প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আঙ্গিকে নূরানী তরিকায়ে তা’লিম শিক্ষা।
ত্বরীকা তালীমের তারতীব:
১ বিসমিল্লাহ,
২ দুরূদ শরীফ
৩ বসার আদব
৪ ডান বাম
৫ আট ভাগের তারতীবে ২৯ হরফ, পাঁচ প্রনালীতে শিক্ষা দিতে হবে ।
৬ তামীজের হরফ
৭ ক্বায়দার তারতীবে/ বুগদাদী নীয়মে ২৯ হরফ
৮ ত্ববক্বা
১০ হরকতে ছালাসা
১১ হরকতে ছালাসার তমীজ
১২ মুরাক্কাব
১৩ নক্বশা
১৪ মদ্দের হরফ
১৫ হরকতে ছালাসা এবং মদ্দের হরফের পার্থক্য
১৬ লীনের হরফ
১৭ মদ্দের হরফ এবং লীনের হরফের পার্থক্য
১৮ মদ্দে লীন
১৯ খাড়া যবর খাড়া যের ও উল্টা পেশের ক্বায়দাহ
২০ মদ মোট দশ প্রকার
২১ জযম ও ক্বলক্বলা
২২ তাশদীদ
২৩ ওয়াজীব গুন্নাহ
২৪ নূনে সাকীন ও তানবীনের বিবরণ
২৫ মীমে সাকীনের বিবরণ
২৬ লফয আল্লাহর লাম হরফের বিবরণ
২৭ রা হরফের বিবরণ
২৮ লফজ اعوذ থেকে ১১ সুরা ও আদিয়ায়ে সালাত তরকিাতালীমের সাথে। সময় থাকলে পৃথক ঘন্টায়।
কালীমা, মাসআলা, হাদীস এগুলোর জন্য পৃথক পৃথক ঘন্টা নিবেন
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
بسم الله الرحمن الرحيم
اللهم صل علي محمد وعلي أل محمد
الي أخره
ربّ زدني علما
ربّ زدني علما
ربّ زدني علما
ربّ اشرحلي صدري ويسّرلي امري واحلل عقدة من لساني يفقهوقولي
وبك نستعين يا مستعان
وبك نستعين يا مستعان
وبك نستعين يا مستعان
حبس حابس شجر يابس شهاب قابس
سبحانك لاعلم لنا الا ما علّمتنا انّك انت العليم الحكيم
বসার আদব:
বসার আদব তিন প্রকার (১) দু’ন হাঁটু পেলিয়া নামাজের মত
(২) এক হাঁটু উঠাইয় লিখার সময়
(৩) দু’ন হাঁটু উঠাইয়া খাওয়ার সময়
ডান বাম এর পরিচয়
আপনাদের ভাত খাওয়ার হাতখানা উঠান, আমার সাথে বলুন “ভাত খাওয়ার হাতের নাম ডান হাত” এভাবে কয়েক বার মাশ্ক করাবেন। অতপর উস্তাদ বলবেন: অপর হাত খানা উঠান “অপর হাতের নাম বাম হাত” এভাবে কয়েক বার মাশ্ক করাবেন। কমপক্ষে ২০ বার। ডান হাতের দিক কে ডান দিক বলে, বাম হতের দিক কে বাম দিক বলে, মাথার দিক কে উপর দিক বলে ,পায়ের দিক কে নিচের দিকবলে , ডানের ফযিলত বেশি বামের তুলনায় , ডন বামের ফজিলত বুঝানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদেরকে এভাবে প্রশ্ন করতে পারি। আমরা খানা খাই কোন হাতে ? আমরা আদান প্রদান করি কোন হাতে?
