শাওয়াল মাসের ৩য় খুৎবাহ হিসাব নিকাশ সম্পর্কে
اَلْخُطْبَۃ الثَّالِثَۃُ لِشَھرِ شَوَّال فِی یَومِ الحِسَابِ
শাউয়ালের ৩য় খুৎবাহ – হিসাব নিকাশ সম্পর্কে
اَعوذ باللہ من الشیطان الرّجیم
بسم الله الرحمن الرّحيم 0
(1) الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره
(১) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, আমরা তাঁহারই গুণকীর্তন করিতেছি এবং তাঁহারই। | সাহায্য চাহিতেছি ও তাঁহারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।
(2) ونعوذ بالله من شرور انفسنا –
(২) এবং আমরা আমাদের প্রবৃত্তির কুচক্র হইতে বাঁচিবার জন্য,আল্লাহর সাহায্য ভিক্ষা করিতেছি।
(3) من يهد الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له
(৩) আল্লাহ পাক যাহাকে হেদায়েত করেন কেহ তাহাকে গোমরাহ করিতে পারে না, পক্ষান্তরে বান্দা নিজ ইচ্ছায় প্র গোমরাহ হইবার
গোমরাহী নির্ধারণ
(4) ونشهد أن لا اله الا الله وأن محمدا عبده ورسوله صلى الله –
(৪) আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কেহই উপাস্য
ভীতি প্রদর্শক করিয়া পাঠাইয়াছেন।
(5) مَنْ یُّطِعِ اللّہَ وَ رَسُوْلَہٗ فَقَدْ رَشَدَ – وَ مَنْ یَّعْصِھِمَا فَقَدْ غَوٰی
(৫) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁহার রাসূলকে মান্য করিল সে জ্ঞানীর কাজ করিল, আর যে ব্যক্তি
ا (9) امّا بعد. فيا ايها الإخوان – رحمۃ اللہ تعالی شاملۃ بكم في جميع الأٰوانِ
(৬) হাম্দ ও সলাতের পর : হে ভ্রাতৃবৃন্দ! আল্লাহর রহমত হামেশাই আপনাদের সংগে আছে।
(۹) سَلُوا الله تعالى ان يُّثقِّل لكم الميزان لِاَنّه لاينجو أحد يوم القيامة إلّا برحمۃ الرّحمٰن.
(৭) আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করুন যেন তিনি আপনাদের নেকীর পাল্লা ভারী করিয়া দেন। কেননা কেয়ামতের দিনে আল্লাহর রহমত ছাড়া কেহ নাজাত পাইবে না।
(۲) عن عائشة رضي الله تعالى عنها أنها قالت سَمِعْتُ رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في بعض صلوتہ
(৮) হযরত আম্মাজান আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আমি রাসূল সাঃ থেকে শুনিয়াছি যে তিনি কোন এক দোয়ায় বলিয়াছেন।
– الّلهمّ حاسبنی حسابًا يسیرا – قلتُ يانبیَّ اللہ ما الحِسابُ اليسیرُ
হে আল্লাহ! আমার হিসাব সহজ করুন। আমি প্রশ্ন করিলাম – ইয়া রাসূলুল্লাহ! সাঃ সহজ হিসাব কী ?
قال أن يُّنْظُرَ في کتابه فيُجَاوَزَ عَنهٗ – إنّهٗ مَن نُوقِشَ االحسابُ يومئذٍ ياعائشة ھلك. رواه أحمد –
উত্তর করিলেন- আল্লাহ বান্দার আমলনামার দিকে দৃষ্টি করিয়াই যদি তাহাকে ক্ষমা করিয়া দেন, তাহলে এটাই হবে তার জন্য সহজ হিসাব। তবে হে আয়েশা! যে ব্যক্তি সেই দিনে হিসাবের জন্য ধৃত
হইবে সে হালাক হইয়া যাইবে ।
–
وعن ابی سعيدنِ الخُدريِّ (رض) قال. سُئِلَ رسول الله صلى الله علي وسلم –عن يوم كان مقداره خمسين الفَ سَنَۃٍ – ماطُولُ لِهذا اليومِ . فقال والذى نفسی
হযরত আবু ছাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ কে ৫০ হাজার বৎসর পরিমাণ দিবসটি (কিয়ামতের) কথা জিজ্ঞাসা করা হইল— কত লম্বা সেই দিনটি?
(۱۰) ایُّھا المسلمون الاغنیاء ۔ وَ يا ايها المشتاقون إلى بيت الله الحرام . والى روضة النبي المحترم –
(১০) হে ধনী মুসলিমগণ! ওহে বাইতুল্লাহ শরীফের আশেকগণ! ওহে রওজাতুন্নবীর প্রেমিকগণ!
(11) قد قرب أوان الحج والعمرة. وقد دنی شهر الله ذُو الحجّةِ
(১১) হজ্জ ও উমরার সময় সন্নিকটে হইয়াছে, জুলহজ্জ মাস নিকটে আসিয়াছে।
(12)
يدعوكم بيت الله الحرام. وينتظرکم سيد الكونيين عليه السلام
(১২) বাইতুল্লাহ শরীফে আপনাদিগকে ডাকিতেছে এবং দ্বীন দুনিয়ার সর্দার হুযূর (সাঃ) আপনাদের জন্য ইন্তেজার করিতেছেন।
(13) آلباخراتُ والطَّيارَاتُ بالمعابرِ منتظرة فليستجيبوا دعوة الله ودعوة رسوله بِقُلُوْبِهِمُ الباشرةِ
–
(১৩) জল-জাহাজ ও হাওয়ায়ী জাহাজ ঘাটে আপনাদের জন্য অপেক্ষমান। আপনারা সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের দাওয়াত কবুল করুন।
(14) اللّهمّ وفِّق لنا ماتحبُّه وتَرضابِه من زيارة بيت اللہ وروضة نبيہ صلى الله عليه
(১৪) হে আল্লাহ! যাহাতে আপনি মহব্বত রাখেন ও খুশী থাকেন তাহা আমাদের নছীব করুন। এবং বাইতুল্লাহ শরীফ ও হুযূর (দঃ) এর রওজা মোবারকের যিয়ারত আমাদের নছীব করুন ।
(15) بارك الله الناولكم في القران العظييم
(১৫) আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ কুরআনের বরকত আমাদিগকে ও আপনাদিগকে দান করুন।
(16) عوذ باللہ من الشيطان الرّجيم
(১৬) বিতাড়িত শয়তানের প্রতারণা হইতে বাঁচিবার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি।
(19) يا أيها الذين آمنوا لا تلهكم أموالكم ولا أولاد کم عن ذكر اللہ . ومن يفعل ذٰلك فَاُلئك هم الخاسرون
(১৭) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন-দৌলত ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদিগকে খোদার যিকির হইতে গাফেল না করে। যাহারা ঐরূপ গাফলতি করিবে তাহারা ক্ষতিগ্রস্ত হইবে ।
Thank you for reading the post.