নূরানী মুয়াল্লিম যারা তাদের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। ঢাকা কাজলা প্রশিক্ষণ সেন্টারের আঙ্গিকে আমি সম্পূর্ণ ভাবে এই কনটেন্টি তৈরি করেছি। মনোযোগ সহকারে যদি আপনি “ওয়াও’এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব” পড়ানোর নিয়ম। সহ বাকী সবগুলো পর্ব পড়েন/ অধ্যয়ন করেন তাহলে আশা করি আপনি শিক্ষকতার জীবনে সুনাম অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনি পূর্বে পিজিক্যালি ট্রেনিং দিয়ে থাকেন। নূরানী পদ্ধতিতে তরিকায়ে তালিম ২য় সংস্করণ ৫ম পর্ব | নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ | নূরানী পদ্ধতীতে কুরআন শিক্ষা সম্মানিত বন্ধু এই পর্বে “ওয়াও’এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব” পড়ানোর নিয়ম শিখবো। তাহলে চলুন শুরু করি।
নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ অনুযায়ী “এক দাঁত দিয়ে পাঁচ হরফ পড়ানোর নিয়ম:”
প্রথমে ওস্তাদ বলবেন, “সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন‘ বলে ওস্তাদ লিখবেন ও পড়বেন (بو بو) বা ওয়াও, বা ওয়াও (২ বার) ‘আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এভাবে লিখতে থাকেন- পড়তে থাকেন; দেখান, ঘুরান নিজের দিকে; বলেন, কি লিখছেন?’ ছাত্ররা উত্তরে বলবে- (بو) বা ওয়াও। ‘শ্লেট পরিষ্কার করেন; সকলে বোর্ডে দেখেন; ওস্তাদ বা কে নুন বানাইয়া পড়বেন, বলবেন- ‘আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এইভাবে লিখতে থাকেন, পড়তে থাকেন; দেখেন, ঘুরান নিজের দিকে; বলেন কি লিখেছেন? ছাত্ররা বলবে- (نو নুন ওয়াও) ‘শ্লেট পরিষ্কার করেন; সকলে বোর্ডে দেখেন; নুনকে ইয়া বানাইয়া পড়বেন; বলবেন- ‘আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এভাবে লিখতে থাকেন- পড়তে থাকেন; দেখান, ঘুরান নিজের দিকে; বলেন, কি লিখছেন?’ ছাত্ররা উত্তরে বলবে- (یو / ইয়া ওয়াও) ‘শ্লেট পরিষ্কার করেন; সকলে বোর্ডে দেখেন; ওস্তাদ ইয়াকে তা বানাইয়া পড়বেন; বলবেন- ‘আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এভাবে লিখতে থাকেন- পড়তে থাকেন; দেখান, ঘুরান নিজের দিকে; বলেন, কি লিখছেন?’ ছাত্ররা উত্তরে বলবে-
تو/তা ওয়াও) ‘শ্লেট পরিষ্কার করেন; সকলে বোর্ডে দেখেন; তাকে ছা বানাইয়া – পড়বেন; বলবেন- ‘আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এভাবে লিখতে থাকেন— পড়তে থাকেন; দেখান, ঘুরান নিজের দিকে; বলেন, কি লিখছেন?’ ছাত্ররা উত্তরে বলবে- ( ثو / ছা ওয়াও) ‘এক দাঁত দিয়া কয় হরফ? ছাত্ররা বলবে, পাঁচ হরফ, ‘পাঁচটা আপনাদের শ্লেটে সুন্দর করে (و) ওয়াও দিয়া সাজাইয়া লিখেন; ওস্তাদ ও বোর্ডে লিখবেন ( بو نو یو تو ثو) দেখান ঘুরান নিজের দিকে। ওস্তাদ পড়াইবেন এর) দুর্বল ছাত্রদের দাঁড় করাইয়া তাদের দ্বারা পড়াইবে ‘শ্লেট পরিষ্কার করে’। (এইভাবে বা-ওয়াও থেকে নিয়ে লাম ওয়াও এবং বা ইয়া থেকে নিয়ে লাম ইয়া পর্যন্ত এক নিয়মে পড়াইবেন) ।
(مو – ھو) মীম ওয়াও – হা ওয়াও পড়ানোর নিয়ম:
ওস্তাদ বলবেন ‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন’ ওস্তাদ বোর্ডে লিখবেন পড়বেন- ( مو ھو) ‘আপনাদের শ্লেটের ডান দিক থেকে এভাবে লেখতে থাকেন, পড়তে থাকেন (ছাত্ররা লিখবে, পড়বে) দেখান, ঘুরান নিজের দিকে, বলেন কি লিখছেন’ ‘শ্লেট পরিষ্কার করেন, এই নিয়মে (ھو) হা ওয়াওকেও পড়াইবেন ।
(و) ওয়াও এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব পড়ানোর নিয়ম:
ওস্তাদ বলবেন ‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন’ বলে ওস্তাদ বোর্ডের ডান দিক থেকে ওয়াও এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে লিখবেন যেমন ( بو حو سو صو طوعو فو لو مو ھو ) বা ওয়াও, হা ওয়াও, ছীন ওয়াও, ছোয়াদ ওয়াও, ত্বা ওয়াও, আইন ওয়াও, ফা ওয়াও, লাম ওয়াও, মীম ওয়াও, হা ওয়াও) তারপর ওস্তাদ ঐ ছুরাতগুলোর মধ্যে নুক্তা দিবেন, পড়বেন, নুক্তা মুছে (নীচের নুক্তা মুছে ওপরে) নুক্তা দিয়ে পড়বেন, সাথে ছাত্ররাও পড়বে। এইভাবে ১০ ছুরাতকে ২২ হরফ মুরাক্কাব বুঝাইয়া দিবেন, ওস্তাদ পড়াইবেন ‘ওয়াও এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব হয় ৩ বার; ছাত্ররা পড়বে; তারপর দাউর ১ বার।