আমরা কুরআন শরীফের পড়া ধরি কোন হাতে ? উত্তর আসবে ডান হতে। আমরা নাক সাফ করি কোন হাতে? আমরা ময়লা পরিষ্কার করি কোন হাতে ? উত্তর আসবে বাম হাতে। এই জন্য ডানের ফযিলত বেশি বামের তুলনায় । বুজেছেন ? উত্তর না আসলে বা ভুল উত্তর আসলে বলে দিতে হবে।
ডান -বাম পরিক্ষা:
আমি এখন হাতে প্রশ্ন করব আপনারা মুখে উত্তর দিবেন । উস্তাদ ডান হাত উঠাবে ছাত্ররা ডান বলবে এরকম ভাবে উস্তাদ বাম উঠাবেন ছাত্রছাত্রীরা বাম বলবে। উস্তাদ শাহাদাৎ আঙ্গুল উপর দিকে ইশারা করবে ছাত্ররা উপর বলবে এরকম ভাবে নিচের দিকে ইশারা করবে ছাত্রছাত্রীরা নীচ বলবে।
তার পর মুখে প্রশ্ন হাতে উত্তর:
আমি এখন মুখে প্রশ্ন করব আপনারা হাতে উত্তর দিবেন আমি যখন ডান বলব আপনারা শ্লেট এভাবে ধরে দেখাবেন ,বাম বলেল এভাবে, উপর বলেল এভাবে,নিচ বলেল এভাবে।
বোর্ডের পরিক্ষা:
আমি যখন বোর্ডের ডান পাশে হাত রাখব আপনারা ডান বলবেন বাঁম পাশে হাত রাখলে বাঁম উপরে হাত রাখলে উপর,নিচে হাত রাখলে নিচ বলবেন।
২৯ হরফকে আট ভাগের তারতীবে পাঁচ প্রনালীতে শিক্ষা দেয়া। ওয়ান টু থ্রী চক ¯শ্লেট রেডি নূরানীর আবিষ্কার চক ¯শেল্ট পরিষ্কার। তার পর আট ভাগের তারতীবে ২৯ হরফ শিখানু আরম্ভ করবেন।
১ ا م ط ظ
২ ب ت ث ف ك
৩ ح خ ج
৪ ر ز و د ذ
৫ س ش ص ض
৬ ن ق ل
৭ ء ع غ
৮ ه ي
আরবী ২৯ হরফকে আট ভাগের তারতীবে পাঁচ প্রনালীতে শিক্ষা দিতে হবে ।
প্রথম প্রনালী :-
কুক্বতা ছাড়া ১৪ হরফকে দুই প্রকারে শিক্ষা দিতে হবে ।
এক. হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশত ১০০ বার ।
দুই . লেখাপড়া কমপক্ষে ১ ঘন্টা ।
দ্বিতীয় প্রনালী :-
د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ
এই(১২) বার হরফের নুক্বতাওয়ালা ৬ হরফকে চার প্রকারে শিক্ষা দিতে হয়।
এক . হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশত ১০০ বার
দুই . নুক্বতার মাশক কমপক্ষে (২০) বার।
তিন . নুক্বতাওয়ালা হরফের সঙ্গে নুক্তাছাড়া হরফ মিলাইয়া
সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাওর।
যেমন নুক্বতা মুছেন দেখান নাম বলেন । তারপর নুক্বতা দেন দেখান নাম বলেন এভাবে পাঁচ দাওর
চার . কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাওর। যেমনঃ-
একটা ত্ব বানান দেখান একটা য বানান দেখান
এভাবে পাঁচ দাওর ।
তৃতীয় প্রনালী :-
ب ف ن ق ي
এই পাঁচ হরফকে তিন প্রকারে শিক্ষা দিতে হয় ।
এক . হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশত ১০০ বার
দুই . নুক্বতার মাশক কমপক্ষে (২০) বার।
