যিলক্বদ মাসের ১ম খুৎবাহ-পর্দা-পুশিদাহ সম্পর্কে
الخطبة الاولی لشهر ذی القعدۃ فی الحجاب
যিলক্বদ মাসের ১ম খুৎবাহ – পর্দা-পুশিদাহ সম্পর্কে
اَعوذ باللہ من الشیطان
الرّجیم 0
بسم الله الرّحمن الرّحيم 0
(1) الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره
(১) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, আমরা তাঁহারই গুণকীর্তন করিতেছি এবং তাঁহারই। সাহায্য চাহিতেছি ও তাঁহারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।
(2) ونعوذ بالله من شرور انفسنا –
(২) এবং আমরা আমাদের প্রবৃত্তির কুচক্র হইতে বাঁচিবার জন্য,আল্লাহর সাহায্য ভিক্ষা করিতেছি।
(3) من يهد الله فلا مضل له ومن يضللہ فلا هادي له ۔
(৩) আল্লাহ পাক যাহাকে হেদায়েত করেন কেহ তাহাকে গোমরাহ করিতে পারে না, পক্ষান্তরে বান্দা নিজ ইচ্ছায় গোমরাহ হইবার জন্য দৃঢ় হইবার পর আল্লাহ যদি তাহার জন্য গোমরাহী নির্ধারণ করেন তবে আর কেহ তাহাকে হেদায়েত করিতে পারে না।
(4) ونشهد أن لا اله الا الله وأن محمدا عبده ورسوله صلى الله عليہ وعلى الہ وسلم ارسله بالحق بشيرا ونذيرًا بين يدي الساعة –
(৪) আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কেহই উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহরই বান্দা এবং রাসূল। আল্লাহ তা’য়ালা কিয়ামতের পূর্বে তাঁহাকে সত্য (ইসলাম) সহ সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শক করিয়া পাঠাইয়াছেন।
(5) مَنْ یُّطِعِ اللّہَ وَ رَسُوْلَہٗ فَقَدْ رَشَدَ – وَ مَنْ یَّعْصِھِمَا فَقَدْ غَوٰی –
(৫) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁহার রাসূলকে মান্য করিল সে জ্ঞানীর কাজ করিল, আর যে ব্যক্তি তাহাদিগের নাফরমানী করিল সে বোকামী করিল। (ধ্বংস ডাকিয়া আনিল)।
(6) امَّا بعد فَيا اِخْواني- اتَّقوا الله ولَا يَغرَّنَّكُمُ العُمُرُ الفَانِي –
(৬) হামদ ও সালাতের পর আলোচনা: হে ভ্রাতৃবৃন্দ! আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করুন। নশ্বর আয়ু যেন আপনাদিগকে ধোকা না দেয়।
(7) وَانْصَحُوْا نِسَائَکُمْ أن يَّعْصِمْنَ عِفَّتَهُنَّ ويُخْفِيْنَ أَنْفُسَهُنَّ عَنِ النَّظْرِ الزَّانِی۔
আপনাদের স্ত্রী গণকে উপদেশ দিন। যেন তাহারা তাহাদের স্ত্রীদের স্বতীত্বের সম্মান রক্ষা করে। এবং নিজদিগকে যেন ব্যাভিচার দৃষ্টি হইতে বাঁচাইয়া রাখে।
– (8) قال النّبِي صلَّى الله عليه وسلّم – المَرأةُ عَورَةٌ فإذا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَ الشَّيْطَانُ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন,নারীরা গাপনীয় জীব, যদি সে প্রকাশ্যে (হাটে-মাঠে) বাহির হয়, তবে শয়তান তাহার দিকে উকিঝুকি মারিয়া তাকায়, যে নারী তাহার ঘরের মধ্যদেশে অবস্থান করে সে আল্লাহ তায়ালার রহমতের অধিক নিকটবর্তী হয় । তিরমিজী
।
(9) وَعَن عَلِيّ (رض) اَنَّهٗ كَانَ عِنْدَ النَّبِيّ صَلى الله عَليْهِ وَسَلَّمْ فَقَال اَیُّ شَیْئٍ
ولَا يَرَوْنَهُنَّ – فَذَكَرْتُ ذٰالِكَ النَّبِيُّ صلى الله علي وسلّم –
(৯) হযরত আলী (রাঃ) একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলেন। হুযূর (সাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, নারীদের জন্য কোন অবস্থা খুব ভাল? উপস্থিত ইহাতে সকলেই নিরুত্তর রহিলেন। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি প্রত্যাবর্তন করিয়া ফাতিমাকে ঐ প্রশ্ন করিলাম, ফাতিমা উত্তর করিলেন, “যে নারী অপর পুরুষকে না দেখে এবং অপর পুরুষ যে নারীকে দেখিতে না পায়।” অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (দঃ) কে ফাতিমার এই উত্তর শুনাইয়া দিলাম। ইহাতে হুযুর (সাঃ) বলিলেন ফাতিমা আমারই শরীরের অংশ (সে আমার মনের কথাই বলিয়াছে)। দারু কুতন্নী।
(11) وَعَنْ اُمِّ سَلَمَۃَ اَنَّھَا کَانَتْ عِنْد النّبِیِّ صلى الله علي وسلّم – وَ مَیْمُوْنَۃُ اِذْ اَقْبَلَ ابْنُ اُمِّ مَکْتُومٍ فَقَالَ رَسُولُ اللہِ صلى الله علي وسلّم – اِحْتَجِبَا مِنْہُ – فَقُلْتُ اَلَیسَ ھُوَ اعْمٰی ؟ لاَ یُبْصِرُنَا۔ فَقَال رَسُولُ اللہِ صلّى الله علي وسلّم ۔ اَفَعَمْیَاوَانِ انْتُمَا ؟ اَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِہ؟ (رَوَاہُ التِّرْمِذِی)