‘বাকী সাত হরফ মুরাক্কাব হয় না;
‘বাকী সাত হরফ মুরাক্কাব হয় না; ৩ বার পড়াইবেন এবং লিখবেন সাত হরফ যেমন- ( দাল, জাল, রা, যা, ওয়াও, হামযাহ, আলিফ) তারপর ছাত্রদের মধ্য থেকে দু’একজনকে দাঁড় করাইয়া পড়াতে বলবে ‘পড়ান, ‘শ্লেট পরিষ্কার করেন’ বোর্ডে লিখার পর পড়াইবেন ৩ বার। তারপর পুরাটা ১ বার পড়াইবেন- ‘ওয়াও এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব হয় বাকী সাত হরফ মুরাক্কাব হয় না; دو – ذو – رو – زو – وو – ءو – او বলে ঐ সাতটি হরফের সঙ্গে ওয়াও দিয়া বোর্ডে দেখাইয়া দিবেন । ওস্তাদ বলবেন ‘মুরাক্কাব হইছে, ছাত্ররা বলবে না। এইভাবে সাত বারই ওস্তাদ বলবেন ‘মুরাক্কাব হইছে, ছাত্ররা বলবে- না । তারপর ওস্তাদ বলবেন- ‘আপনাদের শ্লেটে এই ১০ ছুরাতকে লিখবেন ৩ লাইনে; প্রথম লাইনে ৪ ছুরাতে, ২য় লাইনে ৩ ছুরাতে, ৩য় লাইনে ৩ ছুরাতে লিখেন’; ছাত্ররা লিখবে, ওস্তাদ বলবেন, ‘দেখান; ঘুরান নিজের দিকে’ ওস্তাদ পড়াবেন, ‘ওয়াও এর সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব হয় بو حوسو طو عو فو لو مو هو বা ওয়াও, হা ওয়াও, ছীন ওয়াও, ছোয়াদ ওয়াও, ত্বা ওয়াও, আইন ওয়াও, ফা ওয়াও, লাম ওয়াও, মীম ওয়াও, হা ওয়াও)।‘বাকী সাত হরফ মুরাক্কাব হয় না; ( د – ذ – ر – ز – و – ء – ا/ দাল, জাল, রা, যা, ওয়াও, হামযাহ, আলিফ) তারপর ছাত্রদের মধ্য থেকে দু’একজনকে দাঁড় করাইয়া পড়াতে বলবেন।
বী. দ্র. ইয়া’র সঙ্গে ১০ ছুরাতে ২২ হরফ মুরাক্কাব পড়ার নিয়ম ওয়াও-এর মতো ।
মুরাক্কাব লিখার নিয়ম:
এক দাঁত, গোল মাথা, তিন দাঁত, ছোয়াদ-এর মাথা, ত্বা; উল্টাদাঁত, হার মাথা, আইনের মাথা, লামের মাথা, গোল হা, মীম। যেমন : جعلهم بفسصط
মদ্দের হরফ পড়ানোর নিয়ম:
‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন, বলে ওস্তাদ বোর্ডে লিখার সময় পড়তে থাকবেন- ‘মদ্দের হরফ ৩টি, (با) বা, মদ্দের হরফ ৩টি, (بو) মদ্দের হরফ ৩টি, (بی) বী, তারপর হাতে ধরে পড়াবেন ‘যবরের বাম পাশে খালি আলিফ মদ্দের হরফ; পেশের বাম পাশে জযম ওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ; যেরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া মদ্দের হরফ। এই ভাবে একটা একটা করে ৩বার পড়াইবেন (ক্লাশে ছাত্রদের যতক্ষণ পর্যন্ত ইয়াদ না হইবে ততক্ষণ পড়াইতে হইবে)। তারপর পড়াইবেন “মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়” ২বার। তারপর পুরাটা একবার পড়াইবেন যেমন- ‘মদ্দের হরফ তিনটি, با بو بی যবরের বাম পাশে খালি আলিফ মদ্দের হরফ; পেশের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ; যেরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া মদ্দের হরফ; মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয় (এই পর্যন্ত ছাত্রদেরকে ভালোভাবে মুখস্ত করাইতে হইবে)। তারপর ওস্তাদ বলবেন- ‘আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা বা আলিফ با লেখেন; যবর দেন, (ওস্তাদ বোর্ডের ৩ ছুরাত থেকে দুই ছুরাত মুছে ফেলবে) তারপর ওস্তাদ বলবেন- ‘ডানের হরফের নাম বলেন, ছাত্ররা বলবে বা, হরকতের নাম; ছাত্ররা বলবে যবর, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে খালিফ , মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা; ছাত্ররা বলবে মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, এখানে; ছাত্ররা বলবে বা’র যবরকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। তারপর ওস্তাদ বলবেন (হেঁটে হেঁটে) ‘চোখ বা’র যবর এবং আলিফে থাকবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত বার নীচে থাকবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, *বা, বা, বা; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে ( ৩ বার)।