তিন . লেখাপড়া কমপক্ষে ১ ঘন্টা। পড়ার সময় নুক্বতা সহ বলা
চতুর্থ প্রনালীঃ-
ت – ث
এই দুই হরফকে চার প্রকারে শিক্ষা দিতে হবে
এক . ت হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশত ১০০ বার
দুই . নুক্বতার মাশক কমপক্ষে বিশ (২০)বার
ت কে ث বানাইয়া ث হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশত ১০০ বার।
নুক্বতার মাশক কমপক্ষে বিশ (২০) বার
তিন . ت ث মিলাইয়া সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাওর।
চার . কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাওর । কঠিন প্রশ্নের সময় ب কে ও
শামিল রাখিবে।
পঞ্চম প্রনালী :-
خ ج এই দুই হরফ কে চার প্রকারে শিক্ষা দিতে হবে ।
এক . خ হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশত ১০০ বার
দুই . নুক্বতার মাশক কমপক্ষে বিশ (২০)বার
خ কে ج বানাইয়া ج হরফের নামের মাশক কমপক্ষেএকশত (১০০)বার ।
নুক্বতার মাশক কমপক্ষে বিশ (২০)বার
তিন . خ ج মিলাইয়া সহজ প্রশ্ন পাঁচ দাওর ।
চার . কঠিন প্রশ্ন পাঁচ দাওর।
বিষেশ দ্রষ্টব্যঃ- প্রথম হরফ লেখাইবার সময় একদিন বা দুই দিন লাগাইয়া ছাত্রদের আয়ত্বে আনাইয়া দিতে হবে।
আট ভাগ শুরু:
১ নম্বরে চার হরফ
১ নম্বরে চার হরফ আলিফ,মীম, ত্ব, জ্ব – (ا – م – ط – ظ ) আগে মতন পড়াই চালু করাই দিবেন। তারপর আলিফ থেকে পড়া আরম্ব করবেন বোর্ডে আলিফ লেখে এভাবে বলবেন আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন , একথা বলার পর প্রশ্ন করবেন আমার হাত কোন দিক থেকে কোন দিকে যাইতেছে? প্রথম বার উত্তর বলে দিবেন , আমার হাত উপর দিক থেকে নিচের দিকে যাইতেছে। আপনাদের শ্লিটের মাঝখানে এভাবে একটা লেখেন শ্লেট উল্টিয়ে রাখেন । অতপর: আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন। আমার বলা শেষ হলে আপনারা বলবেন। আলিফ, আলিফ, আলিফ——- এভাবে একশত বার ।
এবার লেখা-পড়া একঘন্টা :
নূরানীর আবিষ্কার চক-শ্লেট পরিষ্কার। আপনাদের শ্লিটের মাঝখানে এভাবে একটা আলিফ লেখেন , উস্তাদ ঘুরে ঘুরে লেখা বানিয়ে দিবেন বা হাত ঘুরিয়ে দিবেন। এভাবে প্রত্যেকের কাছে যেতে হবে।
এভাবে হাত ঘুরানোর কাজ ছলবে ১৫-২০ মিনিট। এবার উস্তাদ শ্লেট পরিষ্কার করাইয়া বোর্ডের ডান দিক থেকে এক লাইনের অর্ধেক শুধু আলিফ লেখে বলবেন আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এভাবে লেখতে েথাকে এবং পড়তে থাকেন। এখন উস্তাদ আরো উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই ছড়াটি পড়াতে পারেন।
“নূরানীতে পড়তে হলে,বেশি করে লেখতে হয়
