শাওয়াল মাসের 2য় খুৎবাহ
কিয়ামতের অবস্থা শাওয়াল মাসের 2য় খুৎবাহ
(৩) আল্লাহ পাক যাহাকে হেদায়েত করেন কেহ তাহাকে গোমরাহ করিতে পারে না, পক্ষান্তরে বান্দা নিজ ইচ্ছায় গোমরাহ হইবার জন্য দৃঢ় হইবার পর আল্লাহ যদি তাহার জন্য গোমরাহী নির্ধারণ করেন তবে আর কেহ তাহাকে হেদায়েত করিতে পারে না।
(৪) আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কেহই উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহরই বান্দা এবং রাসূল । আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের পূর্বে তাঁহাকে সত্য (ইসলাম) সহ সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শক করিয়া পাঠাইয়াছেন।
(5) مَنْ یُّطِعِ اللّہَ وَ رَسُوْلَہٗ فَقَدْ رَشَدَ – وَ مَنْ یَّعْصِھِمَا فَقَدْ غَوٰی
(৫) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁহার রাসূলকে মান্য করিল সে জ্ঞানীর কাজ করিল, আর যে ব্যক্তি তাহাদিগের নাফরমানী করিল সে বোকামী করিল। (ধ্বংস ডাকিয়া আনিল)।
(6) اَمّا بَعْدُ : فَیَا اَیُّھَا الْمُؤْمِنُوْنَ – اَیَّدَکُمُ
اللہُ فَاَنْتُمْ اٰمِنُوْنَ –
(৬) হে মুমিনগণ! আল্লাহ আপনাদিগকে সাহায্য করুন এবং আপনারা সুখী হউন।
یَرْحَمَکُمْ فِی یَوْمِ الحَسْرَةِ وَ النّدَامَۃِ –
(7) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাদিগকে ও আপনাদিগকে পরিতাপ ও লজ্জা দিবসে রহম করেন।
(8) ويكتب لنا لقاء محمّد صلی الله عليه وسلم مع الشفاعة _ (9) قال النّبى صلى الله عليه وسلم اذا كان يومَ القیامۃ مَاجَ النَّاسُ بَعْضُھُمْ فِی
بَعْضٍ – قيأتون ادم فيقولون اشفَعْ لَنَا الي رَبِّکَ فَیَقُوْلُ لَسْتُ لھَا وَلٰکِنْ عَلَیکُمْ بِاِبْرَاھِیْمَ ۔ فَاِنَّہٗ خَلِیّلُ الرّحْمٰنِ فَیَاتُوْنَ فَیَقُوْلُ لَسْتُ لَھَا وَلٰکِنْ عَلَیکُمْ بِمُوْسٰی ۔ فَاِنّہٗ کَلِیمُ اللّہ ۔ فَیَاتُوْنَ مُوسٰی – فَیَقُوْلُ لَسْتُ لَھَا – وَلٰکِنْ عَلَیکُمْ بِعِیسٰی رُوْحِ اللہ وَ کَلِمَتِہ ۔ فَیَاتُوْنَ عِیْسٰی ۔ فَیَقُوْلُ لَسْتُ لَھَا وَلٰکِنْ عَلَیکُمْ بِمُحمَّدٍ ﷺ فَیَاتُوْنَی فَاَقُوْلُ انَا لَھَا ۔ فَاَسْتَاْذِنُ عَلٰی رَبِّی ۔ فَیُؤْذِنُ وَیُلْھِمُنِی مَحَامِدَ اَحْمَدُہٗ بِھَا ۔ لَا تَحْضُرُنِ الآنَ ۔ فَاَحْمَدُہُ بِتِلْکَ الْمَحَامِدِ وَاَخِرُّ لَہٗ سَاجِدًا ۔ فَیُقَالُ یَا مُحَمَّدُ ۔ اِرْفَعْ راْسَکْ ۔ وَقُلْ تُسْمَعْ ۔ وَ سَلْ تُعْطَ ۔ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ ۔ فَاَقُوْلُ یَا رَبِّی اُمَّتِی اُمَّتِی۔ فَیُقَالُ اِنْطَلِقْ فَاَخْرِجْ مَنْ کَانَ فِی قَلْبِہ مِثْقَالُ شَعِیْرَۃٍ مِّنْ اِیْمَانٍ – رَوَاہُ الْبُخَارِی