ওস্তাদ পুনরায় বলবেন- ‘ডানের হরফের নাম বলেন; ছাত্ররা বলবে- বা, হরকতের নাম; ছাত্ররা বলবে- যবর, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে- খালিফ আলিফ মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা; ছাত্ররা বলবে মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে, এখানে; ছাত্ররা বলবে বা’র যবরকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। ওস্তাদ বলবেন- ‘পড়েন’
ছাত্ররা পড়বে- বা, ওস্তাদ বলবেন, ‘আবার, ছাত্ররা পড়বে- বা, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বা, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বা। এইভাবে হরফের বাম পাশে খালিফ দিয়া ২৮ হরফ পড়াইতে হইবে, ২৮ হরফের মধ্যে ২৭টি হলো মদ্দে তবায়ী; একটি মদ্দে বদল ।
‘আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা (بو) বা ওয়াও লিখেন, বা’র পেশ দেন ওয়া’র জযম দেন, তারপর ওস্তাদ বলবেন- পেশের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ; মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয় (এই পর্যন্ত ছাত্রদেরকে ভালোভাবে মুখস্থ করাইতে হইবে)। ‘ডানের হরফের নাম বলেন; ছাত্ররা বলবে বা, হরকতের নাম; ছাত্ররা বলবে পেশ, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে জযমওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা; ছাত্ররা বলবে মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, এখানে; ছাত্ররা বলবে বু’র পেশকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। তারপর ওস্তাদ বলবেন (হেঁটে হেঁটে ‘চোখ বা’র পেশ থেকে ওয়া’র জযমে আসবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত বা নীচ থেকে ওয়া’র নীচে আসবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে। بُوْ بُوْ بُوْ বূ বূ বূ সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে। (৩বার) ।
ওস্তাদ পুনরায় বলবেন- ‘ডানের হরফের নাম বলেন; ছাত্ররা বলবে- বা হরকতের নাম; ছাত্ররা বলবে- পেশ, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে- জ্যমওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা; ছাত্ররা বলবে- মদ্দের হরফ হইলে ডানদিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে, এখানে; ছাত্ররা বলবে বা’র পেশকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। ওস্তাদ বলবেন- ‘পড়েন’ ছাত্ররা পড়বে- বূ, ওস্তাদ বলবেন- ‘আবার’ ছাত্ররা পড়বে- বূ, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বূ, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বূ। এইভাবে হরফের বাম পাশে জযম ওয়ালা ওয়াও দিয়া ২৮ হরফ পড়াইতে হইবে, ২৮ হরফের মধ্যে ২৭টি হলো মদ্দে তবায়ী; একটি মদ্দে বদল ।
ওস্তাদ বোর্ডে লিখবেন- (بی) বী, তারপর বলবেন, ‘আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা (بی) বী লিখেন, বা’র যের দেন ইয়া’র জযম দেন, তারপর ওস্তাদ বলবেন- যেরের বাম পাশে জযম ওয়ালা ইয়া মদ্দের হরফ; মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয় (এই পর্যন্ত ছাত্রদেরকে ভালোভাবে মুখস্থ করাইতে হইবে)। ‘ডানের হরফের নাম বলেন; ছাত্ররা বলবে বা, হরকতের নাম; ছাত্ররা বলবে যের, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে জযম ওয়ালা ইয়া মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা; ছাত্ররা বলবে মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, এখানে; ছাত্ররা বলবে বা’র যেরকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। তারপর ওস্তাদ বলবেন (হেঁটে হেঁটে) ‘চোখ বা’র যের থেকে ইয়া’র জযমে আসবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত বার নীচ থেকে ইয়া’র নীচে আসবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে। ‘বী, বী, বী’ সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে। (৩বার)।