বেশি করে লেখলে মোদের হাতের লেখা সুন্দর হয়,
হাতের লেখা সুন্দর হলে মনটা বড় খুশি হয়।
বেশি বেশি লেখবে যে কলম সৈনিক হবে সে।
আপনারা কলম সৈনিক হতে চান? উত্তর আসবে জী, তাহলে বেশি করে লেখবেন। ঠিক আছে। তারপর নূরনীর আবিষ্কার বলে পরিষ্কার করাবেন এর মা’নী হল আমরা এতক্ষনে কি আবিষ্কার করলাম? উত্তর আসবে আলিফ, যেহুতু আলিফ আবিষ্কার হয়ে গেছে সেহেতু পরিষ্কার করুন। এখন উস্তাদের কাজ হল ঘুরে লেখা বানাইয়া দেওয়া ধরাইয়া দেওয়া। উস্তাদ গভির দৃষ্টিদিয়ে সকলের লেখা দেখবেন কারো লেখা ভুল হলে তাকে ডাক দিয়ে সামনে নিয়ে আনবেন এবং আপনারা সকলে দেখেন উমুকের (নাম উল্লেখ করবেন) লেখাটা হয়েছে? উত্তর আসবে না। অতঃপর উস্তাদ সঠিক ভাবে লিখে দিয়ে বলবেন এভাবে লেখবেন। অনুরূপ ভাবে কারো লেখা যদি অসুন্দর হয়, তাহলে তাকে সুন্দর করে লেখে দিয়ে বলবেন এভাবে লেখবেন। শ্লেট পরিষ্টার করাইয়া বলবেন। আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন প্রশ্ন করতে করতে লেখবেন আমার হাত কোন দিক থেকে কোন দিকে যাইতেছে প্রথম উত্তর বলে দিবেন আমার হাত সোজা উপর দিক থেকে নিচের দিকে যইতেচে এইভাবে বোর্ডে দেখিয়ে দেখিয়ে কয়েক বার প্রশ্ন করবেন ছাত্র/ছাত্রিরা উত্তর দিবে উপর দিক থেকে নিচের যাইতেছে। এবার আপনারা সুন্দর করে দুই শ্লেট লেখে দেখান। যার লেখা সুন্দর হবে তাকে গুড দিব। সাবাশ দিব। তাকে বেশি নম্বর দিব সে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাবে।
চারটি আলিফ লেখে লফয আল্লাহ শিখাবেন
তারপর চারটি আলিফ লেখে লফয আল্লাহ (اللہ) শিখাবেন উস্তাদ বলবে সকলে বোর্ডে দেখেন এগুলো কি লেখছি উঃ আসবে আলিফ,আচ্ছা ঠিক আছে গনেন ত্ব এখানে কয়টি আলিফ আছে প্রথম বার
উস্তাদ গনে দিবেন অতপর উস্তাদ হাতে ধরবে ছাত্রছাত্রিরা গনবে, তারপর লফয আল্লাহ লেখার নিয়ম শিখাবেন। আগে ছাত্রছাত্রিদের মন বোর্ডের দিকে ধাবিত/ মনোনিবেশ / আকৃষ্ট করাতে হবে ।
* আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হাতের দিকে দেখতে থাকেন, চরটি আলিফ দিয়ে আমি কিভাবে আল্লাহ বানাই দেখেন।
তারপর এভাবে প্রথম আলিফকে বাদ দিয়ে ২য় আলিফকে ৩য় আলিফের সংঙ্গে এভাবে মিলাবেন (ট্রেনিং এ যে ভাবে দেখানু হয়েছে) ৩য় আলিফকে ৪র্থ আলিফের সংঙ্গে এভাবে মিলাবেন। ৪র্থ আলিফের বাম পাশেএভাবে বাঁকা করে গোল হা লাগিয়ে দিবেন চারটি আলিফ দ্বারা আমরা কি লিখতে পারলাম জানেন । আল্লাহু । আল্লাহ কে? জানেন! আল্লাহকে আপনারা চিনেন ? আমাদেরকে কে সৃস্টি করেছেন ? আমাদেরকে রিজিক দেন কে? এই মহান আসমান