রাসূলের সুন্নাত বিজ্ঞান সম্মত, সুন্নাতে রাসূল

Rsuler%20Sunnath%20Bighan%20Sommoto

 

রাসূলের সুন্নাত বিজ্ঞান সম্মত, সুন্নাতে রাসূল

মিসওয়াকের বৈজ্ঞানিক দর্শন:

ইসলামের বিধানমতে মিসওয়াক করা সুন্নাত (বিশেষ প্রকারের গাছের ডাল চিবিয়ে এর দ্বারা দাত মাজা) মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। এর পারলোকিক বিভিন্ন উপকারিতার কথা তো হাদিস শরীফে উল্লেখ আছেই। তদুপরি এর ইহলৌকিক উপকারিতা ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত। যেমন নিম জাতীয় গাছের ডাল  চিবিয়ে তা দ্বারা দাঁত মাজার অভ্যাস করলে দাঁতের দীর্ঘমেয়াদি উপকার হয়, যা আধুনিক কালের বৈজ্ঞানিক উপায়ে আবিষ্কৃত কোন দাঁতনের দ্বারা লাভ হয় না। ইসলামের বিধান মতে দৈনিক পাঁচ বার নামাজের আগেই ওজু করার সময়। এভাবে মিসওয়াক করা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ সুন্নতের দ্বারা দাঁতের যে বিজ্ঞানসম্মত উপকার হয়, তা আর বলারই অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ মিসওয়াক বর্জন করে যারা মনে করেন কোনা উপায়ে দাঁত পরিষ্কার করে নিলেই হলো এবং এ ধারণার বশবর্তী হয়ে বাজারের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া বাজে দাঁতনের দ্বারা দাঁত মাজার অভ্যাস করেন, তারা অল্পদিন পরেই বিভিন্ন দন্ত রোগে ভোগেন। মোটকথা মিসওয়াকের মধ্যে প্রধানত দুধরনের আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত উপকারিতা আছে।

 ক. যথানিয়মে মিসওয়াক করায় দাঁত পরিষ্কার থাকে, ফলে বিভিন্ন রোগের আশংকা থেকে নিরাপদ থাকা যায় এবং

খ. যথারীতি মিসওয়াক করার দ্বারা দাঁত মজবুত এবং দীর্ঘ স্থায়ী হয়।

 

ওজুর বৈজ্ঞানিক দর্শন:

ইসলামের বিধানমতে অন্তত দৈনিক পাঁচ বেলা নামাজের জন্য ওজু করা ফরজ। এর পারলৌকিক উপকারিতার পাশাপাশি ইহলৌকিক বিজ্ঞান সম্মত বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। সাধারণত মানুষের মুখমণ্ডল এবং হাত-পা পােশাকে আবৃত থাকেনা বরং খোলা হয়ে থাকে। তাই বাতাসের মাধ্যমে সব সময় এসব অঙ্গে নানারকম রোগজীবাণু লাগা স্বাভাবিক। অথচ একমাত্র ওজুই এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে প্রতিদিন একাধিকবার এসব অঙ্গ ধৌত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যা দ্বারা বহু রোগজীবাণুর হামলা থেকে দেহকে মুক্ত রাখার
ব্যবস্থা হয়ে যায়।

 

নামাজের বৈজ্ঞানিক দর্শন:

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের দ্বিতীয়টিই হচ্ছে নামাজ।

নামাজের পারলৌকিক উপকারিতা অপরিসীম। তদুপরি এর ইহলৌকিক উপকারিতাও রয়েছে বহুবিধ। এর মধ্যে শারীরিক ব্যায়াম অন্যতম। কিন্তু তাই বলে খেলাধুলাকে নামাজের বিকল্প বলা যাবে না। কারণ খেলাধুলার আসল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শুধমাত্র ইহজীবনের উপকারিতা তথা শারীরিক ব্যায়াম ও সুস্থতা। পক্ষান্তরে নামাজের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারলৌলিক শান্তি ও মুক্তি। যেহেতু খেলাধুলার মধ্যে নামাজের আসল উদ্দেশ্য পারলৌকিক উপকারিতা নেই, বরং নামাজের মধ্যে ওটার পাশাপাশি ইহলৌকিক উপকারিতও আছে, তাই নামাজ না পড়ে খেলাধুলা করলে চলবে না, বরং নামাযের সময় হলে খেলাধুলা না করে নামাজ পড়া আবশ্যক। যেহেতু এতে ইহকালিন ও পরকালিন উভয় উপকারিতা বিদ্যমান আছে। এবং ইহা আল্লাহ তা’য়ালার আদেশ। একজন এমবিবিএস ডাক্তার আমাকে বললেন, মস্তিষ্কের জন্য মহোপকারী একটা ব্যায়াম আছে। আর তা হচ্ছে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ধীরে ধীরে মাথাকে অল্পক্ষণ ঝুঁকিয়ে রাখা। অতঃপর আস্তে আস্তে মাথাকে স্থির কোনো কিছুর ওপরে স্থান করে একটু সময় অপেক্ষা করে উঠে বসা।এভাবে কয়েকবার করলে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। বিশেষত রাতে শোয়ার আগে এবং ভোরে ঘুম থেকে জাগার পর এ পদ্ধতির  ব্যায়াম মস্তিষ্কের জন্য মহোপকারী। অথচ এব্যায়াম যে নামাযের মাধ্যমেই সহজলভ্য তার আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

 

চলবে……

Thank you for reading the post.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top