ওস্তাদ পুনরায় বলবেন- ‘ডানের হরফের নাম বলেন; ছাত্ররা বলবে বা, হরকতের নাম; ছাত্ররা বলবে যের, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে জযম ওয়ালা ইয়া মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা; ছাত্ররা বলবে মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে, এখানে; ছাত্ররা বলবে বা’র যেরকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। ওস্তাদ বলবেন ‘পড়েন’ ছাত্ররা পড়বে- বী, ওস্তাদ বলবেন, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বী, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বী, আবার; ছাত্ররা পড়বে- বী। এইভাবে হরফের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও দিয়া ২৮ হরফ পড়াইতে হইবে, ২৮ হরফের মধ্যে ২৭টি হলো মদ্দে তবায়ী, একটি মদ্দে বদল।
খাড়া যবর খাড়া যের উল্টা পেশ পড়ানোর নিয়ম:
‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন’ বলে ওস্তাদ বোর্ডে লিখবেন, ( খাড়া যবর দিবে); اٰ তারপর হাতে ধরে পড়াইবেন-👉 اٰ এইটার নাম খাড়া যবর;👉ا এইটার নাম খাড়া যের;👉اٗ এইটার নাম উল্টা পেশ; তারপর পড়াইবেন- ‘খাড়া যবর, খাড়া যের, উল্টা পেশ হইলে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, ইহাকেও মদ্দে তবায়ী বলে। এইভাবে পড়াইয়া মুখস্ত করাইয়া দিবে ।
মদ্দে বদল পড়ানোর নিয়ম:
‘আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা হামযাহ আলিফ লিখেন, যবর দেন (ءا), ছাত্ররা হামযা আলিফ লিখবে এবং হামযা’য় যবর দিবে। তারপর ওস্তাদ বলবেন, ‘ডানের হরফের নাম বলেন, ছাত্ররা বলবে হামযাহ, হরকতের নাম, ছাত্ররা বলবে যবর, বাম পাশে, ছাত্ররা বলবে- খালি আলিফ মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা, ছাত্ররা বলবে, মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, এখানে, ছাত্ররা বলবে হামযা’র হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। তারপর ওস্তাদ বলবেন (হেঁটে হেঁটে)— ‘চোখ হামযাহ’র যবর এবং আলিফে থাকিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত হামযা’র নীচে থাকবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, আ, আ, আ’, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকে (৩ বার)
তারপর ওস্তাদ বলবেন, ‘হামযাহ’র হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়ার নাম মদ্দে বদল। যেমন- (ءَا)’ আ মদ্দে বদল। এইভঅবে কয়েকবার পড়াইবেন। তারপর একবার দাউর দিবেন- ওস্তাদ পুনরায় বলবেন— ‘ডানের হরফের নাম বলেন, ছাত্ররা বলবে, হামযাহ, হরকতের নাম, ছাত্ররা বলবে, যবর, বাম পাশে; ছাত্ররা বলবে, খালি আলিফ মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফের কায়দা, ছাত্ররা বলবে, মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, এখানে, ছাত্ররা বলবে হামযা’র হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হইবে। তারপর ওস্তাদ বলবেন ‘পড়েন’ ছাত্ররা পড়বে, আ, ওস্তাদ বলবেন, ‘আবার’, ছাত্ররা পড়বে, আ, আবার, ছাত্ররা পড়বে, আ, আবার, ছাত্ররা পড়বে, আ। ‘ওস্তাদ বলবেন শ্লেট পরিষ্কার করেন’ ।
মদের হরফ আর হরকতের পার্থক্য
‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডে পাশাপাশি এইভাবে দুইটা লিখবেন- ( بَ – بَا /বা যবর, বা ও বা আলিফ- বা) লিখে ওস্তাদ বোর্ডে (৩/বা যবরে) হাতে ধরে ছাত্রদেরকে বলবেন, ‘বলেন’ ছাত্ররা বলবে, বা, ওস্তাদ বলবেন, “টানছেন না কেন? ছাত্ররা বলবে, এক যবর, এক যের, এক পেশকে হরকত বলে, হরকতের উচ্চারণ তাড়াতাড়ি করিতে হয়। তারপর ওস্তাদ বলবেন, (بَا/বা আলিফ যবরে হাত ধরে) ‘বলেন’ ছাত্ররা বলবে-! (এক আলিফ টেনে) ওস্তাদ বলবেন, ‘টানছেন কেন?’ ছাত্ররা বলবে, যবরের বাম পাশে খালি আলিফ মদের হরফ, মদের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়। তারপর ওস্তাদ বার নুকতা মুছিয়ে দুয়োটার উপরে নুকতা দিবেন এবং এই নিয়মে ইয়া পর্যন্ত পড়াইবেন। তারপর বা ওয়াও দিয়ে বায় পেশ ওয়াও জয়ম, বা ইয়া দিয়ে বায় যের ইয়ায় জযম দিয়ে এই নিয়মে পড়াইবেন। ‘এই ভাবে ২৯ হরফের তারতীবে দেখাইবে ।
লীনের হরফ পড়ানোর নিয়ম:
প্রথমে ওস্তাদ বলবেন, ‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন’ বলে ওস্তাদ বোর্ডে লিখবেন ও পড়বেন, ‘লীনের হরফ দুইটি, লীনের হরফ দুইটি, লীনের হরফ দুইটি, যেমন- (এ) তারপর ওস্তাদ বোর্ডে হাতে ধরে পড়াইবেন, লীনের হরফ দুইটি, যবরের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও লীনের হরফ যবরেরম বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া লীনের হরফ- ৩ বার। ‘লীনের হরফ দুইটি— যবরের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও লীনের হরফ ১ বার, যবরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া লীনের হরফ ১ বার, লীনের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পড়িতে হয়। এইভাবে তিনবার পড়াইবেন ।
তারপর ওস্তাদ বোর্ডে যবরের বাম পাশে জযম ওয়ালা ইয়ার সুরাত মুছিয়ে ফেলিবেন। শুধু যবরের বাম পাশে ওয়াও এর সুরাতটা রাখবেন। তারপর ওস্তাদ বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এ (একটা বা ওয়াও) লিখেন, বা’র যবর দেন, ওয়াও’র জযম দেন। তারপর বলবেন, ‘ডানের হরফের নাম বলেন, ছাত্ররা বলবে, বা, ‘হরকতের নাম’ ছাত্ররা বলবে- যবর, ‘বাম পাশে’ ছাত্ররা বলবে- জযম ওয়ালা ওয়াও লীনের হরফ, ‘লীনের হরফের কায়দা’ ছাত্ররা বলবে- লীনের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পড়িতে হয়, তারপর বলবেন, ‘এখানে ? ছাত্ররা বলবে- বা‘র যবরের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পড়িতে হইবে। তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন— ‘চোখ বা’র যবর থেকে ওয়াও’র জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, ‘হাত বা’র নীচ থেকে ওয়াও’র নীচে আসবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, “মুখে উচ্চারণ করিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, بَو بَوْ بَوْ (বাও, বাও, বাও), সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে (৩ বার)। ডানের হরফের নাম বলেন, ছাত্ররা বলবে- বা, ‘হরকতের নাম’ ছাত্ররা বলবে- যবর, ‘বাম পাশে’ ছাত্ররা বলবে- জযম ওয়ালা ওয়াও লীনের হরফ, ‘লীনের হরফ এর কায়দা? ছাত্ররা বলবে- লীনের হরফ হইলে ডান
দিকের হরকতের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পড়িতে হয়। তারপর বলবেন, এখানে ? ছাত্ররা বলবে, বা’র যবরের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পড়িতে হইবে। ‘পড়েন’ ছাত্ররা পড়তে থাকবে- , ‘আবার’ ছাত্ররা বলতে থাকবে- । (এইভাবে বা ওয়াও’র মতো বা ইয়া দিয়েও পড়াতে হবে)
মদ্দের হরফ আর লীনের হরফের পার্থক্য:
প্রথমে ওস্তাদ বলবেন, ‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন’ বলিয়া বোর্ডের মাঝখানে (بو বা ওয়াও, بی বা ইয়া) লিখবেন, و-এর জযম এবং ی-এর জযম দিবেন। বা’র ওপর পেশ দিয়ে নিচে হাত ধরে ছাত্রদেরকে বলবেন, ‘বলেন’ ছাত্ররা উত্তরে বলবে- এক আলিফ টেনে বূ, ওস্তাদ বলবেন, ‘টানছেন কেন?’ ছাত্ররা বলবে, পেশের বাম পাশে জযম ওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ, মদ্দের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়। তারপর ওস্তাদ বার পেশ মুছে যবর দিবেন এবং বলবেন, ‘বলেন’ ছাত্ররা উত্তরে বলবে, বাও। ওস্তাদ বলবেন, ‘টানছেন না কেন?’ তখন ছাত্ররা বলবে, যবরের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও লীনের হরফ, লীনের হরফ হইলে ডান দিকের হরকতের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পড়িতে হয়। এইভাবে বা ওয়াও দিয়া লেখানি শেষ হলে, বা ইয়া ইয়া দিয়া দেখাইবেন (মুরাক্কাবের তারতীবে ২৯ হরফ দিয়া দেখাইতে হবে)