কে সৃস্টি করেছেন ? এপ্রশ্নগুলো করার পর উস্তাদ সংক্ষেপে উত্তর শিখিয়ে দিবেন “আল্লাহ”। অতঃপর তাদের থেকে উঃ আসবে আল্লাহ এভাবে ছাত্রছাত্রিদেরকে সংক্ষেপে আল্লাহর পরিচয় শিখিয়ে দিতে হবে। এবার হরফ উচ্চারণ আলিফ লাম লাম হা আল্লাহু (اللہ) কয়েক বার মাশক করাবেন তারপর আলিফ মুচে লিল্লাহ শি (للہ) লাম মুচে লাহু শিখাবেন। (ٗلہ) লাহুর আগে আবার আলিফ লেকে ইলাহ্ শিখাবেন। (الہ)
কিছু ছড়া, কবিতা ও ছন্দ:
কিছু ছড়া ও কবিতা বা ছন্দ শিখাবেন আনন্দ উৎসাহ দেওয়ার জন্য । দেখবেন ছাত্রছাত্রীরা এগুলো মঝা করে শিখবে। এত মাদরাসার রৌনক বিস্তৃত হবে।
যেমন:
আম্মু আমার বই দাও, পড়তে আমি বসি
পড়া লেখা করলে আমি সবাই হবে খুশি
খাতা কলম বই নিয়ে মাদ্রাসাতে যাব
লেখা পড়া শেষ করে নাস্তা পানি খাব
এই পর্যন্ত দুই-চার দিন শিখান। এগুলো শিখা হয়ে গেলে নিচেরটা শিখাবেন।
আয়রে শিশু আয়রে কিশুর আয়রে তোরা আয়
বাল্যকালের সকল ইলেম শিখব মাদ্রসায়
কালিমা আর কুরান হাদিস দোয়া মাসআলায়
জ্ঞানি গুণি যোগ্য হব ইংরেজি বাংলায়
এই পর্যন্ত এটা দুই-চার দিন শিখানুর পর, আবার নিচেরটা শিখাবেন।
আমরা শিশু ফুলের কলি মিষ্টি মধূর কথা বলি
রোজ সকালে নূরানিতে যাই।
নূরানিতে কুরআন হাদিস শিখতে মোরা পাই।
অজু করি নামাজ পড়ি করি মুনাজাত ।
সান্তি সুখে কাটে যেন সবার দিন রাত।
মা ! নামাজ পড় রোজা রাখ আল্লাহ তা’লার হুকুম,
আদাই যদি নাকর মা! সাস্তি হবে আগুন ।
এই পর্যন্ত এটা দুই-চার দিন শিখানুর পর, আবার নিচেরটা শিখাবেন।
সত্য কথা বলব সদা
মিথ্যা কথা বলব না
মিথ্যা কথা বলে যারা
তাদের সাথে খেলব না
মিথ্যা কথা বলে যারা
তাদের সাথে চলব না
মিথ্যা বলা মহা পাপ
মিথ্যা কথা বলব না
পাপের কাছে যাব না
এটা শিখাবেন শিখানোর পর প্রতিদিন ছুটির পূর্বে একবার পড়াইয়া মুখে লোয়াইয়া দিবেন।
আগে সালাম পরে কালাম , আমরা সালাম আগে দিব নব্বই নেকি আমরা পাবো।
সালাম দিলে তিন পায়দা
(১)দোয়া করা হয় দোয়া পাওয়া যায়
(২) মা বাপ অস্তাদের সুনাম হয়
(৩) নব্বই নেকি পাওয়া যায়
আমরা সালাম আগে দিব
নব্বই নেকি আমরা পাব
আগে আগে সালাম দিব
বেশি বেশি সালাম দিব
বেশি বেশি নেকি পাব
ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিব।
আমরা আখেরী নবীর উম্মাৎ,
আমল করি সুন্নাত, সুন্নাতের আমল করতে কষ্ট লাগে ,
যেমন মাছ ধরতে কায়দা লাগে, খাইতে বড় মজা লাগে।
অথবা এটাও বলা যায়।
যেমন মাছ খাইতে কাঁটা লাগে, খাইতে বড় মজা লাগে।
আমরা নূরানীতে পড়ব,সুখের জীবন গড়ব।
নূরানীতে পড়তে হলে, বেশি করি লেখতে হয়।