(১০) একদিন উম্মে ছালামাহ এবং মাইমুনাহ (হুযুর (সাঃ) এর দুই বীবী) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত ছিলেন । এমন সময় আবদুল্লাহ বিন উম্মে মাকতুম (অন্ধ ছাহাবী) আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ইহাতে হুযূর (সাঃ) দুই বীবীকে বলিলেন “পর্দার অন্তরালে যাও” উম্মে ছালিমাহ বলেন আমি তখন বলিলাম—ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবদুল্লাহ কি অন্ধ নহে? আমাদের পর্দার আড়ালে যাওয়ার প্রয়োজন কি? সে তো আমাদিগকে দেখিতে পায় না। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর করিলেন, তোমরা তো আর অন্ধ নও, তোমরা কি তাহাকে দেখিতে পাইবে না?– তিরমিযী।
(10) وَقَال رَسُولُ اللہِ صلّى الله علي وسلّم ۔ صِنْفَانِ مِنْ اَھْلِ النَّارِ لَمْ اَرَھُمَا قَوْمٌ مَّعَھُمْ سِیَاطٌ کَاَذْنَابِ الْبَقَرِ یَضْرِبُونَ بِھَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ کَاسِیَاتٌ عَارِیَاتٌ مُّمِیْلَاتٌ مَّائِلَاتٌ رُئُوْسُھُنَّ کَاَسْنِمَۃِ الْبُخْتِ الْمَائلَۃِ ۔ لَایَدْخُلْنَ الْجَنَّۃَ وَلَا یَجِدْنَ رِیْحَھَا ۔ رَوَاہُ مُسْلِمٌ ۔
(১১) হুযুর (সাঃ) বলেন, দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামী হইবে, আমি তাহাদিগকে দেখি নাই এক শ্ৰেণী জাহান্নামী, উহাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকিবে, তাহারা উহা দ্বারা মানবগণকে প্রহার করিবে অর্থাৎ অত্যাচারী; আর এক শ্রেণীর জাহান্নামী ঐ সকল স্ত্রীলোক, যাহারা কাপড় পরিধান করা সত্ত্বেও (অর্ধ পরিধান বা পাতলা বস্ত্রের কারণে) উলংগিনী, পর পুরুষকে নিজেদের দিকে আকৃষ্টকারিণী এবং নিজেরাও অপর পুরুষের দিকে আসক্তি প্রবণা,তাহাদের মাখমন্ডলী খোরাসানী উষ্ট্রের মত কেশময় ইহারা বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবেনা বরং বেহেশতের সুঘ্রাণও পাইবে না। মুসলিম।
(12) وَقَالَ النّبِي صلَّى الله عليه وسلّم ۔ اِیّاکُمْ وَلَا خُوْلَ عَلَی النِّسَاءِ ۔ فَقَالَ رَجُلٌ یَا رَسُوْلَ اللہِ اَرَاَیْتَ الْحَمْوٰی قَالَ الْحَمْوَ الْمَوْتُ ۔ (رَوَاہُ الشَّیْخَانِ)
(১২) হুযূর (দঃ) বলিয়াছেন, খবরদার! বেগানা স্ত্রীলোকের নিকট প্রবিষ্ট হইওনা! ইহাতে একজন আনছার জিজ্ঞাসা করিলেন দেবর ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? হুযূর (দঃ) উত্তর করিলেন,— দেবর ইত্যাদি মৃত্যু সমতুল্য।
(13) وَعَنْہُ عَلَیْہِ الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ ۔ ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ أبَدًا الدَّيُوْثُ وَالرَّجِلَۃُ مِنَ النِّسَاءِ ومُدْمِنُ الْخَمْرِ ۔ رَوَاهُ الطبرانی ۔
(১৩) হুযূর (দঃ) বলেন,—তিন শ্রেণীর লোক কখনও বেহেশতে যাইতে পারিবে না। ১ম শ্রেণী—দায়ুছ, ২য় শ্রেণী—মরদা স্ত্রীলোক, ৩য় শ্রেণী—শরাবখোর। তিবরাণী
(14) اللّٰهُمَّ آرِنَا الْحَقَّ حقًّا وَّالْبَاطِلَ باطلًا وَثَبِّتْ اَقْدَامَنَا عَلی الْحَقِّ کَاملًا ۔
(১৪) হে আল্লাহ! আমাদের নিকট সত্যকে সত্যরূপে এবং মিথ্যাকে মিথ্যারূপে প্রদর্শন করুন।
(15) بارك الله لنا ولكم في القران العظيم –
(১৫) আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ কুরআনের বরকত আমাদিগকে ও আপনাদিগকে দান করুন।
(16) اعوذ بالله من الشيطان الرجيم ۔
(১৬) বিতাড়িত শয়তানের প্রতারণা হইতে বাচিবার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি।
(17) وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِکُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاھِلِيَّةِ الأُوْلٰى.
(১৭) হে স্ত্রীলোকগণ! তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে অবস্থান কর । পূর্ববর্তী অন্ধকার যুগের মত সাজ-সজ্জা করিয়া পরপুরুষের সম্মুখে বাহির হইও না, নামায পড়, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের অনুবণিী হও। -কুরআন।
Thank you for reading the post.