(9) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তখন লোকেরা একে অপরের দিকে হুমড়ি খেয়ে দোড়া-দোড়ি করিতে থাকিবে। অত:পর তাহারা আদম এর নিকটে উপস্থিত হইয়া বলিবে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করুন। আদম আঃ বলিবেন আমি উহার উপযুক্ত নহী। তোমরা আল্লাহর দোস্ত ইবরাহীমের নিকট যাও। তখন তাহারা ইবরাহীম আঃ নিকট আসিয়া ঐরূপ বলিলে, তিনি বলিবেন আমি উহার উপযুক্ত নহী। তোমরা মুসা (আঃ) এর নিকট যাও কেননা আল্লাহ তাহার সহিত কথা বলিয়াছেন ইহাতে তাহারা মুসা (আঃ) এর নিকট আসিলে তিনিও বলিবেন, আমি উহার উপযুক্ত নহি,তোমরা ঈসা রূহুল্লার নিকট যাও! অতঃপর তাহারা ঈসা (আঃ) এর নিকটে গিয়া ঐ কথা বলিলে, | তিনি বলিবেন,—“আমি ঐ কাজের উপযুক্ত নহি, তোমরা মুহাম্মদ (দঃ) এর নিকট যাও।” তখন তাহারা আমার নিকট আসিবে এবং আমি বলিব,—হাঁ আমি এই জন্যই আছি। অতঃপর আমি আল্লাহর নিকট অনুমতি চাহিলে আল্লাহ আমাকে অনুমতি দিবেন ও কতকগুলি গুণকীর্তন শিক্ষা দিবেন, আর্মি সেইগুলি দ্বারা আল্লাহর প্রশংসা করিব ঐ প্রশংসার বাণী সমূহ এখন আমার ইয়াদ নাই। অতঃপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে ছেজদা করিব। তখন বলা হইবে, হে মুহাম্মদ! তোমার মাথা উত্তোলন কর এবং তোমার যাহা খুশী বল— আজ তোমার কথা শুনা যাইবে, আর তুমি যাহা চাহিবে তাহা দেওয়া হইবে এবং তোমার সুপারিশ কবুল করা হইবে। ঐ সময় আমি বলিব,—’হে মাবুদ! আমার উম্মতকে রক্ষা করুন। আমার উম্মতকে রক্ষা করুন।
ـ وَقَالَ ﷺ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ اَتْبَعَہٗ سِتًّا مِّنْ شَوَّالٍ ۔ کَانَ کَصِیَامِ الدَّھْرِ ۔ رَوَاہُ الْمُسْلَم –
‘রোযা রাখার পরে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখিল সে যেন সারা বৎসর রোযা রাখিল।
(11) بَارَکَ اللہ لَنَا وَ لَکُمْ فِی الْقُرْآنِ الْعَظِیْمِ ْ
(১১) আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ কুরআনের বরকত আমাদিগকে ও আপনাদিগকে দান করুন।
۔ يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّيُدْعَوْنَ إِلٰى السُّجُوْدِ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ خَاشِعَةً أَبْصْارُهُمْ
(১৩) কঠিন বিপদের দিনে (কেয়ামতের দিবসে) সেজদা করিবার জন্য। আল্লাহ বান্দাগণকে ডাকিবেন। তখন কাফিরগণ ছেজদা করিতে পারিবে না। তাহাদের চক্ষু লজ্জায় নিম্নগামী হইবে বিপদ তাহাদিগকে আচ্ছাদিত করিয়া ফেলিবে। অথচ দুনিয়ায় থাকিয়া ছেজদা করিবার জন্য ডাকা হইয়াছিল আর তাহারা সুস্থ্যও ছিল। আল- কুরআন।
Thank you for reading the post.