মদ্দে লীন পড়ার নিয়ম:
প্রথমে ওস্তাদ বলবেন, ‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন, বলিয়া ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে এইভাবে লিখবেন যেমন- (خوف بیت খাওফ, এবং বাইত), তারপর ওস্তাদ বোর্ডে প্রথমটার নীচে হাত ধরে ছাত্রদের প্রশ্ন করবেন— ‘যবরের বাম পাশে জযম ওয়ালা ওয়াও কিসের হরফ?’ ছাত্ররা বলবে- লীনের হরফ, তারপর আবার ২য় হরফের নীচে হাতে ধরে প্রশ্ন করবেন, ‘যবরের বাম পাশে জযম ওয়ালা ইয়া কিসের হরফ?’ ছাত্ররা বলবে- লীনের হরফ, তারপর ওস্তাদ বোর্ডেহাতে ধরে দেখাইয়া দেখাইয়া পড়াইবেন, ‘লীনের হরফের বামের হরফে ওয়াক্ফ হইলে, মদ্দে লীন, ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ টানিয়া পড়িতে হয়, কয়েক বার পড়াইবেন। যেমন- (خوف بیت খাওফ, এবং বাইত),
মদ মোট দশ প্রকার:
সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন। মদ মোট ১০ প্রকার, মদ মোট ১০ প্রকার, মদ মোট ১০ প্রকার, মদ মোট ১০ প্রকার এক আলিফ মদ তিন প্রকার। যেমন- মদ্দে তবায়ী । মদ্দে বদল এবং মদ্দে লীন । তারপর ১০ প্রকার মদ বোর্ডে মেছাল লিখে ছাত্রদেরকে পড়াবেন ।
কলকলার হরফ পড়ানোর নিয়ম
প্রথমে ওস্তাদ বলবেন, ‘সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন’ বলিয়া ওস্তাদ বোর্ডে লিখবেন এবং পড়বেন যেমন- قلقلہ ‘ক্বলক্বলা (ق-ক্বাফ), ক্বলক্বলা (-ط), কলকলা (ب – বা), কলকলা (ج – জ্বীম), ক্বলক্বলা (د – দাল), তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন, ‘ক্বলক্বলার হরফ পাঁচটি, এই কথা বলে ওস্তাদ বোর্ডে হাতে ধরে দেখাইয়া দিবেন এবং পড়াইবেন, ‘ক্বলক্বলার হরফ পাঁচটি— ক্বাফ, ত্বা, বা, জ্বীম, দাল; (ق – ط – ب – ج – د)তারপর পড়াইবেন- ‘এই পাঁচ হরফে জযম হইলে ক্বলক্বলা করিয়া পড়িতে হয়; (২ বার), বাকী ২৩ হরফ ক্বলক্বলা হয় না (২ বার), তারপর পুরাটা ‘ক্বলক্বলার হরফ পাঁচটি— ক্বাফ, ত্বা, বা, জীম, দাল; এই পাঁচ হরফে জযম হইলে ক্বলক্বলা করিয়া পড়িতে হয়; বাকী ২৩ হরফ ক্বলক্বলা হয় না; (ওস্তাদের সাথে ছাত্ররাও পড়াবেন)।
ওস্তাদ বোর্ডে লিখা মুছে ফেলবেন এবং বলবেন, ‘আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে ‘একটা আলিফ ক্বাফ লিখেন। ওস্তাদও বোর্ডে লিখবে, আলিফে যবর দেন, ক্বাফে জযম দেন, তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন, ‘জযমওয়ালা হরফ ডান দিকের হরকতের সঙ্গে একত্রে একবার পড়া যায়, (৩ বার),
তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন— ‘চোখ আলিফের যবর থেকে ক্বাফের জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, ‘হাত আলিফের নীচ থেকে ক্বাফের নীচে আসবে; সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, ‘মুখে উচ্চারণ করিবে— اَقْ اَقْ اَقْ قلقلہ – اَقْ قلقلہ – اَقْ قلقلہ সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে (৩ বার) ।
‘আলিফে যবর মুছে যের দেন, চোখ আলিফের যের থেকে ক্বাফের জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত আলিফের নীচ থেকে ক্বাফের নীচে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, ‘মুখে উচ্চারণ করিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে اِقْ اِقْ اِقْ قلقلہ – اِقْ قلقلہ – اِقْ قلقلہ
সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে (৩ বার) ।
‘আলিফের যের মুছে পেশ দেন, জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে চোখ আলিফের পেশ থেকে ক্বাফের থাকবে, হাত আলিফের নীচ থেকে ক্বাফের নীচে আসবে, সাথে ছাত্ররাও, বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে * । اُقْ اُقْ اُقْ قلقلہ – اُقْ قلقلہ – اُقْ قلقلہ
সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে (৩ বার) ।
শ্লেট পরিষ্কার করেন। এই নিয়মে কুলক্বলার ৫টি হরফ পড়াইতে হইবে। ক্বলক্বলার ক্বাফ পড়ানোর সময় কুলক্বলা বলিতে হয় ।
ক্বলক্বলা ছাড়া বাকী হরফ পড়ানোর নিয়ম:
বাকী ২৩ হরফ পড়ানোর সময় ক্বলক্বলা বলিতে হয় না। ক্বলক্বলা হরফ পড়ানো শেষ হলে তা (ت থেকে পড়ানো শুরু করিবে। যেমন- ওস্তাদ বলবেন, ‘আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা আলিফ-তা (ا ت) লিখেন, ছাত্রদেরকে লেখার সময় দিয়ে একটু পরে বলবেন (اَ) আলিফে যবর দেন, তা’য় জযম দেন, (تْ)তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন, চোখ আলিফের যবর থেকে তা’র জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত আলিফের নীচ থেকে তা’র নীচে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে- (اَتْ اَتْ اَتْ) আত্, আত্, আত্।
আলিফে যবর মুছিয়ে যের দেন, তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন, চোখ আলিফের যের থেকে তা’র জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত আলিফের নীচ থেকে তা’র নীচে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, (اِتْ اِتْ اِتْ) ইত্, ইত্, ইত্ ।
আলিফে যের মুছিয়ে পেশ দেন, তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন, চোখ আলিফের পেশ থেকে তা’র জযমে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, হাত আলিফের নীচ থেকে তা’র নীচে আসবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে, সাথে ছাত্ররাও বলতে থাকবে, (اُتْ اُتْ اُتْ) উত্, উত্, উত্ । এইভাবে বাকী হরফগুলো দিয়ে পড়াতে হবে।
তাশদীদ পড়ানোর নিয়ম:
সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন, ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে একটা اَتّ লিখবেন এবং আলিফে যবর দিবেন এবং তা’র তাশদীদ দিবেন, তারপর বোর্ডে হাত ধরে পড়াবেন, এটার নাম তাশদীদ, ৩বার, তাশদীদ ৩ বার পড়াবেন। ওস্তাদ প্রশ্ন করবেন, তিন কাটাওয়ালা এটার নাম কি? উত্তরে ছাত্ররা বলবে- তাশদীদ, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা (ا ت) আলি তা লেখেন, আলিফে اَ যবর দেন, তা’র تّতাশদীদ দেন, তাশদীদওয়ালা হরফ দুইবার পড়া যায়, প্রথমবার ডানদিকের হরকতের সঙ্গে, ২য়বার নিজের হরকতের সঙ্গে, ৩ বার, চোখ আলিফের যবর থেকে তা’র তাশদীদে আসবে, হাত আলিফের নীচ থেকে তা’র নীচে আসবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- তা তা তা, তা’র যবর দেন, চোখ তা’র যবরে থাকবে হাত তা’র নীচে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে-
আমি এখন প্রশ্ন করবো, আপনারা উচ্চারণ করবেন- আলিফের যবর, তা’র তাশদীদ? ছাত্ররা উত্তর দিবে- “ আত্ ”। তা‘র যবর, ছাত্ররা উত্তর দিবে “তা” উচ্চারণ কয়টা হইছে, ছাত্ররা উত্তরে বলবে দুইটা। ওস্তাদ বলবেন, প্রথমটার উচ্চারণ করেন, ছাত্ররা বলব “আত্”, তারপরেরটা ছাত্ররা বলবে, “তা” প্রথমটা ছাত্ররা বলবে, আত্। তারপরেরটা, ছাত্ররা বলবে, তা। দুয়োটা ছাত্ররা, বলবে- { আত্তা } তারপর ওস্তাদ পড়াইবেন اَتَّ اَتَّ اَتَّ ৩ বার (এইভাবে উপরের নিয়মে যের এবং পেশ দিয়া পড়াইতে হইবে)
ওয়াজিব গুন্নাহ পড়ানোর নিয়ম:
ওয়াজিব গুন্নাহ’র প্রথম তারীফ সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে এইভাবে লিখবেন না – انّ – امّ আম্মা, আন্না তারপর পড়াইবেন, নূন ও মীমে তাশদীদ ডান দিকে নূনে সাকিন বা তানভীন না থাকিলে ওয়াজিব গুন্নাহ। থাকিলে ইদগামে বা গুন্নাহ’ । কয়েকবার পড়াইবেন ।
ওয়াজিব গুন্নাহ‘র ২য় তারীফ:
