, তারপর ওস্তাদ বলবেন শ্লেট উল্টাইয়া রাখেন, সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ ছাত্রদের সারির মাঝে হেঁটে হেঁটে  কয়েকবার (د – د -د ) (দাল দাল বলে) হরফের নাম মশ্ক করাইবেন এবং বলবেন, এইভাবে হরফের নামের মশক কমপক্ষে ১০০ বার ।

ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে কয়েকটা দাল ( د – د) লিখবেন এবং পড়বেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন। (এইখানে ওস্তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদেরকে একটা একটা লিখিয়া দেয়া)। ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট দেখান, ছাত্ররা শ্লেট দেখালে ওস্তাদ বলবেন, “মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আরও সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন।” ওস্তাদ বলবেন, শ্লেট পরিষ্কার করেন, ছাত্ররা শ্লেট পরিষ্কার করবে।

সম্মানিত বন্ধুগন এই পর্ব  দাল পর্যন্ত থাকুক, ৩য় পর্বে আমরা যাল থেকে শিখবো। আর কেউ যদি প্রথম পর্ব না দেখে থাকেন প্রয়োজনে দেখে আসতে পারেন। নিচে লিংক দেয়া হল। 👇

১ম পর্ব দেখতে একানে ব্লিক করুন .. 👉 “নূরানী তরিকায়ে তা’লিম ১ম পর্ব”

I'm a Normal Person.

One thought on “নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ২য় পর্ব

Leave a Reply

Go To Top