বেশি করি লেখলে মোদের হাতের লেখা সুন্দর হয় ।
যাহোক বন্দুরা আমরা আট ভাগের তারতীবে ২৯ হরফ শিখাচ্ছি অথবা শিখতেছি এতক্ষন পর্যন্ত আমরা ১ নম্বরে চার হরফ এর আলিফ শিখেচি বাকী ৩ টি হরফ ও এই নিয়মে শিখবেন বা শিখাবেন
তবে হ্যাঁ একথা মনে রাখতে হবে যে,নতুন হরফ শিখানুর আগে পুরাতন হরফ দাওর দিতে হবে ।
নতুন হরফ শিক্ষা ও দাওর:
চক শ্লেট হাতে নেন, আমি লেখার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা লেখবেন। যে হরফগুলো শিখানো হয়েছে সে গুলো লেখাবেন। শ্লেট দেখান ঘুরান নিজের দিকে, হাতে ধরেন নাম বলেন মুচেন, এভাবে কয়েক বার। এবার নতুন হরফ আপনারা সকলে বোর্ডে আমার হতের দিকে দেখতে থাকেন আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এভাবে একটা লেখেন । শ্লেট উলটিয়ে রাখেন এবারে মাশক ‘বলেন’ ত্ব ত্ব ত্ব ط – ط – ط এভাবে ১০০ বার। তার পর লেখা পড়া ৩০ মি. তারপর পুরাতন হরফ দাওর। এবারে নুক্বতা ওয়ালা যুওয়া (ظ) এখানে আগে নুক্বতার পরিচয় দিতে হবে মাশকের মাধ্যমে আপনারা সকলে শ্লেটের মাঝখানে সুন্দর করে একটি ত্ব লেখেন । উপরে এভাবে একটা দেন অর্থাৎ নুক্বতা দিবে, সকলে বোর্ডে দেখেন দেখিয়ে দেখিয়ে এটার নাম নুক্বতাহ ২০ – ৩০ বার । শ্লেট উল্টিয়ে রাখেন সকলে আমার মুখের দিকে দেখতে থাকেন আমার বলা শেষ হলে বলবেন য য য এভাবে হরফের নামের মাশক কমপক্ষে একশ বার সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলেন তো এই হরফে নুকতা আছে ? কোন দিকে ? কয় নুক্বতাহ ? উঃ আসবে এক নুক্বতাহ। বলেন যর উপর এক নক্বতাহ ২০ বার। একভাগ শিখানু হলে শুরু থেকে দাওর দিবেন।
দাওর দেওয়ার নিয়মঃ-
###########
লফজ اعوذ থেকে শুরু করে ১১ সূরা আদিয়ায়ে সালাত পাঁচ প্রকারে শিক্ষা দিতে হবে ১ নং চোখ হাতে বানানের সাথে হরফ উচ্চারণের মাশক সহজ হলে ১০ বার কঠিন হলে ২০ বার বা প্রয়োজনে আর বেশি চোখ আলিফের যবরে থাকিবে হাত আলিফের নিচে থাকিবে মুখে উচ্চারন করিবে আলিফ যবর “ আ ” চোখ আঈনের পেশ থেকে ওয়াও এর যজমে আসিবে হাত আঈনের নিচ থেকে ওয়াও এর নিচে আসিবে মুখে উচ্চারণ করিবে । আঈনের পেশ ওয়াও এর যজম “ ঊ ” চোখ যাল এর পেশে থাকিবে হাত যাল এর নিচে থাকিবে মুখে উচ্চারণ করিবে দাল এর পেশ “ দু ” আমি এখন প্রশ্ন করব আপনারা উত্তর দিবেন আলিফের যবর ? উত্তর আসবে “ আ ” এরকম ভাবে “ দু ” পর্যন্ত এখানে কয়টা উচ্চরণ হয়েচে ? উত্তর না পারলে বলে দিবেন তিনটা। প্রথমটা উচ্চারণ করেন ? তার পরেরটা উচ্চারণ করেন অতপর ভাঙ্গা উচ্চারণের মাশক আ —উ—-যু ২/ আমি এখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা উচ্চারণ করব আপনারা চুপ থাকবেন আমার বলা শেষ হওয়ার একটু পর আপনারা বলবেন আ, উ , যু