হরকতের বামে নূন ও মীমে তাশদীদ হইলে ওয়াজিব গুন্নাহ, এটা কয়েকবার পড়াইবেন। তারপর ওস্তাদ বোর্ডের দুই সুরাত থেকে এক সুরাত মুছিয়া ফেলবেন। তারপর বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে একটা আলিফ নূন লেখেন, আলিফে যবর দেন নূনে তাশদীদ দেন, চোখ আলিফের যবর থেকে নূরের তাশদীদে আসবে, হাত আলিফের নীচ থেকে নূনের নীচে আসবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- আন্, আন্, আন্। নূনে যবর দেন, চোখ নূনের যবরে থাকবে, হাত নূনের নীচে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে, না, না, না। তারপর বলবেন, আমি এখন প্রশ্ন করবো, আপনারা উচ্চারণ করবেন, আলিফে যবর নূনে তাশদীদ ওয়াজিব গুনানাহ, ছাত্ররা উত্তরে বলবে, আন, নূনে যবর, ছাত্ররা উত্তরে বলবে, না।
‘উচ্চারণ কয়টা হইছে’ ছাত্ররা উত্তরে বলিবে- ২ টা। প্রথমটার উচ্চারণ করেন, ছাত্ররা করবে- আন, তার পরেরটা ছাত্ররা করবে- না, প্রথমটা ছাত্ররা বলবে, আন, তার পরেরটা ছাত্ররা করবে- না, তারপর বলবেন, দুয়োটা, ছাত্ররা উচ্চারণ করবে- আন্না [১০ বার]। ওস্তাদ বলবেন, আন্না, আন্না, আন্না, ৩ বার। (মীমকেও এই নিয়মে পড়াইবেন)
اَلْحَمْدُ–এর পাঁচ সুরাত পড়ানোর নিয়ম:
১ম সুরাত
সকলে বোর্ডে দেখতে থাকেন বলে ওস্তাদ বোর্ডের মাঝখানে এইভাবে লিখবেন- اعوذ তারপর বলবেন, আমার সঙ্গে বলেন, ওস্তাদ হাতে ধরে পড়াইবেন। আলিফ, আইন, ওয়াও, যাল (৩ বার), তারপর বলবেন, আপনারা বলেন, ওস্তাদ বোর্ডে হাত ধরবেন, ছাত্ররা বলবে- আলিফ, আইন, ওয়াও, যাল (৩ বার)। তারপর বলবেন, আমার সঙ্গে গণেন ১, ২, ৩, ৪ (৩ বার), তারপর বলবেন, আপনাদের শ্লেটের মাঝখানে এইভাবে লেখেন, ছাত্ররা লিখবে- ১। তারপর ওস্তাদ বলবেন, আলিফে যবর দেন, চোখ আলিফের যবরে থাকবে, হাত আলিফের নীচে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে, আ (সহজ হলে কমপক্ষে ১০ বার) তারপর বলবে, আইনে পেশ দেন ওয়াওয়ে জযম দেন, চোখ আইনের পেশ থেকে ওয়াও’র জযমে আসবে, হাত আইনের নীচ থেকে ওয়াও’র নীচে আসবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- উ (কঠিন হলে কমপক্ষে ২০ বার), তারপরে বলবেন, যালে পেশ দেন, চোখ যালের পেশে থাকবে, হাত যালের নীচে থাকবে, মুখে উচ্চারণ করিবে- যু (সহজ হলে কমপক্ষে ১০ বার), ওস্তাদ বলবেন, আমি এখন প্রশ্ন করবো আপনারা উচ্চারণ করবেন- আলিফের যবর, ছাত্ররা উত্তর দিবে আ। আইনের পেশ ওয়াও’র জযম, ছাত্ররা উত্তর দিবে উ, যালের পেশ, ছাত্ররা উত্তর দিবে যু।
২য় সুরাত :
ভাঙ্গা ভাঙ্গা উচ্চারণ করাইবেন, ওস্তাদ বলবেন, আ-ঊ-যু (৩ বার) সাথে ছাত্ররাও পড়বে। তারপর বলবেন, আপনারা একটা একটা করে উচ্চারণ করেন- ছাত্ররা ‘আ-উ-যু, আবার আ-উ-যু, আবার আ-উ-যু । (৩ বার)
৩য় সুরাত :
ওস্তাদ এক সাথে উচ্চারণ করাইবে- اَعُوْذُ
৪র্থ সুরাত :
ওস্তাদ হরফের নাম বাচ্চাদের বা ছাত্রদের মুখে উঠাইয়ে দিবেন, যেমন- আলিফ, আইন, ওয়াও, যাল, এইভাবে ২ বার, তারপর এক সাথে দুইবার । যেমন- আলিফ আইন ওয়াও যাল ।
৫ম সুরাত :
ওস্তাদ বলবেন, মুছেন, হরফের নাম বলে বলে লেখেন। তখন ছাত্ররা হরফের নাম বলে লিখবে। দেখান, ঘুরান নিজের দিকে, হরফ উচ্চারণ। ছাত্ররা উচ্চারণ করবে- আলিফ আইন ওয়াও যাল ; । [ আঊযু ] মুছেন, আবার লেখেন, দেখান, ঘুরান নিজের দিকে। হরফ উচ্চারণ— এইভাবে লেখা সুন্দর হইলে আরও ১০ বার লেখাইতে হবে। শ্লেট পরিষ্কার করেন ।
সম্মানিত বন্ধুগন আগামী পর্বে আমরা ‘২য় শ্রেণিতে কিভাবে আরবী বা কুরআন নূরানী পদ্ধতিতে পড়াইবেন তা শিখবো ইনশা আল্লাহ। আপনি যদি পূর্ববর্তি পর্বগুলো না দেখে থাকেন তাহলে নিচে লিংক দেয়া আছে প্রয়োজনে দেখে আসতে পারেন।
- প্রথম পর্ব 👉 এখানে ক্লিক করনি।
- দ্বিতীয় পর্ব 👉 এখানে ক্লিক করনি।
- তৃতীয় পর্ব 👉 এখানে ক্লিক করনি।
- চতুর্থ পর্ব 👉 এখানে ক্লিক করনি।
- ১ম সংস্করণ 👉 এখানে ক্লিক করুন
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানাতে কমেন্ট করতে পারেন। আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। দিন। এতক্ষণ সময় দিয়ে কনটেন্টি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।