৩/ আমি এখন এক সঙ্গে উচ্চারন করব اعوذ ৪/ আমি এখন হরফ উচ্চারণ করব আলিফ আঈন ওয়াও যাল = আউযু ৫/ লেখা পড়া লেখবে আর পড়বে, হাতে লেখা মুখে পড়া।
হরকতে ছালাসাকে সাতটি ত্ববকায় পড়াতে হবে
প্রথম ত্ববকাহ ঃ- ওস্তাদ ব্লাক বোর্ডে পাশাপাশি দুটি আলিফ লিখিবেন ডানেরটার উপর কোনাকোণি টান দিবেন । বামেরটার নিচে কোনাকোণি টান দিবেন ওস্তাদ বলিবেন , আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে লেখেন । এই বলিয়া ওস্তাদ ক্লাশের ভিতরে ঘুরিয়া ঘুরিয়া ছাত্র / ছাত্রিদের লেখা ঠিক করিয়া দিবেন তার পর ব্লাক বোর্ডে আসিয়া ডান দিকের হরফের হরকতের সঙ্গে হাত রাখিয়া বলিবেন, আপনাদের শ্লেটে এইভাবে হাতরাখেন তারপর আবার তাহাদের ধরা দেখিয়া ঠিক করাইয়া দিয়া বলিবেন উপরেরটার নাম ‘যবর’ ইহা কমপক্ষে (১০০) একশত বার মাশক কারাইতে হবে তার পর যের এর মাশক নিচেরটার নাম যের একশত (১০০) বার । তার পর ছাত্র / ছাত্রীদিগকে শ্লেট মুছাইয়া দিয়া বলিবেন সকলে বোর্ডে দেখিতে থাকেন এই বলিয়া ওস্তাদ একটার পর একটা হরকতে হাত রাখিয়া তাকরার করাইবেন
দ্বিতীয় ত্ববকা ( স্তর )
পরিক্ষার নিয়ম প্রথমে কোনা কোনি চিন্ন দিবেন তারপর চিন্নটির সহিত হাত রাখিয়া প্রশ্ন করিতে হইবে । বল ! তাহারা উত্তর দিবে যবর । উস্তাদ বলিবেন ফেল । দ্বিতীয় বার আবার প্রশ্ন করিবেন ঠিক করিয়া বল । ছাত্র/ ছত্রীরা উত্তরে বলিবে যের ।ওস্তাদ বলিবেন ফেল তারপর ওস্তাদ বলিবেন , এইখানে হরফ আছে কি ? উত্তর আসবে না । তাহলে হরফ ছাড়া হরকত পড়া যায়না অতপর চিন্নটির নিচে একটি আলিফ লেখিয়া প্রশ্ন করবেন তদুত্তরে ছাত্র / ছাত্রীরা বলবে যবর । মা শা আল্লাহ এখন পাশ করিয়াছ । তার পর নিছের আলিফ টা মুচিয়া উপরে লেখিয় প্রশ্ন করিবেন । তখন তাহারা বলিবে যের । এইরূপ কয়েকবার উপরে নিচে বিভিন্ন হরফ লিখিয়া যবর-যের মুখস্ত করাইয়া দিতে হবে ।
তৃতীয় ত্ববকা ঃ-
নূনে সাকিন এবং তানভীন ঃ- নূনে সাকিন এবং তানভীন চার প্রকারে পড়া যায় । ইক্বলাব , ইদগাম , ইযহার , ইখফা। ইখফা অর্থ লুকিয়ে পড়া,ইক্বলাব পরিবর্তন করা , অর্থ ইদগাম অর্থ মিলিয়ে পড়া ,নূনে সাকিন জজম ওয়ালা নূনকে বলে। গোল তা ওয়াক্ফ অবস্থায় সম্মানিত পাঠক, আরো বিস্তরভাবে নতুন আঙ্গিকে ২য় সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে প্রয়োজনে দেখে আসতে পারেন। 👇
Thank you for reading the post.
Need more